আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
142 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ, আশা করি আল্লাহের মেহেরবানিতে ভালো আছেন। উস্তাদ, অনুগ্রহপূর্বক নিচের প্রশ্নদয়ের উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন ইন শা আল্লাহ।

১। মুখবিহীন ছবি অংকনের বৈধতা আছে জানি, তবে অনেক জায়গায় দেখা যায় নবি-রাসুল, সাহাবী আজমাইনেরও মুখবিহীন ছবি অংকন করতে, সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে বৈধতা সত্ত্বেও উনাদের এমন ছবিও অঙ্কনের ব্যাপারটি কিছুটা সন্দেহের অবকাশ রাখে। এটি কি জায়েজ উস্তাদ?

২। কোন ভার্সিটির হলে একটা নিয়ম আছে যে যারা যারা হল পায়নি তারা হলে ঢুকতে পারবে না সাথে সাথে হলের খাবারও খেতে পারবে না, যারা হল পায় তারা হয় বৃত্তিপ্রাপ্ত অথবা রুম খালি হওয়া এবং ভর্তি পরীক্ষার মেধা তালিকার ভিত্তিতে মূল বেতনের সাথে অতিরিক্ত একটা হল ফি দিয়ে সিট নিতে পারে। হল ফি এর মধ্যে হলের যাবতীয় খরচ যেমন রুম খরচ, ডাইনিং খরচ ইত্যাদি সব অন্তর্ভুক্ত। এখন উস্তাদ যারা হল পায়নি তারা যদি হলে ঢোকে/থাকে/হলের খাবার খায়, এটা কি শরিয়াহের দৃষ্টিতে বৈধ কিনা?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর মর্যাদা,ছাহাবায়ে কেরামদের মর্যাদা অনেক উঁচুস্তরের।
তাদের ছবি অঙ্কন করা,তাদের শানের খেলাফ ,এটি তাদের শানের সাথে যায়না।

কোনো রাসুলুল্লাহ সাঃ ছাড়া অন্যকে রাসুলুল্লাহ সাঃ  বলা কুফরি, সুতরাং এখানে যেই ছবি অঙ্কন করা হবে, এটি তো স্রেফ বানানো ছবি,আসলে তো এটি কোনোভাবেই রাসুলুল্লাহ সাঃ এর ছবি নয়।

সুতরাং এতে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর আসল চেহারা নয়,এমন কিছুকে রাসুলুল্লাহ এর ছবি বলা হবে,যাহা জায়েজ নেই।

ছবি অঙ্কনের ফলে তাদেরকে অনেকটা নিচু করে দেয়া হয়,যাহা তাদের শানে ধৃষ্টতার শামিল।

রাসুলুল্লাহ সাঃ ও ছাহাবায়ে কেরামদের যামানাতে তো তাদের ছবি তোলা হয়নি,সেই যন্ত্রও তো সেই যামানায় ছিলোনা,সুতরাং তাদের ছবি অঙ্কন করে এটিকে তাদের ছবি বলে চালিয়ে দেয়া মিথ্যা ও ধোকা দেওয়ারও শামিল।

যাহা কোনোভাবেই জায়েজ হতে পারেনা।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও (চেহারা.মাথা বিহিন) রাসুলুল্লাহ সাঃ ও ছাহাবায়ে কেরাম রাঃ দের ছবি অঙ্কন জায়েজ হবেনা।

(০২)
এখানে যেহেতু হল কর্তৃপক্ষের থেকে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা এসেছে,তাই যারা হল পায়নি তারা যদি হলে প্রবেশ করে /থাকে/হলের খাবার খায়, এটা শরিয়াহের দৃষ্টিতে বৈধ হবেনা।

হ্যাঁ যদি তারা হল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে হলে প্রবেশ করে /থাকে/হলের খাবার খায়,তাহলে তাহা জায়েজ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...