আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
236 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (28 points)
edited by
হুজুর অনেকদিন আগে তালাকের বিষয়ে   আপনাকে একটি প্রশ্ন করেছিলাম যে, আমি ও আমার স্ত্রী    গল্প করার সময় আমার স্ত্রী বলে যে আমার বিশেষ কোন অংগ যদি বড় না হয়। তখন আমি মজার ছলে বলি যে, তাহলে আমি তোমাকে ছেড়ে দেব।
আপনি এই প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন যে এর দারা ত*কের কোন সমস্যা হবে না। আমি এই প্রশ্ন টা বিভিন্ন মুফতি সাহেবকে করি।
১.হুজুর কয়েকদিন আগে আমি তখন টয়লেটে ছিলাম  তখন আমার অই কথা  মনে হয় যে,  যদি আমি মুফতি সাহেবের কাছে যেয়ে মুখ ফস্কে  যদি দেব এর জায়গায় বলতাম দিছি।  হুজুর এগুলো কিন্তু আমি মনে মনে বলেছি। কিন্তু দিছি শব্দটা জিহবা ও ঠোঁট নাড়িয়ে বলেছি। হুজুর এর দারা কি তা*কের কোন সমস্যা হবে?
২.হুজুর কালকে আমি বাসে করে আসছিলাম তখন আমার ১ংং প্রশ্নের বিবরনের কথা  একটু মনে হয়। ডিটেলস একবারে মনে হয়নি। তখন আমি জিহবা ও ঠোঁট নাড়িয়ে বলি যে, যদি দিছি বা দিলাম  বলতাম,বা দিছি বা দিলাম বল্লেও হত।        এরকম জাতীয় কথা মনে হয়। যা আমার হবুহ মনে নেই। হুজুর এই কথাগুলোর দারা কি কোন সমস্যা হবে?    
হুজুর  দিছি কথা দিয়ে আমার মনে মনে একটা তা*কের  কথা মনে হয়  বা করি বা বলি। এরকম মনে হওয়ার দারা বা করার দারা কি তা*কের কোন সমস্যা হব

৪.হুজুর আজকেও আমার দুইবার দিছি বা দিলাম  অই কথা গুলো আমার  মনে হয় আমি জিহবা ও ঠোঁট নাড়িয়ে বলি।    হুজুর এই কথাগুলো কিন্তু ১ংপ্রশ্নের বিবরনের কারণে আমার মনে   আসছে। এই কথাগুলো ছাড়া ত*ক হয় এমন কোন কথা আমি বলিনি।

৫.হুজুর কেউ যদি তা*কের  কোন কথা স্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেছিল নাকি সন্দেহ হয় তাহলে কি ত*ক হবে। যদি তার বেশিরভাগ ধারণা হয় যে স্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলে নি তাহলে কি ত*কের সমস্যা হবে। যদি ফিফটি ফিফটি মনে হয় যে বলে ছিল কি ছিল না তাহলেও কি ত*কের সমস্যা হবে?

৬.হুজুর কয়েকদিন আগে আমি আপনাকে একটা প্রশ্ন করেছিলাম যে,  আমার স্ত্রী কাপড় শুকাতে দিচ্ছিল তখন প্রচন্ড বাতাস হচ্ছিল বাতাসের কারনে কাপড় ঠিক মত মেলে দিতে পারছিলনা তখন আমার স্ত্রী বলে যে,  হছে থাম (হয়েছে থাম) ।এ কথা বলার পর আমার স্ত্রী ইস্তিগফার পড়ে। এই প্রশ্ননের উত্তরে আপনি বলেছিলেন যে,  কোন সমস্যা হবে না।   আপনার স্ত্রী তো বাতাসকে গালি দেয় নি।
কিন্তু হুজুর আমার স্ত্রী বাতাসকে বলেছিল হছে থাম(হয়েছে থাম) কিন্তু তারপর ইস্তিগফার পরে। হুজুর এর দারা কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

৭.হুজুর ঈমান ভংগের কারন জানার পর আমি সবসময় বিষন্ন থাকি। কাজে কামে মন বসে না। সারাদিন বারিতে থাকি শুয়ে বসে থাকি।  তো একদিন আমার বাবা আমাকে ফোন দিয়ে বলে যে  তোমার কি হয়েছে। প্রথমে আমি বলতে চাইনা। পরে বলি ইসলাম বিষয়ক এই জাতীয় কিছু একটা বলি তখন আমার আব্বা বলে যে ইসলাম ইয়েকত যাক না এরকম কিছু  একটা বলে। যা সঠিক আমার মনে নেই। মুলত আমার উপর রাগ করেই কথাটা বলে। আব্বা পাচ ওয়াক্ত নামাজ পরে। আব্বা আমাকে বলত যে ইসলাম তো বসে থাক্তে বলে নি পরিশ্রম করতে বলেছে।মুলত আমার উপর রাগ করেই ইসলাম সমন্ধে অই কথাটা বলেছে। হুজুর এর কারনে আমার আব্বার ঈমানের কোন সমস্যা হবে।  ঈমান ভংগের কারন সম্পর্কে আমার আব্বা সম্ভবত জানে না।

৮.হুজুর আমি প্রবৃত্তির অনুসরণ করা শিরক এটা জানি। তবুও আমি ফুটবল খেলা দেখা ছাড়তে পারছিলাম না। ফুটবল খেলা দেখার আমার প্রচুর নেশা ছিল। একদিন আমি একটি ভিডিও তে দেখলাম যে প্রবৃত্তির অনুসরণ করা  ছোট শিরক। এর কারনে ঈমান ভংগ হয় না। এটা কবিরা গুনাহ। সম্ভবত এরকমই দেখছিলাম।   এটা দেখার পর আমার মনে এক্টু স্বস্তি লাগছিল সম্ভবত। হুজুর এটা শিরক জেনেও আমার মনে   সস্তি  লাগার কারনে কি আমার ঈমানের কোন  সমস্যা হবে?

৯.হুজুর আমি ফুটবল খেলা দেখা আমার  প্রচন্ড নেশা ছিল। আমি ইউটিউবে সার্চ দিয়ে দেখতাম যে   ফুটবল খেলা দেখা জায়েজ কিনা তখন আম দেখতাম যে যেহেতু খেলোয়াড়দের হাটুর উপর কাপর থাকে তাই দেখা জায়েজ নেই হারাম। কিন্তু অন্য দেশের  দুই এক জন হুজুর বলেছেন যে জায়েজ  সপ্তাহে দুই একবার দেখা যেতে পারে।   যেহেতু অন্য মাযহাবে ছেলেদের  আওয়ারা বা পর্দা শুধু লজ্জাস্থান ঢাকা।  তাই আমি ফুটবল খেলা দেখা জায়েজ বলে সান্ত্বনা দেই। কিন্তু মন থেকে জায়েজ মনে করি না  মনের ভেতর এক্টু খচখচানি থাকেই। আমি এও জানি যে হারাম কে হালাল মনে করা বড় গুনাহ। এজন্য আমার মনের ভেতর এক্টু খচখচানি থাকেই। হুজুর এখন আমার প্রশ্ন হল- খেলা দেখার জন্য অন্য দেশের আলেমর মত নেয়া  বা অন্য  মাযহাবে যেহেতু শুধু লজ্জাস্থান ঢাকা ছেলেদের পর্দা   এজন্য খেলা  দেখা জায়েজ মনে করা (যদিও মন থেকে   ওভাবে জায়েজ আমি মনে করিনি কারন  যদি তা হারাম হয়,তখন হারাম কে হালাল মনে  করলে গুনাহ হবে এজন্য) কি প্রবৃত্তির অনুসরণ করা হয়েছে। এর দারা কি ঈমানের  কোন সমস্যা হবে? হুজুর তখন আমি ঈমান ভংগের কারন জানতাম না। কিন্তু প্রবৃত্তির অনুসরন যে শিরক এটা জানতাম।

১০. আমি ফেসবুকে বা ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিওতে দেখেছি যে দারি রাখা ওয়াজিব। কেউবা ফরজ বলেছেন। কিন্তু একজন আলেমের ভিডিওতে দেখলাম যে তিনি সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ বলেছে। যখন আমি দাড়ি কাটতাম তখন আমার মনে হত একজন আলেম তো সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ বলেছেন।    যদিও অনান্য প্রায় সব আলেম ওয়াজিব বা ফরয বলেছেন।  হুজুর এটা কি প্রবৃওির আনুসরন  । এর কারনে কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে। তখন আমি ঈমান ভংগের কারন জান্তাম না।     (যদিও দারি কাটার পর এক্টু অনুতপ্ত হতাম মনে হয় বা এটা যে খারাপ কিছু এরকম মনে হত মনে হয়)

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান হলো, মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে তালাক দিলে বা মনে মনে শর্ত যুক্ত তালাক দিলে তাহা পতিত হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০২)
এতেও তালাক সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হবেনা। 

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৫)
সন্দেহের ভিত্তিতে তালাক হবেনা।

(০৬)
এর দ্বারা তার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।

(০৭)
আপনার বাবা আপনার উপর রাগে এ কথা বলেছে,এতে তার ঈমান চলে যাবেনা। 

(০৮)
এর দ্বারা আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৯)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।

আপনি এহেন হারাম খেলা দেখার দরুন মহান আল্লাহর কাছে তওবা করে ফিরে আসবেন।
,
(১০)
এর কারনে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (28 points)
হুজুর কয়েকটা প্রশ্ন ইডিট করে  পরে লিখে দিয়েছি। হুজুর দয়া করে প্রশ্নের উত্তরগুলো দিবেন  হুজুর।           

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...