ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
আবু দাউদ শরীফের ১৮০ নং হাদীসে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَخْلَدٍ الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَغْرَاءَ - حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، أَخْبَرَنَا أَصْحَابٌ، لَنَا عَنْ عُرْوَةَ الْمُزَنِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ لِرَجُلٍ احْكِ عَنِّي أَنَّ هَذَيْنِ - يَعْنِي حَدِيثَ الأَعْمَشِ هَذَا عَنْ حَبِيبٍ وَحَدِيثَهُ بِهَذَا الإِسْنَادِ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ
উরওয়াহ আল-মুযানী ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াহ্ইয়াহ্ ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান এক ব্যক্তিকে এ মর্মে আদেশ দেন, আমার সূত্রে ঐ হাদীস দু’টি বর্ণনা কর। অর্থাৎ আ‘মাশের হাদীস এবং একই সানাদে ইস্তিহাযা রোগিনী’’ সম্পর্কে বর্ণিত তার ঐ হাদীস যাতে রয়েছে, ‘ইস্তিহাযা রোগিনী প্রত্যেক সলাতের জন্যই অযু করবে।’
কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য শর্ত হলো,
شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-
শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)
★সুতরাং আপনি একটি নামাজের ওয়াক্ত নির্দিষ্ট করে নিবেন।
নামাজের পুরো ওয়াক্ত জুড়ে স্রাব প্যাড এ আসতেছে কিনা,সেটি লক্ষ্য করবেন।
বুঝতে না পারলে ২/৩ মিনিট পরপর প্রয়োজনে প্যাড চেক করবেন।
,
যদি কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,উক্ত স্রাব আসা বন্ধ না হয়,বরং চলতেই থাকে,এই উযরের কারণে অল্প সময়ে ছোট ছুরা দিয়ে হলেও ফরয নামায পড়া আপনার জন্য কোনোভাবেই সম্ভবপর না হয়,তাহলে আপনি মা'যুর।
আপনি প্রতি ওয়াক্তের জন্য অযু করবেন,এই অযু দিয়ে উক্ত ওয়াক্তের মধ্যে যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করতে পারবেন।
(যদি অন্য কোনো অযু ভঙ্গকারী কিছু না পাওয়া যায়।)
পরবর্তী ওয়াক্তে আবার অযু করবেন
কোনো ব্যাক্তি মা'যুর প্রমানিত হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী ওয়াক্ত গুলোতে পুরো সময় উক্ত ওযর পাওয়া জরুরি নয়,বরং পরবর্তী প্রতি ওয়াক্তে এক বারও যদি উক্ত ওযর পাওয়া যায়,তাহলে সে মা'যুরই থাকবে।
,
আর যদি আপনার ওযরটি এমন না হয়,তাহলে আপনি শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি মা'যুর হলে উক্ত নামাজ গুলি হয়ে যাবে।
কিন্তু আপনি মা'যুর না হলে নামাজের মধ্যে এভাবে স্রাব আসলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে,পুনরায় কাপড় চেঞ্জ কর বা পাক করে অযু করে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।
সুতরাং উক্ত বিতরের নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।
(০২)
বিষয়টি আমি হাদীস গ্রন্থে খুজে পাইনি।
(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ফজরের সুন্নাত আবার আদায় করতে হবেনা।
(০৪)
এক্ষেত্রে আবারল সাহু সেজদাহ দিতে হবেনা।
তবে এক্ষেত্রে ভুলে বা সন্দেহের ভিত্তিতে আবারো দিলে নামাজ হয়ে যাবে।
(০৫)
আপনি যেহেতু মেয়ে,সুতরাং আপনি বিবাহের আগ পর্যন্ত উক্ত খাবার গ্রহন করতে পারবেন।
সমস্যা নেই।
আপনি আপনার পছন্দের খাবার আপনার বাবার টাকায় ক্রয় করে খেতে পারবেন।
আরো জানুনঃ-
(০৬)
প্রত্যেকটি বইয়ের প্রকাশনার লিখিত কলাম পড়বেন,বা প্রত্যেক বইয়ের প্রকাশনার নাম জেনে অন্য কোনো ভাবে (সেই প্রকাশনার অন্য যেকোনো বই নিজের কাছে থাকলে তাহা দেখে বা অন্য কাহারো থেকে নিয়ে দিকে খে বা লাইব্রেরি থেকে দেখে) জানার চেষ্টা করবেন যে এগুলো সংরক্ষিত প্রকাশনা কিনা?
সংরক্ষিত প্রকাশনার হলে সেই প্রকাশনার প্রকাশিত বইয়ের পিডিএফ এভাবে অনুমতি আছে কিনা,না জেনে পড়বেননা।
(০৭)
এক্ষেত্রে আপনার নামাজ সহীহ হয়ে যাবে।