আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
329 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।দয়া করে একটু বলবেন।সব বিষয় নিয়ে ওয়াসওয়াসা আর টেনশন আসতে থাকে মাথায়।আমি চায় স্বামীর সাথে সুন্দর করে থাকতে।প্রশ্নগুলো পুরোপুরি আমার সাথে মিল আছে কিনা জানি না।ওয়াসওয়াসা আর টেনশন আসতে থাকে তাই করেছি।দয়া করে এমন ফতোয়া দিন যাতে নিশ্চিন্তে থাকতে পারি।টেনশনে শেষ হয়ে যাচ্ছি।অন্যজনের দিকে ইন্গিত করেছি ওদের উত্তর না হলে টেনশন কমবে।

১।কোন স্ত্রীকে ধরেন স্বামী মুখে আর কাগজে তালাকের পাওয়ার,দিছে।দিলেও স্বামী স্ত্রী কেউ জানে না যে স্ত্রীরা তালাকের পাওয়ার পায় ইসলামে।জানত হয়ত  আদালতের মাধ্যমে দেওয়া যায়, আর কাগজে   যে পাওয়ার দিছে যে ওটাও পরে জানতে পারছে যে,স্বামীও জানত না ।স্বামী ধমক দেওয়ার জন্য বিয়ের পর বলত ওই কাবিন নামায় হ্যা লিখে দিব যাতে তালাক চায়তে না পার বা/ তালাক চায়লে যাতে হয়ে যায় বা /তুমি দিতে পার,মানে স্বামীও জানত না ওটা লিখে দিছে যে কাজী  ওটা।আর ওরা জানত না মেয়েরা ইসলামে এই অধিকারটা পায় যে সেটা,জানত হয়ত আদালতের মাধ্যমে এমনি বাংলাদেশে দেওয়া যায়।স্ত্রী জানতই না যে মেয়েরা তালাক দিতে পারে যে সেটা ।কোনদিন শুনেও নাই যে ইসলামে মেয়েরা এই পাওয়ার পায় যে সেটা।পরে জানতে পারছে।জানার আগে যদি সে স্বামীকে বলে মানে স্ত্রী যদি স্বামীকে বলে আমি তুর জন্য হারাম বা তুই আমার জন্য হারাম হয়ে গেছস তাহলে কি তালাক হবে?  ধরেন মেয়েটা জানতই না যে এগুলো দ্বারা তালাক হতে পারে সেটা।কারন সে জেনে এসেছে এতদিন মেয়েরা তালাক দিতে পারে না।সে ধরেন এমনিতে রাগে বলে ফেলেছে।এতে কি কোন সমস্যা হবে?

২।শায়খ আমি আমার দিকে ইন্গিত না করে প্রশ্নটা করেছি।কারন আমার স্বামী আমাকে পাওয়ার দিছে।কিন্তু আমি এরকম বলতাম কিনা জানি না।তবে স্বামী ধমক দেওয়ার জন্য বলত হ্যা,লিখে দিব কাবিন নামায় কিন্তু চায়লে হয়ে যাবে এটা বলেছিল কিনা মনে নেয়।কিন্তু এখানে উপরে যে কথা গুলো স্ত্রী বলেছে তা আমি বলেছি কিনা জানি না,মনে নেয়।আমি এমনিতে জানার জন্য প্রশ্ন করেছি।এতে কি কোন সমস্যা হবে?শায়খ আমার এই প্রশ্নটা করার সময় স্বামীর কথা গুলো পরে এডিট করলে কি সমস্যা হবে? মানে স্বামী যে" তালাক চায়লে হয়ে যাবে এটা বলেছিল কিনা মনে নেয়" ওই লেখাটা পরে এডিট করেছি এই প্রশ্নের ৪ নং লাইনে।এটা কি সমস্যা হবে?

৩।ধরেন স্বামী মুখে তালাকের পাওয়ার দিছে।কিন্তু কাগজে  দিছে যে সেটা স্বামীও জানত না।স্বামী যদি ধমকের জন্য বলে কাবিন নামায় তালাকের পাওয়ার ওটা হ্যা করে দিব যাতে তালাক চাইতে না পার, চাইলে যাতে হয়ে যায়।কিন্তু স্বামী জানত না যে ওটা কাজী হ্যা করে দিছে।পরে জানতে পারছে।জানার আগে স্বামীর ওই কথাটার পর স্ত্রী তালাক চায়লে কি তালাক হয়ে যাবে? জানার পর ধরেন আর চায় নাই তালাক।স্বামী তহ হ্যা করে দিবে বলেছে যে কিন্তু জানত না যে ওটা হ্যা করা আছে যে সেটা।এটাও এমনিতে জানার জন্য।কারন ঠিক এমনটা আমার স্বামী বলেছিল কিনা জানি না।

৪।কাবিন নামায় যে হ্যা লিখা আছন ১৮ নং কলামে সেটা জানে না।তবে মুখে পাওয়ার দিলেও স্ত্রীকে স্বামী স্ত্রী এই বিষয়ে কিছু জানত না কথায় কথায় পাওয়ার দিয়েছিল মুখে। স্বামী যদি বলে কাবিন নামায় হ্যা করে  দিব যাতে তুমি  তালাক দিলে তালাক হয়ে যায় কিন্তু স্বামী বলে নি কাকে তালাক দিলে হবে সেটা মনে হয় স্বামীকে দিলে হবে ওটা বলেছে।কারন স্ত্রী এর আগে কয়েকবার স্বামীর দিকে ইন্গিত করে তালাক বলেছিল।মানে মনে মনে স্বামীর দিকে।আর স্বামী স্ত্রী জানত না ইসলামে মেয়েরা নিজেদের তালাক দিতে পারে যে সেটা।হয়ত এটা জানত কাবিন নামায় অধিকার দিলে স্বামীকে দিতে পারে। কিন্তু সেটা স্বামীকে না স্ত্রীরা নিজেদেরকে দিতে পারে যে সেটা জানত না। ভাবছিল হয়ত স্বামীকে পারে।কিন্তু মুখে পাওয়ারের বিষয়ে জানত না কারন তারা জানত না যে ইসলামে মেয়েরা এই অধিকার পায়।তারা জানত মেয়েরা তালাক দিতে পারে না।তবে কাবিননামায়  হ্যা লিখলে স্বামীকে দিতে পারে সেটা জানত ।কিন্তু সেটা তহ স্বামীকে না স্ত্রীরা নিজেদের পারে যে সেটা জানত না। এরপর স্বামীর ওই কথাটার পর বা কয়েকদিন পর  স্ত্রী যদি স্বামীর দিকে ইন্গিত করে তালাক দেয় মানে ইন্গিতটা যদি মনে মনে করে এমনি মুখে ওই ৩ টা শব্দ উচ্চারন করে,তাহলে কি তালাক হবে?তবে সিওর স্বামীর দিকে ইন্গিত।আমি এই প্রশ্নটা আগেও করেছি তালাক হবে না বলেছিলেন মনে হয়।স্বামীর কথাটা কি শর্ত যুক্ত তালাকের পর্য়ায়ে পরবে নাকি অধিকার  দেওয়া বুঝাবে?

৫।এই বিষয়টা আমার না।এমনিতে জানার জন্য।ধরেন কোন স্ত্রী মেসেজে তালাক চেয়েছে।এরপর স্ত্রী বলেছে ধরেন আমি চলে যাব তারপর তালাক চেয়েছে ধরেন।তারপর স্বামী যদি বলে যাইলে যাওগা একটা গেলে আরেকটা আসবে।স্ত্রী যদি বলে ঠিক আছে যাচ্ছি।হয়ত স্বামী এটা বুঝাতে চেয়েছিল জোর করে রাখবে না।তখন ধরেন স্বামী স্ত্রী কেও জানত না কেনায়া তালাক সম্পর্কে।শুনেও নি।পরে শুনেছে ধরেন, জেনেছে এই বিষয় নিয়ে।এতে কি তালাক হবে? যাইলে যাওগা এটা তহ স্ত্রীর মতামতের উপর প্রাধান্য দিছে না?স্ত্রী ধরেন দূরে থাকে ধরেন বাবার বাসায় থাকে।স্ত্রী এমনিতে ধরেন রাগ করে যাব গা বলেছে।স্ত্রী যদি না যায় বা নিজের দিকে ইন্গিত না করে কিছু না বলে তাহলে কি তালাক হবে??  কোথায় যেন শুনেছি যাইলে যাওগা বললে তালাক হয় না যাওগা বা চলে যাও বললে হয় যে তালাক চাওয়ার পর।এটা একটু বলবেন।এমনিতে জানার জন্য করেছি প্রশ্ন।এটা আমার প্রশ্ন নই।ঠিক এমনটা আমার সাথে হয়েছিল কিনা জানি না,মনে নেয়।

৬।৫ নং প্রশ্নে স্ত্রীকে যদি পাওয়ার দিয়ে থাকে  উপরোক্ত প্রশ্নে স্ত্রীর কোন কথা দ্বারা কি সমস্যা হবে? স্ত্রী ধরেন জানতই না তখন  ইসলামে মেয়েরা তালাকের অধিকার পায় যে সেটা।শুনেও নি।

৭।কোন মেয়ের বিয়ে তার পরিবারে মেনে নেয় নি।তহ সে যখন পরিবারে জানায়,বিয়ের কথা তখন সে মানসিকভাবে খুব ডিপ্রেশনে ছিল।সে তখন কেনায়া তালাকের ব্যাপারে নতুন শুনেছিল আর শুনেছিল ইসলামে মেয়েরা পাওয়ার পায় স্বামী দিলে।তাকেও স্বামী মুখে পাওয়ার দিয়েছিল এর আগে এসব বিষয়ে জানার আগে। সব   বিষয়ে নতুন করে জানার পর ডিপ্রেশনে আর মানসিক ভাবে ভেন্গে পরে। সবসময় ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে এসব নিয়ে।তহ তখন পরিবাকে কথা গুলো জানানোর পর  সে মাকে বলে আপনি যা বলেন করব।মা বলে ওর ওইখান থেকে সরে আয়।আর কথা বলিস না।মেয়েটা বলে ঠিক আছে।আর কিছু বলেছে   কিনা জানে না।বলেছে আপনি যা বলেন করব।কিন্তু সে নিজেকে তালাক দেয় নি।তালাকের বিষয়ে ওয়াসওয়াসা আসলেও সে না না করত।সে ভাবছল আগে বাবার সাথে কথা বলবে পরে ডিশিসন নিবে।কিন্তু পরে যখন বাবার সাথে কথা হয় পরের দিন তখন বলেছিল বাবা আমি বিয়েটা ভান্গতে চায় না।আমি থাকতে চায় স্বামীর সাথে।এখানে কোন কথা,দ্বারা কি তাদের বেবাহিক সম্পর্কে সমস্যা হবে?এর মাঝে নিজের দিকে ইন্গিত করে কোন কেনায়া শব্দে বলেছিল কিনা জানে না।শুধু এটা মনে আছে নিজেকে তালাক দেওয়ার ব্যাপারে ওয়াসওয়াসা আসলে সে না না করত।

৮।৭নং প্রশ্নটা যদি আমার হয়।আমি অন্য জনের দিকে ইন্গিত করে প্রশ্ন করেছি।আমাকে স্বামী পাওয়ার দিছে এতে কি সমস্যা হবে প্রশ্ন করার কারনে?

৯।ধরেন বিয়ের কথা মেয়ের বাসায়,জানে না মানে বিয়ে করে ফেলেছে সেটা জানে না।জানত শুধু প্রেম করে।কিন্তু মা বাবা ছেলেকে দিতে রাজি না।পড়ালেখা চালিয়ে যেতে চায় মেয়েটা।মেয়েটা বাবার বাসায় থাকে।বাসা থেকে অন্য জনেট বিয়ের চাপ না দেওয়ার জন্য স্বামী স্ত্রীকে কিছু কথা বলতে বলে স্ত্রীর মাকে।স্বামী বলে "তুমার মাকে বলবা যে ঐ ছেলেকে যেহেতু আপনারা মেনে নিচ্ছেন না।তাহলে আমি ওকে বিয়ে করব না।আমি যোগাযোগ ও রাখব না।আমি পড়াশোনা করব।করা শেষ হলে বিয়ে করব আপনারা যকে দেন।"স্ত্রী কিন্তু বলে নি মাকে।স্ত্রী বলে আমি বলতে পারব না।স্ত্রীকে পাওয়ার দিছে।স্বামী স্ত্রীর কথায় কিছু  হবে? আরেকবার ও বিয়ের কথা স্ত্রীর বাসায় জানানোর পর যখন মেনে নিচ্ছিল না।তখন চাপ না,দেওয়ার জন্য স্ত্রীকে তার পরিবারে এমন কথা আবার বলতে বলেছিল।কিন্তু তখন ও স্ত্রী বলে নি।এতে কি কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,290 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক এক বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে বা লিখলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,

يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সারমর্মঃ  
সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০২)
না,সমস্যা হবেনা।

(০৩)
স্বামীর ঐ কথাটার পর স্ত্রী তালাক চাইলে তালাক হয়ে যাবেনা।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 

স্বামীর কথাটা শর্ত যুক্ত তালাকের পর্য়ায়ে পরবেনা, অধিকার  দেওয়াও বুঝাবেনা।
এটি ওয়াদা মূলক বাক্য।

(০৫)
এতে স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকলে তালাক হবেনা 

(০৬)
উপরোক্ত প্রশ্নে স্ত্রীর কথা দ্বারা সমস্যা হবেনা।

(০৭)
এতে তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা হবেনা।

(০৮)
এতে আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা হবেনা।

(০৯)
এতে কোন সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...