বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
বীমা নাজায়েয ও হারাম।কেননা কম্পানির পক্ষ্য থেকে মাসিক কিস্তিতে যে টাকা উসূল করা হয়, সেটা মূলত কম্পানির নিকট ঋণ হিসেবে থাকে। এবং পরবর্তীতে এ জমাকৃত টাকা তথা ঋণের বিপরিতে যে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করা হয়,সেটা সুদ। আর সুদ হারাম।
দ্বিতীয়ত বীমার বিষয়টা শর্ত তথা গ্রাহকের কোনো অঘটনের সাথে চুক্তিবদ্ধ। আর শর্তের সাথে কোনো ঋণের আদাণ-প্রদাণ জায়েয না বরং হারাম।
তৃতীয়ত,বীমার টাকা দেড়ীতে গ্রাহকের হস্তগত হওয়ার শর্ত থাকে।আর ঋণের মধ্যে শর্তের মাধ্যমে দেড়ীতে লেনদেনের সমাপ্তি বিশুদ্ধ নয়।
তাছাড়া বীমা কম্পানি গ্রাহকের নিকট থেকে কিস্তিতে টাকা তুলে সেই টাকা দিয়ে সুদি লেনদেনে জড়িয়ে থাকে।
সুতরাং এসমস্ত কারণ বিবেচনায় ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, জীবন বীমা করা এবং বীমা কম্পানিতে চাকুরী করা জায়েয হবে না।(আহসানুল ফাতাওয়া-৭/২৪) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1204
(২) ডিপি এস বা এফডি আর, এগুলোও হারাম এবং নাজায়েয। বীমা চাকুরীর টাকা হারাম,আবার সেই টাকা থেকে ব্যাংকে সুদ রাখা,সেটাও মোটকথা, এখানে সবকিছুই হারাম।
এই হারাম মাল দ্বারা ব্যবসা করা সাধারণত জায়েয হবে না। তবে যদি আপনার বাবার নিকট আর কোনো টাকা না থাকে, এবং তিনি এই হারাম মাল দ্বারা ব্যবসা শুরু করেন, তাহলে মূলধন হারাম হলেও এখান থেকে যে লাভ আসবে,সেই লাভ কিছু সংখ্যক ফুকাহায়ে কেরামের মতে হালাল হিসেবে বিবেচিত হবে। সম্পূর্ণ মূলধন উনার উপর সদকাহ করা বা এর ওসিয়ত করা ওয়াজিব।
(৩)
বিয়ের আগে আপনার বাবার টাকা কোনো কিছুই এখন ব্যবহার করতে পারবেন না।কেননা এখন আপনার দায়িত্ব আপনার স্বামীর।সুতরাং এখন আর জরুরত নাই। তাই সবগুলো সদকাহ করে দিবেন।
(৪)
আপনার বাবার বাড়ীর কোনো কিছুই গ্রহণ করতে পারবেন না।যতগুলো জিনিষ আপনাকে বাবার বাড়ী থেকে দেয়া হয়েছে,বা ভবিষ্যত তারা আরো দিবে,সবগুলোকেই সদকাহ করতে হবে। বা তার মূল্য সদকাহ করতে হবে।
(৫)জায়েয হবে না।আপনারা মালিক হবেননা।
(৬) জ্বী, এগুলো সদকাহ হিসেবে গণ্য হবে। বাবার বাড়ি থেকে যা পেয়েছেন, সবকিছু সদকাহ করতে হবে।
(৭)
স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষে আপনি ঘরে বসে পর্দার সাথে কিছু করতে পারবেন।তবে স্বামীর বিনা অনুমতিতে পারবেন না।হ্যা, স্বামীর বিনা অনুমতিতে করে নিলে যদি কাজটি জায়েয হবে না। তবে ইনকাম হারাম হবে না।