জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
রুকইয়াহ বা তাবিজ ব্যবহার জায়েয। অর্থাৎ কুরআন সুন্নাহ দ্বারা যে তাবিজ ব্যবহার করা হয়, তা জায়েয । তবে তামিমা অর্থাৎ গরুর শিং, হাতির দাত, ইত্যাদি দ্বারা তাবিজ ব্যবহার করা জায়েয হবে না।
https://www.ifatwa.info/226 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই।এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।তবে গর্ভবর্তী মহিলার জন্য তাবিজ ব্যবহার জরুরী বা উত্তম বলে ইসলামী শরীয়তে কোনো কিছু নেই।তাবিজকে বিভিন্ন টিকামূলক ইনজেকশনের মত মনে করতে পারেন।যা দেওয়া বা না দেওয়া সম্পূর্ণ আপনার ব্যক্তিগত বিষয়।যেমন নিম্নোক্ত হাদীসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি নিজ নাবালিগ সন্তাদিকে তাবিজ লঠকিয়ে দিতেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়-
আমর ইবনে শুয়াইব তার সনদে বর্ণনা করেন,
ﻋﻦ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ، ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ، ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ، ﻗَﺎﻝَ : ( ﺇِﺫَﺍ ﻓَﺰِﻉَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﻮْﻡِ ﻓَﻠْﻴَﻘُﻞْ : ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﻏَﻀَﺒِﻪِ ﻭَﻋِﻘَﺎﺑِﻪِ ﻭَﺷَﺮِّ ﻋِﺒَﺎﺩِﻩِ ، ﻭَﻣِﻦْ ﻫَﻤَﺰَﺍﺕِ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦِ ﻭَﺃَﻥْ ﻳَﺤْﻀُﺮُﻭﻥِ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﻟَﻦْ ﺗَﻀُﺮَّﻩُ ) . . ﻓَﻜَﺎﻥَ ﻋَﺒْﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦُ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ، ﻳُﻠَﻘِّﻨُﻬَﺎ ﻣَﻦْ ﺑَﻠَﻎَ ﻣِﻦْ ﻭَﻟَﺪِﻩِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﺒْﻠُﻎْ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻛَﺘَﺒَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﺻَﻚٍّ ﺛُﻢَّ ﻋَﻠَّﻘَﻬَﺎ ﻓِﻲ ﻋُﻨُﻘِﻪِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ ঘুমে ভয় পায়, তখন সে যেন পড়ে- 'আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত-তাম্মাতি মিন গাদাবিহি ওয়া ই'ক্বাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ-শায়াতিনি,ওয়া আইয়াহদুরুন' এই দু'আ পড়লে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি, তার সাবালক সন্তানাদিকে তা শিক্ষা দিতেন।এবং নাবালক সন্তাদির গলায় উক্ত দু'আ তাবিজ আকারে লিখে ঝুলিয়ে দিতেন।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২৪৭৭)
★সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!
শরীয়ত সম্মত কোনো ব্যাবস্থা হলে আপনি আকীদা বিশুদ্ধ রেখে সেই ব্যবস্থা নিতে পারেন।
(০২)
সে যেহেতু আপনার স্ত্রী,সুতরাং সেক্ষেত্রে তাকে নিয়ে ঘর সংসার করার ইচ্ছা থাকলে তাকে ফিরিয়ে আনার বৈধ যেকোনো চেষ্টা করা আপনার দায়িত্ব।
হ্যাঁ যদি আপনি তাকে আর স্ত্রী হিসেবে রাখতে না চান,সেক্ষেত্রে তাকে তালাক দিয়ে তাদেরকে বলে দিবেন যে নতুন করে যেনো বিবাহ পড়িয়ে নেয়।
(০৩)
যেহেতু তার পরিবার আপনার প্রতি আগ্রহ নয়,তারা আপনার বিরুদ্ধে এতো কিছু করেছে,সেক্ষেত্রে তাকে না পেলে যদি আপনার তেমন কষ্ট না হয়,যদি বিষয়টি আপনি মেনে নিতে পারেন,তাহলে পরামর্শ থাকবে,তাকে ফিরিয়ে না নিয়ে তালাক দেয়ার।
(০৪)
তাদের পরিবার আপনাকে মেনে না নিলে রুকইয়ার মাধ্যমে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় সে ঘর সংসার এর ক্ষেত্রে মনে হয় যে ভবিষ্যৎ জীবন তেমন ভালো হবেনা।
(আল্লাহই ভালো জানেন)
কেননা তারা আবারো তাদের মেয়েকে জাদু ইত্যাদি কিছু করতেই পারে।
(০৫)
আপনি তো তার পরিবারের সাথে কথা বলে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন,সুতরাং আপনি এক্ষেত্রে আর তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা না করলে আপনার গুনাহ হবেনা।
,
তবে তাকে আর না নিতে চাইলে তালাক দেয়ার পরামর্শ থাকবে।