بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
বৈধ ও পবিত্র উপায়ে অর্থ উপার্জন জরুরি।
ইসলাম এই বিষয়েই উৎসাহ দেয়। কারণ, ইবাদতের সঙ্গে আর্থিক সামর্থ্য জড়িত। ইবাদত ও দোয়া কবুল হওয়ার
জন্য হালাল জীবিকা এবং বৈধ উপার্জন হলো পূর্বশর্ত।
মহান আল্লাহ তাআলা সবার রিজিকদাতা।
يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُلُوا
مِمَّا فِي الْأَرْضِ حَلَالًا طَيِّبًا
হে মানব মন্ডলী,
পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু-সামগ্রী
ভক্ষন কর। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৮) তিনি মানুষের জন্য ব্যবস্থা করেছেন ‘রিজকান কারিমা’ (সম্মানজনক জীবিকা)
এবং এর অর্জন কৌশল হতে হবে ‘হালালান তাইয়্যেবা’ বা বৈধ ও পবিত্র।
এ কথা সত্য যে ভিক্ষাবৃত্তি সম্মানজনক
জীবিকা নয়। ইসলামী শরিয়তের বিধান মতে, ভিক্ষা কখনো মুমিন ব্যক্তির পেশা বা বৃত্তি নয়। প্রিয়
নবী (সা.) পরমুখাপেক্ষিতাকে শুধু ‘সর্বনাশা অভাব ও অপমানজনক দেনা’র ক্ষেত্রে অনুমোদন
করেছেন। এ প্রসঙ্গে তার সতর্কবাণী হলো—‘যে অভাবের
কথা মানুষের কাছে প্রকাশ করে তার অভাব দূর হবে না; বরং যে তা আল্লাহর কাছে নিবেদন করে,
নিশ্চয়ই আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট।’
(আবু দাউদ)
প্রিয়নবী (সা.) আরও বলেন,
‘শক্তিসম্পন্ন ও সুস্থ-সবল
ব্যক্তির পক্ষে ভিক্ষা করা হালাল নয়।’ (তিরমিজি)
ইসলাম কর্মহীন ও বেকারত্ব সমর্থন করে
না বলেই প্রিয় নবী (সা.) সাহায্যপ্রার্থীকে ‘বনে গিয়ে কাঠ কেটে’ সাবলম্বিতা অর্জনের
পথ দেখিয়েছিলেন। (বুখারি, হাদিস : ২০৭৫)
রাসুল (সা.) বলেন,
‘যে ব্যক্তি নিজের সম্পদ
বাড়ানোর জন্য মানুষের কাছে সম্পদ ভিক্ষা করে, সে আগুনের ফুলকি ভিক্ষা করছে।’ (মুসলিম,
হাদিস : ২২৮৯)
প্রিয়নবী (সা.) আরও বলেন,
‘মানুষ সর্বদা লোকের কাছে
ভিক্ষা করে পরিণামে (কিয়ামতের দিন) তার মুখমণ্ডলে গোশত থাকবে না।’ (মুসলিম,
হাদিস : ২২৮৬)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনি ভাই/ বোন!
প্রশ্নেল্লিখিত
ছুরতে কোন প্রকৃত ভিক্ষুককে ভিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। যে কোন
সময় তাদেরকে সাহায্য করা যাবে। এতে কোন সমস্যা নেই। “যোহরের আজান এর
পর ভিক্ষা দিতে হয় না” এটি তার ভুল ধারণা।