আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
78 views
in পবিত্রতা (Purity) by (28 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।

১// ইনারে যদি সব সময় সাদা স্রাব লাগানো থাকে তখন কি ধরে নেবো আমি মাজুর?
লিকুইড কখন আসে বুঝা যায় না।  যখন ইনার না পরা অবস্থায় নামায পড়ি  তখন হঠাৎ লিকুইড আসে বুঝা যায় অন্যথায় বুঝা যায় না।

এই অবস্থায় কি আমার আবার কাপড় চ্যাঞ্জ করে নামায পড়তে হবে?
উল্লেখ্য যে আমি প্রতি নামাযের ওয়াক্তে কাপড় চ্যাঞ্জ করে নামাজ পড়ি এখন নামাজের অবস্থায় চলে আসলে কি করতে হবে?
এটা সময় মেইন্টেইন করে না হুটহাট চলে আসে যে কোন নামাজের সময়। এতে নামাজের মনযোগ ও থাকে না প্রায় সময়।
এখন আমি বুঝতেছি না যে লিকুইড কি শুধু নামাজে আসে?  কারন ইনারে ও সব সময় সাদা দাগ থাকে।

আমার কি করনীয়?

বিতরের নামাযে লিকুইড আসছিলো। নামায কি আবার পড়তে হবে?

২// নবীজি সাঃ কি সাহাবীদের রাঃ কারো বিয়ে পড়িয়েছেন? খুতবা দিয়েছেন?

৩// আজকে কাযা রোজা রাখতে চাইসিলাম।  ফজরের দুই রাকাত নামায পড়ছি রোজাদারদের মতো ওযু করে।
ওযু চলে যাওয়ায় আবার ওযু করতে গিয়ে গলায় পানি চলে গেসে তখন আমি রোজাদারদদের মতো ওযূ না করে নামাজ টা পড়ে নিয়েছি।

এখন আমার কি ফজরের সুন্নাহ নামাজ হয়েছে না কি আবার পড়তে হবে?

৪// সাহু সেজদা ওয়াজিব হলে এবং সাহু সেজদা দিয়ে আবার যদি ভুলে যাই দিয়েছি কি না তখন কি আমাকে আবার সাহু সেজদা দিতে হবে বা দিলে কি কোন অসুবিধা আছে?

৫// আমার বাবা ও ভাইয়ের রুজি হালাল না, আমি বুঝিয়েছি ও কিন্তু কেউ কথা শুনছে না এমতাবস্থায় আমার কি দোয়া কবুল হবে?  যেহেতু খাবার হালাল না। আর আমার কোনভাবে হালাল খাবেরর বিকল্প পথ ও নাই। আমি কি আমার পছন্দের খাবার উনাদের টাকায় কিনে খেতে পারবো?

৬//  পিডিএফ পড়ার ক্ষেত্রে প্রকাশনি কিংবা রাইটারের পারমিশন আছে কি না জানা না থাকে তখন কি আমি বই পড়তে পারবো?   আমার কাছে  অনেক গুলা পিডিএফ আছে যার বেশিসংখ্যক ই আমি জানিনা না পিডিএফের পারমিশন আছে কি না বইগুলা ফেইসবুক থেকে কালেকশন করা এবং কিছু কিছু বই অনেক উপকারী ও।
এই বই পড়ার ক্ষেত্রে আমার জন্য হুকুম কি?


৭//  অসতর্কতা বশত যদি স্কার্ট টাখনুর উপর উঠে যায় আর আমি সেজদা থেকে উঠে খেয়াল করি যে টাখনুর উপর ছিলো তখন কি আমার নামায বাতিল হয়ে যাবে?  আমি খেয়াল করার সাথে সাথে যতবার ই উঠে নামিয়ে নিই।

1 Answer

0 votes
by (687,000 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
আবু দাউদ শরীফের ১৮০ নং হাদীসে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَخْلَدٍ الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَغْرَاءَ - حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، أَخْبَرَنَا أَصْحَابٌ، لَنَا عَنْ عُرْوَةَ الْمُزَنِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ لِرَجُلٍ احْكِ عَنِّي أَنَّ هَذَيْنِ - يَعْنِي حَدِيثَ الأَعْمَشِ هَذَا عَنْ حَبِيبٍ وَحَدِيثَهُ بِهَذَا الإِسْنَادِ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ 

উরওয়াহ আল-মুযানী ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াহ্ইয়াহ্ ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান এক ব্যক্তিকে এ মর্মে আদেশ দেন, আমার সূত্রে ঐ হাদীস দু’টি বর্ণনা কর। অর্থাৎ আ‘মাশের হাদীস এবং একই সানাদে ইস্তিহাযা রোগিনী’’ সম্পর্কে বর্ণিত তার ঐ হাদীস যাতে রয়েছে, ‘ইস্তিহাযা রোগিনী প্রত্যেক সলাতের জন্যই অযু করবে।’ 

কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য শর্ত হলো,

شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-

শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)

★সুতরাং আপনি একটি নামাজের ওয়াক্ত নির্দিষ্ট করে নিবেন।
নামাজের পুরো ওয়াক্ত জুড়ে স্রাব প্যাড এ আসতেছে কিনা,সেটি লক্ষ্য করবেন।
বুঝতে না পারলে ২/৩ মিনিট পরপর প্রয়োজনে প্যাড চেক করবেন।
,
যদি কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,উক্ত স্রাব আসা বন্ধ না হয়,বরং চলতেই থাকে,এই উযরের কারণে অল্প সময়ে ছোট ছুরা দিয়ে হলেও ফরয নামায পড়া আপনার জন্য কোনোভাবেই সম্ভবপর না হয়,তাহলে আপনি মা'যুর। 
আপনি প্রতি ওয়াক্তের জন্য অযু করবেন,এই অযু দিয়ে উক্ত ওয়াক্তের মধ্যে যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করতে পারবেন।
(যদি অন্য কোনো অযু ভঙ্গকারী কিছু না পাওয়া যায়।)
পরবর্তী ওয়াক্তে আবার অযু করবেন

কোনো ব্যাক্তি মা'যুর প্রমানিত হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী ওয়াক্ত গুলোতে পুরো সময় উক্ত ওযর পাওয়া জরুরি নয়,বরং পরবর্তী প্রতি ওয়াক্তে এক বারও যদি উক্ত ওযর পাওয়া যায়,তাহলে সে মা'যুরই থাকবে।   
,
আর যদি আপনার ওযরটি এমন না হয়,তাহলে আপনি শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।

বিস্তারিত জানুনঃ  
,
আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি মা'যুর হলে উক্ত নামাজ গুলি হয়ে যাবে।

কিন্তু আপনি মা'যুর না হলে নামাজের মধ্যে এভাবে স্রাব আসলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে,পুনরায় কাপড় চেঞ্জ কর বা পাক করে অযু করে উক্ত নামাজ পুনরায়  আদায় করতে হবে।
সুতরাং উক্ত বিতরের নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।

(০২)
বিষয়টি আমি হাদীস গ্রন্থে খুজে পাইনি।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ফজরের সুন্নাত আবার আদায় করতে হবেনা।

(০৪)
এক্ষেত্রে আবারল সাহু সেজদাহ দিতে হবেনা।
তবে এক্ষেত্রে ভুলে বা সন্দেহের ভিত্তিতে আবারো দিলে নামাজ হয়ে যাবে।

(০৫)
আপনি যেহেতু মেয়ে,সুতরাং আপনি বিবাহের আগ পর্যন্ত উক্ত খাবার গ্রহন করতে পারবেন।
সমস্যা নেই।

আপনি আপনার পছন্দের খাবার আপনার বাবার টাকায় ক্রয় করে খেতে পারবেন।

আরো জানুনঃ- 

(০৬)
প্রত্যেকটি বইয়ের প্রকাশনার লিখিত কলাম পড়বেন,বা প্রত্যেক বইয়ের প্রকাশনার নাম জেনে অন্য কোনো ভাবে (সেই প্রকাশনার অন্য যেকোনো বই নিজের কাছে থাকলে তাহা দেখে বা অন্য কাহারো থেকে নিয়ে দিকে খে বা লাইব্রেরি থেকে দেখে) জানার চেষ্টা করবেন যে এগুলো সংরক্ষিত প্রকাশনা কিনা?

 সংরক্ষিত প্রকাশনার হলে সেই প্রকাশনার প্রকাশিত বইয়ের পিডিএফ এভাবে অনুমতি আছে কিনা,না জেনে পড়বেননা।

(০৭)
এক্ষেত্রে আপনার নামাজ সহীহ হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...