আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
202 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (6 points)
reshown by
আসসালামুআলাইকুম

আমি একটা প্রতিষ্ঠানে কাজের জন্য টাকা রেখেছিলাম। টাকা টা আমি যখন ইচ্ছা তাদের থেকে নিয়েনিতে পারতাম এমন সুবিধা ছিলো। আর টাকা নেয়ার সময় তারা কিছু ফি নিতো সেটা অল্প পরিমাণ। তাদের কাছে শুধু কাজের জন্য টাকা রাখাছিলো তাদের থেকে লাভ/সুদ নেয়ার জন্য না।


বর্তমানে তাদের কাছে ফান্ড না থাকায় বা তাদের ব্যবসায় ক্ষতির কারণে আমাদের টাকা দিতে পারছে না। তারা সুদী ব্যবসা ও করে। এখন তারা আমাদের তাদের একটা নিয়ম মানতে বাধ্য করেছে।


তাদের নিয়ম হলো যারা তাদের কাছে আগে টাকা রেখেছে তাদের মধ্যে অনেকের টাকা তাদের দেয়ার মতো সামর্থ্য না থাকার কারনে অনেকের টাকা তারা আটকিয়ে দিয়েছে। এবং তারা একটা নিয়ম করেছে তারা আমাদের টাকার 200% মুনাফা দিবে। ব্যাপার টা সুদের মতোই মনেহচ্ছে কিন্ত তাদের নিয়ম টা যদি একটু খুলে বলি।


ধরেন, আমার ১০০ টাকা তাদের কাছে ছিলো। এখন তারা আমাকে ৩০০ টাকা দিবে। প্রতিদিন এই ৩০০ টাকার 0.01% করে দিবে। যেটা আমার পেতে ২০-৩০ বছর সময় লাগতে পারে। এবং তাদের কিছু শর্ত আছে সেটা মানলে প্রতিদিন 0.01% থেকে বাড়তে পারে।


এখন তারা টাকা আটকিয়ে দিয়েছে বলে বাধ্য হয়ে তাদের নিয়ম মানতে হচ্ছে। তারা 0.01% করে প্রতিদিন দিবে যতদিন তারা দিতে পারবে। যদি তারা দেওলিয়া হয়েযায় তাহলে আর দিবে না বা টাকা পাবার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। আর যদি তাদের কাছে দেয়ার মতো সামর্থ্য থাকে তাহলে দিবে।


এখন আমাদের টাকা তাদের ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা যদি দেওলিয়া হয়েযায় তাহলে আমাদের টাকাও গেছে। এখন এই 200% মুনাফা নেয়া টা আমার জন্য সুদ হবে?

1 Answer

0 votes
by (591,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী  উক্ত পদ্ধতির লেনদেন সুদ হবে। আপনি যদি নিরুপায় হন।অর্থাৎ এই টাকা উসূলের কোনো রাস্তাই আপনার নিকট না থাকে, তাহলে যেভাবেই হোক, আপনি তাদের কাছ থেকে শুধুমাত্র মূলধন উসুল করতে পারবেন।অতিরিক্ত কিছুই আপনি উসূল করতে পারবেন না।

আল্লাহ তা'আলা ব্যবসা ও সুদ সম্পর্কে বলেন,
الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لاَ يَقُومُونَ إِلاَّ كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُواْ إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا وَأَحَلَّ اللّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا فَمَن جَاءهُ مَوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّهِ فَانتَهَىَ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللّهِ وَمَنْ عَادَ فَأُوْلَـئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে।(সূরা বাকারা-২৭৫) 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...