আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
255 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১।আমার বাবা ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করতেন। এই চাকরি কী হালাল ছিল?

২। বর্তমানে তার জমানো টাকা ব্যাংকে রেখে যেটা সুদ আসে সেটা দিয়ে সংসার চলে। অন্য কোন ইনকাম সোর্স নাই, ইনকাম করার সদস্যও নাই। এই টাকা দিয়ে ব্যবসা করলে কি ব্যবসার লাভের টাকা জায়েয হবে?

৩। আমি বিবাহিতা, আমার স্বামীর ইনকাম আলহামদুলিল্লাহ হালাল। বিয়ের আগে আমার বাবার টাকায় কেনা কাপড়, বই, গহনা কী এখন আমার জন্য ব্যবহার করা জায়েয?

৪। বিয়ের পর বাবার বাড়ি গেলে অনেক আয়োজন করা হয়, ফিরে আসার সময় অনেক খাবার, নিজের চাষ করা ক্ষেতের সবজি সব জোর করেই দিয়ে দেয়। এবং বেশ কিছু ফার্নিচারও দিয়েছে। বর্তমানে আমাদের এই সামর্থ্য নাই যে প্রত্যেকটা জিনিসের আসল দাম ধরে শোধ করতে পারব। এই অবস্থা্য় যদি এতদিনের ব্যবহৃত সব জিনিসের একটা নামমাত্র মূল্য দিয়ে আমার মায়ের সম্মতিতেই কিনে নিই তবে কি এগুলো জায়েয হবে? বা এই মুহূর্ত কী করা উচিত?

৫। বাবার থেকে কি ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি আমাদের ভাইবোনের জন্য জায়েয হবে?

৬। বিয়ের পর বাবার থেকে পাওয়া গয়নার যাকাত দিয়েছি, পরে জানতে পেরেছি তা জায়েয নয়। এখন কি এই জাকাতের টাকা সদকাহ হিসেবে ধরা হবে?

৭। আমার বাবা মায়ের সাংসারিক আর্থিক অভাব নাই কারন যা টাকা আসে স্বচ্ছলভাবে চলে। কিন্তু সেটা তো সুদ। আমার ভাই ছোট। এখন কি আমি তাদেরকে হালাল রিজিক এর ব্যবস্থা করার জন্য নিজের ঘরে বসে পর্দার সাথে কোন ইনকাম করতে পারব? স্বামী অনুমতি না দিলে কি নাজায়েয হবে যেহেতু আমি দেখছি যে আমার বাবা মা হারাম ভক্ষণ করছে?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
বীমা নাজায়েয ও হারাম।কেননা কম্পানির পক্ষ্য থেকে মাসিক কিস্তিতে যে টাকা উসূল করা হয়, সেটা মূলত কম্পানির নিকট ঋণ হিসেবে থাকে। এবং পরবর্তীতে এ জমাকৃত টাকা তথা ঋণের বিপরিতে যে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করা হয়,সেটা সুদ। আর সুদ হারাম।

দ্বিতীয়ত বীমার বিষয়টা শর্ত তথা গ্রাহকের কোনো অঘটনের সাথে চুক্তিবদ্ধ। আর শর্তের সাথে কোনো ঋণের আদাণ-প্রদাণ জায়েয না বরং হারাম।

তৃতীয়ত,বীমার টাকা দেড়ীতে গ্রাহকের হস্তগত হওয়ার শর্ত থাকে।আর ঋণের মধ্যে শর্তের মাধ্যমে দেড়ীতে লেনদেনের সমাপ্তি বিশুদ্ধ নয়।
তাছাড়া বীমা কম্পানি গ্রাহকের নিকট থেকে কিস্তিতে টাকা তুলে সেই টাকা দিয়ে সুদি লেনদেনে জড়িয়ে থাকে।

সুতরাং এসমস্ত কারণ বিবেচনায় ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, জীবন বীমা করা এবং বীমা কম্পানিতে চাকুরী করা জায়েয হবে না।(আহসানুল ফাতাওয়া-৭/২৪) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1204

(২) ডিপি এস বা এফডি আর, এগুলোও হারাম এবং নাজায়েয। বীমা চাকুরীর টাকা হারাম,আবার সেই টাকা থেকে ব্যাংকে সুদ রাখা,সেটাও মোটকথা, এখানে সবকিছুই হারাম।

এই হারাম মাল দ্বারা ব্যবসা করা সাধারণত জায়েয হবে না। তবে যদি আপনার বাবার নিকট আর কোনো টাকা না থাকে, এবং তিনি এই হারাম মাল দ্বারা ব্যবসা শুরু করেন, তাহলে মূলধন হারাম হলেও এখান থেকে যে লাভ আসবে,সেই লাভ কিছু সংখ্যক ফুকাহায়ে কেরামের মতে হালাল হিসেবে বিবেচিত হবে। সম্পূর্ণ মূলধন উনার উপর সদকাহ করা বা এর ওসিয়ত করা ওয়াজিব।

(৩)
বিয়ের আগে আপনার বাবার টাকা কোনো কিছুই এখন ব্যবহার করতে পারবেন না।কেননা এখন আপনার দায়িত্ব আপনার স্বামীর।সুতরাং এখন আর জরুরত নাই। তাই সবগুলো সদকাহ করে দিবেন।

(৪)
আপনার বাবার বাড়ীর কোনো কিছুই গ্রহণ করতে পারবেন না।যতগুলো জিনিষ আপনাকে বাবার বাড়ী থেকে দেয়া হয়েছে,বা ভবিষ্যত তারা আরো দিবে,সবগুলোকেই সদকাহ করতে হবে। বা তার মূল্য সদকাহ করতে হবে।

(৫)জায়েয হবে না।আপনারা মালিক হবেননা।

(৬) জ্বী, এগুলো সদকাহ হিসেবে গণ্য হবে। বাবার বাড়ি থেকে যা পেয়েছেন, সবকিছু সদকাহ করতে হবে।

(৭)
স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষে আপনি ঘরে বসে পর্দার সাথে কিছু করতে পারবেন।তবে স্বামীর বিনা অনুমতিতে পারবেন না।হ্যা,  স্বামীর বিনা অনুমতিতে করে নিলে যদি কাজটি জায়েয হবে না। তবে ইনকাম হারাম হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
reshown by
১.বাবার বাড়ি গিয়ে খাওয়া/ নিয়ে আসা খাবার (অতীতের) যদি মাকে বলা হয় যে কিনে নিতে চাই আর তিনি যদি খুবি সামান্য নামমাত্র দাম বলেন, তাকে সেটা দেওয়া হলে কি খাবার জাতীয় দিনিসের গুনাহ বর্তাবে? যেহেতু পুরোটা অনেক টাকার বিষয় আর আসবাবপত্র হলে সদকাহ করার বিষয় থাকত। 
২. অন্যান্য জিনিস কি কোন আত্মীয়কে সদকাহ করা যাবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...