আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
278 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (26 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

 স্বামী যদি স্ত্রীকে ঠান্ডা মাথায় বলে """তোমাকে আমি মনে মনে এটা দিয়েছি/দিলাম( তালাককে বুঝিয়েছে কিন্তু মুখে শব্দটা উচ্চারণ করেনি এবং ১/২/৩ তালাক এমন কিছুও বলেনি)।আজকে তোমাকে ছেড়ে দিয়েছি। তুমি যদি এখন আমার সাথে থাক তবে তোমার পাপ হবে।""
এগুলো বলার সময় কোনো সাক্ষী ছিল না স্ত্রী ব্যতীত। এরপর স্ত্রী যখন পর্দা করে সাথে সাথে,তখন স্ত্রীর সাথে অস্বীকার করে। পরে আবার যখন স্ত্রীর বাবা মা এসে জিজ্ঞেস করে তখনও অস্বীকার করে আর কথা ঘুরিয়ে বলে।
প্রশ্ন-০১: এতে কি তালাক হয়েছে? ★স্ত্রী গর্ভবতী অবস্থায় স্বামী এসব বলছে।
★  (উল্লেখ্য, আগেও একবার স্ত্রীকে কয়েকবার" তুমি মুক্ত " বলেছিল। তখন এখানে(আই.ফতোয়া) জিজ্ঞেস করা হলে বলা হয় যে কেনায়া ১ তালাক হয়েছে এতে। কিন্তু তখনও সে এটা অস্বীকার করে যে সে তালাকের কথা মাথায় রেখে বলেনি, বা সে জানেও না যে এভাবে বললে তালাক হয়।তখন শায়েখকে আবার জিজ্ঞেস করা হলে বলেন তাহলে আবার সংসার করতে পারবে, আর সে যদি নিয়তকে অস্বীকার করে তবে তার পাপ হবে,স্ত্রীর হবে না।তাই আবার দুজনে সংসার করে।)

২. ইসলামে কি স্ত্রী গর্ভবতী অবস্থায় তালাক দেওয়া যায়? দিলেও কি তা কার্যকর হয়? একজন উকিলকে জিজ্ঞেস করা হলে বলেন যে এ অবস্থায় নাকি তালাক কার্যকর হয় না।কিন্তু কেউ যদি মুখে তালাক দিয়ে ফেলে তবেও কি তা কার্যকর হবে?

৩. যদি তালাক হয় তবে কি স্ত্রী মোহরানার অর্থ পাবে?

৪. আর স্বামী যদি ফিরিয়ে নিতে চায় তবে কি তা সম্ভব? যদি সম্ভব হয় তবে কি কি করতে হবে এরজন্য?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
স্বামী যদি স্ত্রীকে ঠান্ডা মাথায় বলে """তোমাকে আমি মনে মনে এটা দিয়েছি/দিলাম( তালাককে বুঝিয়েছে কিন্তু মুখে শব্দটা উচ্চারণ করেনি এবং ১/২/৩ তালাক এমন কিছুও বলেনি)

★এতে তালাক হবেনা।

★কিন্তু স্বামী যদি স্ত্রীকে স্পষ্ট বাক্যে বলে যে ""আজকে তোমাকে ছেড়ে দিয়েছি। তুমি যদি এখন আমার সাথে থাক তবে তোমার পাপ হবে।""

তাহলে এতে এক তালাকে রাজয়ী পতিত হবে। 


https://ifatwa.info/6970/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
ছেড়ে দিলাম শব্দটি যদিও কেনায়া কিন্তু ব্যাপক প্রচলনের কারণে এটা সরিহ তালাকের স্থলাভিষিক্ত হয়ে গেছে।তাই নিয়ত ব্যতীত তালাক পতিত হয়ে যাবে।কিন্তু যেহেতু শব্দটি মূলত কেনায়া তালাকের,তাই সংখ্যার বিষয়ে স্বামীর নিয়ত ধর্তব্য হবে।স্বামীর এক তালাকের নিয়ত করলে এক তালাকই পতিত হবে।তিন তালাকের নিয়ত করলে তিন তালাকই পতিত হবে।তবে ছেড়ে দিবো বললে তালাক হবে না।

হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ


‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]
,
এক্ষেত্রে তালাকের পর স্বামী তালাকের কথা অস্বীকার করলে, আদালতে স্বামীর কথাই গ্রহণযোগ্য হবে। সে হিসেবে বিয়ে বহাল থাকবে।
তালাকের ফায়সালা দেয়া হবেনা।
,
তবে প্রশ্নে উল্লেখিত স্ত্রী যদি স্বামীর তালাক প্রদানের বিষয়ে নিশ্চিত হয় (অর্থাৎ স্ত্রী যদি স্পষ্ট ভাবে ছেড়ে দিয়েছি,এই বাক্য শুনতে পায়) ,তাহলে তার জন্য করণীয় হল, স্বামীর কাছ থেকে খোলা তালাক নিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। যদি এতেও স্বামী রাজি না হয় এবং বাধ্য হয়ে স্ত্রী তার সাথে থাকতে হয়, তাহলে স্ত্রী গুনাহগার না হলেও স্বামী যিনার গুনাহে গুনাহগার হবে।
(রদ্দুল মুহতার ৪/৪৬৩)

আরো জানুনঃ- 

(০২)
গর্ভবতী অবস্থায় তালাক দেওয়া উচিত নয়।
তবে এমতাবস্থায় তালাক দিলে শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে তা কার্যকর হয়।

উকিল যেটা বলেছে,সেটি ইসলামী আইন নয়।

বিস্তারিত জানুনঃ- 
,
(০৩)
হ্যাঁ, স্ত্রী মোহরানার অর্থ পাবে।

(০৪)
উক্ত স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে চাইলে ফিরিয়ে নিতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (26 points)
ঐ বোনের স্বামী এখন স্বীকার করছে যে সে এটা বলেছে(কোনো কসম করানো বা প্রেশার ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে জিজ্ঞেস করাতেই স্বীকার করেছে) । কিন্তু এটা মানছে না যে এতে ১ তালাক হয়েছে।অনেক বুঝানোর পরও সে কিছুতেই মেনে নিচ্ছে না।বলে সে নাকি ভালো জানে এতে তালাক হয়,কি  হয়না।। এক্ষেত্রে ঐ বোনের করনীয় কী?
(এভাবে তো সে আবার বলতে পারে আর ইসলামের বিধানকে অমান্য করতে পারে।)
আর স্বামীর ঐ কথা বলার ২.৫ মাস অলরেডি হয়ে গেছে।তিন মাসের মধ্যে যদি নতুন করে বিয়ে না হয়, তাহলে পরে কি আর সুযোগ থাকবে? এইদিকে সেতো মানছেই না, এতে তো সময় চলে যাচ্ছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...