বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ "আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " সিলাহ রেহমি বিষয়টাকে বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।যেমন,
بِمَ تَحْصُل الصِّلَةُ؟
تَحْصُل صِلَةُ الأَْرْحَامِ بِأُمُورٍ عَدِيدَةٍ مِنْهَا:
الزِّيَارَةُ، وَالْمُعَاوَنَةُ، وَقَضَاءُ الْحَوَائِجِ، وَالسَّلاَمُ، لِقَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بُلُّوا أَرْحَامَكُمْ وَلَوْ بِالسَّلاَمِ وَلاَ يَكْفِي مُجَرَّدُ السَّلاَمِ عِنْدَ أَبِي الْخَطَّابِ
كَمَا تَحْصُل الصِّلَةُ بِالْكِتَابَةِ إِنْ كَانَ غَائِبًا، نَصَّ عَلَى ذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ وَالْمَالِكِيَّةُ وَالشَّافِعِيَّةُ، وَهَذَا فِي غَيْرِ الأَْبَوَيْنِ، أَمَّا هُمَا فَلاَ تَكْفِي الْكِتَابَةُ إِنْ طَلَبَا حُضُورَهُ
সাক্ষাতের মাধ্যমে, দেখার মাধ্যমে,আত্মীয়র প্রয়োজন পূর্ণ করার মাধ্যমে,সালামের মাধ্যমে সিলাহ রেহমি করা যেতে পারে।রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,আত্মীয়তার সম্পর্ককে অটুট রাখো চায় সালামের মাধ্যমেই হোক না কেন।আবুল খাত্তাব হাম্বলী রাহ এর দৃষ্টিতে শুধুমাত্র সালাম সিলাহ রেহমির জন্য যথেষ্ট হবে না।
কেউ অনুপস্থিত থাকলে চিঠির মাধ্যমেও সিলাহ রেহমি করা যেতে পারে।এটা হানাফি, মালিকী এবং শাফেয়ী মাযহাবের সিদ্ধান্ত।এ হুকুম মাতা-পিতা ব্যতীত অন্যান্যদের বেলায় প্রযোজ্য।মাতা-পিতা তাদের সন্তানকে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিলে তখন চিঠি দ্বারা সিলাহ রেহমি করা যথেষ্ট হবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1577
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যে আত্মীয় ঝগড়া বাধিয়ে দেয়, এমন আত্মীয়র সাথে মনের সম্পর্ক না রেখে বাহ্যিক সালাম কালাম এবং কথাবার্তার সম্পর্ক রাখবেন। নিজের বিষয়াদিতে তাকে তেমন না জড়ানোই উচিৎ। এতেকরে আত্মীয়তার সম্পর্কও বহাল থাকবে,এবং তার থেকে অযাচিত কোনো বিষয়ের ভয়ও থাকবে না। তবে তার সাথে চিরতরে সম্পর্ক ছিন্ন করা জায়েয হবে না।