আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
112 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (29 points)
আসসালামুআলাইকুম,

একটি আ্যপ রয়েছে,তারা আমার ওয়াইফাই এর থেকে ইন্টারনেট ট্রাফিকিং কালেক্ট করে বিভিন্ন আ্যড এ ট্রাফিকিং বাড়ায় দেয়।কোনো আ্যড এর ট্রাফিক বলতে বোঝায় যে ওই আ্যডটি কতজন দেখেছে সেটা।আ্যড এ ট্রাফিকিং বেশি হলে সেই আ্যডটি বেশি শো করে।তারা বলে যে আমি বিল দিয়ে যেই ওয়াইফাই সংযোগ নিছি সেটাতে নাকি অনেক অব্যবহৃত ট্রাফিক আছে যা তাদের আ্যপের সাথে ফোন সংযোগ  করলে ট্রাফিক গুলো আমাদের কাছ থেকে কিনে নেয় তারা। পরে সেগুলো ব্যবহার করে আ্যডের ট্রাফিকিং বাড়ায় তারা।এতে তখন মনে হয় যে আ্যডগুলো অনেকজন দেখেছে কিন্তু আসলে এমন হয়না বরং তারা ট্রাফিক বাড়ায় দেয় বলে এমন মনে হয় যে অনেকজন দেখেছে।তো এভাবে ইন্টারনেট ট্রাফিক সেল করে টাকা ইনকাম কি জায়েজ হবে?


২) পড়াশোনার জন্য রাত জেগে থাকা ইসলামের দৃষ্টিতে কেমন কাজ?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ধোকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا ) ،
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন- যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম- হাদীস নং-১৪৬)

ভিন্ন এক সুত্রে বর্ণিত আছে,হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : ( مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
ভাবার্থঃযে কাউকে ধোকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম- হাদীস নং-১৪৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/726

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এ বিষয়ের মূলনীতিতে উলামাদের মতবেদ রয়েছে। সর্বোত্তম কথা হল,
জেনে বুঝে এই রকম ধোকা মূলক কাজে শরীক হওয়া আপনার জন্য উচিৎ হবে না। সুতরাং ট্রাফিকিং বিক্রি করে কাউকে ধোকা দেয়ার সুযোগ তৈরী করা আপনার জন্য উচিৎ হবে না।

(২)
পড়াশোনার জন্য রাত জাগা কখনো কল্যাণকর নয়। বরং আপনি রাতের প্রথম অংশে ঘুমিয়ে শেষ রাত্রে উঠবেন।দেখবেন পড়াশোনাতে আরো বরকত হবে।
হ্যা, কেউ শেষ রাত্রে উঠতে একান্ত অপারগ হলে, তারজন্য অবশ্যই রাত জাগার রুখসত থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...