আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
215 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম।
বাজারে যে কাবেরী মেহেদী পাওয়া যায় তা অনেকটা গাছের মেহেদীর মতনই। মেহেদী শুকানোর পর তেমন একটা রঙ হয় না কিন্তু পরে ধীরে ধীরে ২৪ ঘন্টায় গাঢ় রঙ (খয়েরী, কফি) হয়। এই গাঢ় রঙ যখন উঠতে/মুছতে শুরু করে তখন প্রথমে একটা আবরণের মতো উঠে আসে তারপর ধীরে ধীরে রঙ মিলিয়ে যায়। এই আবরণটা দেখে চামড়ারই অংশ মনে হয় কিন্তু আমি কনফিউজড যে এটার জন্য আমার অযু-গোসল হবে কি না! বাজারের অন্য টিউব মেহেদীর মতো এতে তেমন কোনো ক্যামিকেল নেই। এই মেহেদী ব্যবহার করলে কি অযু-গোসল হবে?

জাযাকুমুল্লহু খইর।

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/3160/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মেহেদীর মধ্যে মূলত কোনো আবরণ থাকে না। তবে ইদানীং টিউবের মেহেদির মধ্যে কিছু কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যেটা অনেক ক্ষেত্রেই ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এ জন্য স্বাস্থ্যগত দিক থেকে এটি পরিহার করা উত্তম।

তবে এটার ব্যবহারে হাতের ওপর যে আবরণের কথা আপনি বলেছেন, সেই আবরণের ব্যাপারে আপনিই ভালো জানেন। আমি যতটুকু জানি, এ ধরনের আবরণ আমি দেখিনি বা কেউ দেখেছে বলে আমার জানা নেই।

সুতরাং ক্যামিক্যাল যুক্ত মেহেদী,   গোল্ড মেহেদী বা টিউব মেহেদী এগুলো ব্যবহার করা জায়েয।

এবং এগুলো ব্যবহার করে প্রলেপ উঠিয়ে ফেলার পর অযু-গোসল সবই সহীহ হবে।

কেননা এ মেহেদী লাগানোর পর শরীরে যে রঙ অবশিষ্ট থাকে যার কোনো কোনোটিতে পরবর্তীতে আবরণের মতো উঠে তা আমাদের জানামতে চামড়ায় পানি পৌঁছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক নয়। তাই এগুলো ব্যবহার করতে সমস্যা নেই। (শরহুল মুনয়া ৪৮; রদ্দুল মুহতার ১/১৫৪)

তবে যেহেতু এগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর, তাই এই জাতীয় মেহেদী ব্যবহার পরিহার করা উচিত। 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/ বোন!     

প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে যদি আপনি পুরোপুরি ভাবে  নিশ্চিত হোন যে, এগুলো ব্যবহার করে প্রলেপ উঠিয়ে ফেলার পর চামড়ায় পানি পৌঁছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হচ্ছে, তাহলে এসব মেহেদী লাগানো অবস্থায় অযু হবেনা। আর পানি পৌছলে অজু হবে ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...