রাসুলুল্লাহ সাঃ এর মর্যাদা,ছাহাবায়ে কেরামদের মর্যাদা অনেক উঁচুস্তরের।
তাদের ছবি অঙ্কন করা,তাদের শানের খেলাফ ,এটি তাদের শানের সাথে যায়না।
কোনো রাসুলুল্লাহ সাঃ ছাড়া অন্যকে রাসুলুল্লাহ সাঃ বলা কুফরি, সুতরাং এখানে যেই ছবি অঙ্কন করা হবে, এটি তো স্রেফ বানানো ছবি,আসলে তো এটি কোনোভাবেই রাসুলুল্লাহ সাঃ এর ছবি নয়।
সুতরাং এতে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর আসল চেহারা নয়,এমন কিছুকে রাসুলুল্লাহ এর ছবি বলা হবে,যাহা জায়েজ নেই।
ছবি অঙ্কনের ফলে তাদেরকে অনেকটা নিচু করে দেয়া হয়,যাহা তাদের শানে ধৃষ্টতার শামিল।
রাসুলুল্লাহ সাঃ ও ছাহাবায়ে কেরামদের যামানাতে তো তাদের ছবি তোলা হয়নি,সেই যন্ত্রও তো সেই যামানায় ছিলোনা,সুতরাং তাদের ছবি অঙ্কন করে এটিকে তাদের ছবি বলে চালিয়ে দেয়া মিথ্যা ও ধোকা দেওয়ারও শামিল।
যাহা কোনোভাবেই জায়েজ হতে পারেনা।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও (চেহারা.মাথা বিহিন) রাসুলুল্লাহ সাঃ ও ছাহাবায়ে কেরাম রাঃ দের ছবি অঙ্কন জায়েজ হবেনা।
এখানে যেহেতু হল কর্তৃপক্ষের থেকে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা এসেছে,তাই যারা হল পায়নি তারা যদি হলে প্রবেশ করে /থাকে/হলের খাবার খায়, এটা শরিয়াহের দৃষ্টিতে বৈধ হবেনা।
হ্যাঁ যদি তারা হল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে হলে প্রবেশ করে /থাকে/হলের খাবার খায়,তাহলে তাহা জায়েজ হবে।