بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا
إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى
الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ
‘হে মুমিনরা, যখন তোমরা নামাজের জন্য দাঁড়াও,
স্বীয় মুখমডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত
ধৌত করো এবং পদযুগল গিঁটসহ।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৬)
হাদিস শরিফে এসেছে,
আল্লাহর রাসুল (সা.) দেখলেন জনৈক ব্যক্তি
অজু করেছে কিন্তু পায়ে তার নখ বরাবর একটি স্থান অধৌত রয়ে গিয়েছে। তখন তিনি তাকে বললেন,
‘তুমি ফিরে গিয়ে সুন্দরভাবে
অজু করে আসো।’ (মুসলিম, হাদিস : ৩৯১)
জেনে রাখা আবশ্যক যে,
অজুর মূল অঙ্গ চারটি;
চেহারা,
হাত,
পা, মাথা। মাথা মাসেহ করা ফরজ। আর বাকি তিন অঙ্গ ধোয়া
ফরজ। এ তিন অঙ্গের কোনো একটি স্থান শুকনো থাকলে অজু হবে না। কেননা,
অজুর সময় সমস্ত অঙ্গে পানি পৌঁছানো
ফরজ বিধায়— এমন কোনো বস্তু অজুর অঙ্গে থাকতে পারবে না,
যেগুলো চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে
প্রতিবন্ধক। যেমন- মোম, আঠা ইত্যাদি।
সুতরাং যদি রং এমন হয় যা ব্যবহারে
আবরণ পড়ে যায়, যার কারণে অজুর অঙ্গে পানি পৌঁছায় না; তাহলে তার অজু হবে না। রঙের প্রলেপ— এমনকি তা একেবারে সামান্য হলেও- দূর করে তবেই অজু করতে হবে।
যদি রং এমন হয়,
যা ব্যবহারে আবরণ পড়ে যায়;
যার কারণে অজুর অঙ্গে পানি পৌঁছায়
না, তাহলে অজু হবে না। রঙের প্রলেপ দূর করে— তবেই অজু
করতে হবে। এতে একটু কষ্ট হবে, কিন্তু আপনার তা সাধ্যানুপাতে চেষ্টা করতে হবে। কেননা,
রঙের মাঝে এক ধরনের প্রলেপ বা স্তর
রয়েছে, পবিত্র হতে গেলে যেটি চামড়ায় পানি পৌঁছতে অন্তরায় সৃষ্টি করে। আর যেসব জিনিস চামড়ায়
পানি পৌঁছতে বাধা দেয়, অজুকারীর জন্য তা দূর করে তবেই অজু করতে হবে।
আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন:
https://ifatwa.info/36120/?show=36120#q36120
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার
পায়ের যেই অংশটুকু অজুতে ধৌত করা ফরজ সেই স্থানে যদি উক্ত আবরণ দেখা দেয় এবং আপনি
যদি নিশ্চিত থাকেন যে, সেই আবরণের কারণে আপনার পায়ে পানি পৌছেনি তাহলে উক্ত
অবস্থায় অজু করে যতগুলি নামাজ পড়েছেন সেগুলি পুনরায় পড়তে হবে। কারণ, উল্লেখিত
অবস্থায় অজু করা কারণে আপনার পূর্ণ পবিত্রতা অর্জন হয়নি।