ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
স্বামী যদি স্ত্রীকে ঠান্ডা মাথায় বলে """তোমাকে আমি মনে মনে এটা দিয়েছি/দিলাম( তালাককে বুঝিয়েছে কিন্তু মুখে শব্দটা উচ্চারণ করেনি এবং ১/২/৩ তালাক এমন কিছুও বলেনি)
★এতে তালাক হবেনা।
★কিন্তু স্বামী যদি স্ত্রীকে স্পষ্ট বাক্যে বলে যে ""আজকে তোমাকে ছেড়ে দিয়েছি। তুমি যদি এখন আমার সাথে থাক তবে তোমার পাপ হবে।""
তাহলে এতে এক তালাকে রাজয়ী পতিত হবে।
ছেড়ে দিলাম শব্দটি যদিও কেনায়া কিন্তু ব্যাপক প্রচলনের কারণে এটা সরিহ তালাকের স্থলাভিষিক্ত হয়ে গেছে।তাই নিয়ত ব্যতীত তালাক পতিত হয়ে যাবে।কিন্তু যেহেতু শব্দটি মূলত কেনায়া তালাকের,তাই সংখ্যার বিষয়ে স্বামীর নিয়ত ধর্তব্য হবে।স্বামীর এক তালাকের নিয়ত করলে এক তালাকই পতিত হবে।তিন তালাকের নিয়ত করলে তিন তালাকই পতিত হবে।তবে ছেড়ে দিবো বললে তালাক হবে না।
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,
لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ
‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]
,
এক্ষেত্রে তালাকের পর স্বামী তালাকের কথা অস্বীকার করলে, আদালতে স্বামীর কথাই গ্রহণযোগ্য হবে। সে হিসেবে বিয়ে বহাল থাকবে।
তালাকের ফায়সালা দেয়া হবেনা।
,
তবে প্রশ্নে উল্লেখিত স্ত্রী যদি স্বামীর তালাক প্রদানের বিষয়ে নিশ্চিত হয় (অর্থাৎ স্ত্রী যদি স্পষ্ট ভাবে ছেড়ে দিয়েছি,এই বাক্য শুনতে পায়) ,তাহলে তার জন্য করণীয় হল, স্বামীর কাছ থেকে খোলা তালাক নিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। যদি এতেও স্বামী রাজি না হয় এবং বাধ্য হয়ে স্ত্রী তার সাথে থাকতে হয়, তাহলে স্ত্রী গুনাহগার না হলেও স্বামী যিনার গুনাহে গুনাহগার হবে।
(রদ্দুল মুহতার ৪/৪৬৩)
আরো জানুনঃ-
(০২)
গর্ভবতী অবস্থায় তালাক দেওয়া উচিত নয়।
তবে এমতাবস্থায় তালাক দিলে শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে তা কার্যকর হয়।
উকিল যেটা বলেছে,সেটি ইসলামী আইন নয়।
বিস্তারিত জানুনঃ-
,
(০৩)
হ্যাঁ, স্ত্রী মোহরানার অর্থ পাবে।
(০৪)
উক্ত স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে চাইলে ফিরিয়ে নিতে পারবে।