জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১) আয়রন যুক্ত বা আয়রন মিশ্রিত পানি পাক।
ইহা থেকে অযু গোসল করা জায়েজ আছে।
হাদিস শরিফে এসেছে,
উম্মে হানি রাযি. বলেন,
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ اغْتَسَلَ هُوَ وَمَيْمُونَةُ مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ فِي قَصْعَةٍ فِيهَا أَثَرُ الْعَجِينِ
রাসুলুল্লাহ ﷺ ও মায়মূনা রাযি. একই পাত্রে গোসল করেছেন, তা এমন পাত্র ছিল যাতে আটার খামিরের চিহ্ন ছিল। (নাসাঈ ২৪০)
‘হিদায়া’গ্রন্থে এসেছে,
وَتَجُوزُ الطَّهَارَةُ بِمَاءٍ خَالَطَهُ شَيْءٌ طَاهِرٌ فَغَيَّرَ أَحَدَ أَوْصَافِهِ ، كَمَاءِ الْمَدِّ وَالْمَاءِ الَّذِي اخْتَلَطَ بِهِ اللَّبَنُ أَوْ الزَّعْفَرَانُ أَوْ الصَّابُونُ أَوْ الْأُشْنَانُ
পানির সাথে কোন পাক জিনিস মিশ্রিত হয় আর তা পানির (তিনটি গুণে) কোন একটিকে পরিবর্তন করে দেয়, সে পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা বৈধ। যেমন বন্যার ঘোলা পানি এবং জাফরান, সাবান ও ‘উশনান’ মিশ্রিত পানি।
,
(০২)
বিয়ের ওলি (অভিভাবক) হওয়ার জন্য শর্তঃ
১. সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন হওয়া।
২. প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া।
৩. দাসত্বের শৃঙ্খল হতে মুক্ত হওয়া।
৪.অভিভাবককে কনের ধর্মের অনুসারী হওয়া। সুতরাং কোন অমুসলিম ব্যক্তি মুসলিম নর-নারীর অভিভাবক হতে পারবে না। অনুরূপভাবে কোন মুসলিম ব্যক্তি অমুসলিম নর-নারীর অভিভাবক হতে পারবে না। তবে অমুসলিম ব্যক্তি অমুসলিম নারীর অভিভাবক হতে পারবে, যদিও তাদের উভয়ের ধর্ম ভিন্ন হোক না কেন। কিন্তু মুরতাদ ব্যক্তি কারো অভিভাবক হতে পারবে না।
৫. আদেল বা ন্যায়বান হওয়া। অর্থাৎ ফাসেক না হওয়া। কিছু কিছু আলেম এ শর্তটি আরোপ করেছেন। অন্যেরা বাহ্যিক আদালতকে (দ্বীনদারিকে) যথেষ্ট ধরেছেন। আবার কারো কারো মতে, যাকে তিনি বিয়ে দিচ্ছেন তার কল্যাণ বিবেচনা করার মত যোগ্যতা থাকলে চলবে।
৬.পুরুষ হওয়া। দলীল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী- “এক মহিলা আরেক মহিলাকে বিয়ে দিতে পারবে না। অথবা মহিলা নিজে নিজেকে বিয়ে দিতে পারবে না। ব্যভিচারিনী নিজে নিজেকে বিয়ে দেয়।”[ইবনে মাজাহ (১৭৮২) ও সহীহ জামে (৭২৯৮)।
৭. বুদ্ধিমত্তার পরিপক্কতা থাকা। এটি হচ্ছে বিয়ের ক্ষেত্রে সমতা (কুফু) ও অন্যান্য কল্যাণের দিক বিবেচনা করতে পারার যোগ্যতা।
★★ওলির জন্য যেহেতু কেহ কেহ বলেছেন যে যাকে তিনি বিয়ে দিচ্ছেন তার কল্যাণ বিবেচনা করার মত যোগ্যতা থাকলেই চলবে।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মেয়ের বাবা ফাসেক হলেও সে বিবাহের ক্ষেত্রে ওলি হতে পারবে।
এই বিবাহ ছহীহ হবে।
(০৩)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী বিড়ালকে কষ্ট দেওয়া নাজায়েজ।
হাদিস শরিফে আছে, আবু হুরাইরা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
عُذِّبَتِ امْرَأَةٌ في هِرَّةٍ، سَجَنَتْها حتَّى ماتَتْ، فَدَخَلَتْ فيها النَّارَ، لا هي أطْعَمَتْها وسَقَتْها، إذْ هي حَبَسَتْها، ولا هي تَرَكَتْها تَأْكُلُ مِن خَشاشِ الأرْضِ
জনৈক মহিলাকে একটি বিড়ালের কারণে আজাব দেওয়া হয়। সে বিড়ালটিকে বন্দি করে রাখে, এ অবস্থায় সেটি মারা যায়। সে এটিকে বন্দি করে রেখে পানাহার করায় নি এবং তাকে ছেড়েও দেয় নি, যাতে সে (নিজে) জমিনের পোকা-মাকড় খেতে পারে। ‘ (সহিহ বুখারি ৩৪৮২,সহীহ মুসলিম, হা/5745,অধ্যায়ঃ সালাম (كتاب السلام)-পরিচ্ছদঃ বিড়াল হত্যা করা হারাম-হাদীস একাডেমী)
,
তবে বিড়াল যদি ক্ষতিকর হয়,বা ডিস্টার্ব করে,বা বেশি হয়ে যাওয়ার কারনে সমস্যা সৃষ্টি করে,তাহলে দূরে কোথাও রেখে আসা জায়েজ হবে।
তবে এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যে নিয়ে যাওয়া,রেখে আসার ক্ষেত্রে বিড়ালকে যেনো কষ্ট না দেওয়া হয়।
এবং বিড়ালকে যেনো নিরাপদ জায়গায় রেখে আসা হয়।
,
এই দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।