আল্লাহর ভয় অন্তরে সর্বদায় নিয়ে আসতে হবে।
আপনাকে বিভিন্ন রকমের নেক আমল করা এবং গুনাহ বর্জনের পরামর্শ দিচ্ছি। কেননা, যেকোনো নেক আমল ঈমানকে বৃদ্ধি করে। এজন্য কোরআন মজিদে যত জায়গায় ঈমানের কথা এসেছে তত জায়গায় পাশাপাশি নেক আমল করার কথাও এসেছে।
কবর জীবন নিয়ে ভাবতে হবে,মাঝে মাঝে কবরস্থানে যেতে পারেন।
দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতে গিয়ে ঈমান ও আমলের মেহনতের বয়ান মনযোগ দিয়ে শুনতে হবে।
হক্কানী শায়েখদের ঈমান বৃদ্ধির ওয়াজ (রেকর্ডকৃত হলেও তাহা) শুনতে হবে,তাদের লেখা বই পড়তে হবে।
নেককার লোকদের সাহচর্য গ্রহন করতে হবে।
প্রকৃতিতে আল্লাহর নিদর্শনগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করুন। আকাশে মেঘ দেখলে আরবরা খুশি হতো। কিন্তু রাসূলুল্লাহﷺ -এর চেহারা মলিন হয়ে যেতো আযাবের ভয়ে। কারণ সামূদ জাতি আযাব বহনকারী মেঘ দেখে রহমতের বৃষ্টি ভেবে ফূর্তিতে মেতে ছিলো। (মুসলিম, ৮৯৯)
আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ وَاخْتِلاَفِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لآيَاتٍ لِّأُوْلِي الألْبَابِ
নিশ্চয় আসমান ও যমীন সৃষ্টিতে এবং রাত্রি ও দিনের আবর্তনে নিদর্শন রয়েছে বোধ সম্পন্ন লোকদের জন্যে। (সূরা আলি ইমরান ১৯০)
আপনাকে বুঝে বুঝে নবীদের কাহিনী, সাহাবায়ে কেরামের জীবনী,কুরআনের তাফসীর গ্রন্থ ইত্যাদি বুঝে পড়ার পরামর্শ দিচ্ছি।
অধিকহারে আল্লাহর যিকির করুন। কেননা, দুর্বল ঈমানের সুস্থতার জন্য যিকির খুবই উপকারী। আল্লাহর যিকির অন্তরে ঈমানের বীজ বপন করে। মুমিনের অন্তর যিকিরের মাধ্যমে প্রশান্ত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন,
الَّذِينَ آمَنُواْ وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ اللّهِ أَلاَ بِذِكْرِ اللّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ
যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়। (সূরা রা’দ ২৮)
আর্থিক দিকে অনেক স্বাবলম্বী হলে দুনিয়ার আনাচে কানাচে যেখানে আল্লাহ তায়ালা পূর্বের উম্মতদের ধ্বংস করেছেন,সেই এলাকা গুলি দেখে আসতে পারেন