https://ifatwa.info/42680/ নং এ আমি প্রশ্ন করেছিলাম ঃ
৩।আমি এক কলেজে পড়তাম তারপর আমি কলেজে ভর্তি বালিত করার জন্য আমি এবং আমার বাবা স্যারদের সাথে কথা বললে তারা বলল যে আমি যেই সেমিস্টারে পড়েছি সেই সেমিস্টারের টাকা এবং পরের সেমিস্টারের মানে যেই সেমিস্টারে আমি এখনো পড়ি নাই সেই সেমিস্টারের টাকাসহ দিতে হবে। আমরা তাকে পরের সেমিস্টারের টাকা দিতে রাজি না হলে তারা আমার ভর্তি বাতিল করতে রাজি হয় নাই। আমরা আর কিছুই বলি নাই আমরা সেখান থেকে চলে আসি এবং আমরা টাকাও দেই নাই। আর আমরা নিয়ত করেছি আমরা তাকে টাকাও দেব না কারন তারা পরের সেমিস্টারের টাকাসহ নিবে তাই। এবং আমি কলেজেও এখন আর যাই না আমি এখন কাজ শিখছি।আর আমরা মনে করেছি তারা আমার ভর্তি এমনিতেই বাতিল করে দিবে। কিন্তু কিছুদিন পরে তারা আমাকে কলেজর পরিক্ষার জন্য কল দেয় আমি তাদেরকে বলে দেয় আমি আর পরব না। কিন্তু কিছুদিন পরে তারা আমাকে উপবৃত্তির টাকা দেয়। এখন আমি বুঝতে পারছি যে তারা আমার ভর্তি বাতিল করে নাই কারন উপবৃত্তির টাকা কলেজের সকল ছাত্র ছাত্রীদের দেয়া হয়। এখন আমি কি করব সেই উপবৃত্তির টাকা কারন আমিতো নিয়ত করেছি আমি আর কলেজে আর পরবনা ইন শা আল্লাহ। আর কলেজে আমার ভর্তি এখনও বাতিল করে নাই আমার নাম এখন সেই কলেজে ছাত্র হিসেবে আছে। কিন্তু আমি সেই কলেজে আর পরব না ইন শা আল্লাহ। এখন আমি সেই উপবৃত্তির টাকা কি করব। এখন সেই উপবৃত্তির টাকা কি আমার জন্য নেয়া কি জায়েজ নাকি জায়েজ নেই??❓ ❓
আপনি উত্তর দিয়েছেন ঃ
(৩)
দেখেন উপবৃত্তির টাকা মূলত ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্যই দেয়া হয়ে থাকে, যেহেতু আপনি এখন আর পড়াশোনা করবেননা, তাই আপনার জন্য উপবৃত্তি গ্রহণ জায়েয হবে না।
হাসান ইবনে আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে।
ﻭﻋﻦ ﺍﻟﺤَﺴَﻦِ ﺑﻦ ﻋَﻠﻲٍّ ﺭﺿﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﻔِﻈْﺖُ ﻣِﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ : « ﺩَﻉْ ﻣَﺎ ﻳَﺮِﻳﺒُﻚَ ﺇِﻟﻰ ﻣَﺎ ﻻ ﻳﺮِﻳﺒُﻚ » ﺭﻭﺍﻩُ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ ﺻﺤﻴﺢٌ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি।তিনি বলেন,সন্দেহ যুক্ত জিনিষকে পরিহার করে সন্দেহমুক্ত জিনিষকে গ্রহণ করো।(সুনানু তিরমিযি-২৪৪২)
এখন আমার প্রশ্ন হলোঃ
আমি কি সেই উপবৃত্তির টাকা ধার নিতে পারব অবশ্য আমি তা পরে পরিশোধ করে দিব ইন শা আল্লাহ। ওই উপবৃত্তির টাকা আমার কাছেই আছে?