আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
199 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (189 points)
edited by
শায়েখ আপনি উত্তর দিয়েছেন,
স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে নিয়ত ছাড়া, "যেই জামাই ভালো হবে ওই জামাইরে বিয়া কইরো যাও" স্বামীর এই কথা বলার পর এটা তালাকের মজলিশ হবে।

ঘটনা-

স্বামী স্ত্রীকে নিয়ত ছাড়া বলে "যেই জামাই ভালো হবে ওই জামাই বিয়া কইরো যাও", এই কথাটি বলার পর স্ত্রী অনেক ভয় পেয়ে যায়। বলে "তুমি এই কথা কেন বললা"।
স্বামী জানে স্ত্রী তালাকের ওয়াসোওসায় থাকে সবসময়। তখন স্ত্রীর ভয় দেখে স্বামী অনেক রাগ হয়ে বলে "তোমার মাথায় শয়তান ভালো মত ঢুকছে, তুমি শান্তিতে থাকবা না। তোমার সংসার অশান্তির হবে। শয়তান তোমারে দিয়ে এইসব চিন্তা করাইতেছে, তুমি শেষ। তোমার জীবন এই ভাবেই যাবে" এইভাবে অনেক কিছু বলে স্ত্রীকে বুঝানোর জন্য।

১. যেহেতু তালাকের মজলিশ হবে তাই স্বামীর এই কথা গুলা "তোমার মাথায় শয়তান ভালো মত ঢুকছে, তুমি শান্তিতে থাকবা না। তোমার সংসার অশান্তির হবে। শয়তান তোমারে দিয়ে এইসব চিন্তা করাইতেছে, তুমি শেষ। তোমার জীবন এই ভাবেই যাবে"  এইসব বলাতে কি তালাক হবে?

২. তালাকের মজলিশে  স্বামী যদি বলে " শয়তান তোমারে শান্তিতে থাকতে দিবে না। তুমি শেষ।"
এইখানে তুমি শেষ বলতে স্ত্রী ওয়াসওয়াসার রোগী তাই স্বামী বলছে তুমি শেষ।
এইখানে স্বামী তাদের সম্পর্কের কথাকে উদ্দেশ্য করে কিছুই বলে নাই। কথা হচ্ছিল স্ত্রী তালাকের ওয়াসওয়াসায় থাকে সবসময় তাই এইসব নিয়ে কথা হচ্ছিল।
"তুমি শেষ" কথাটি বলেছে স্ত্রী তালাকের মারাত্মক ওয়াসওয়াসার রোগী, শয়তান তাকে তালাকের ওয়াসওয়াসা দিচ্ছে তাই বলেছে, তুমি শেষ।
যেহেতু তালাকের মজলিশ হবে, স্বামীর এই কথা "শয়তান তোমারে শান্তিতে থাকতে দিবে না।তুমি শেষ।" এই কথার জন্য কি তালাক হবে?

৩. "তুমি শেষ" এইটাতো কোনায় বাক্য। শয়তান স্ত্রীর মাথায় তালাকের ওয়াসওয়াসা দিয়েছে সেই প্রসঙ্গে এইখানে স্বামী বলছে "তুমি শেষ"। তালাকের মজলিশে "তুমি শেষ" কথাটি অন্য প্রসঙ্গে বলেছে। আশা করি বুঝাতে পেরেছি।
তাদের সম্পর্ক কি ঠিক আছে?

৫. এইসব কথা মেসেজে হয়। যেহতু মেসেজে হয় তালাকের মজলিশ হওয়ার পর যদি অন্য একটি বিষয় নিয়ে কথা হয় যেমন, "ফোন দিও না। নেট নাই। বুঝতেছ না বলছি ফোনে নেট নাই" তাহলে কি তালাকের মজলিস শেষ হয়ে যাবে? যেহতু অন্য বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে?

৬. "কিছু হইলে তোমার বাড়াবাড়ির জন্যই হবে" এইটা কি কেনায়া বাক্য?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
১. যেহেতু তালাকের মজলিশ হবে তাই স্বামীর এই কথা গুলা "তোমার মাথায় শয়তান ভালো মত ঢুকছে, তুমি শান্তিতে থাকবা না। তোমার সংসার অশান্তির হবে। শয়তান তোমারে দিয়ে এইসব চিন্তা করাইতেছে, তুমি শেষ। তোমার জীবন এই ভাবেই যাবে"  

এইসব বলাতে  তালাক হবে না।

২.

" শয়তান তোমারে শান্তিতে থাকতে দিবে না। তুমি শেষ।"
এইখানে তুমি শেষ বলতে স্ত্রী ওয়াসওয়াসার রোগী তাই স্বামী বলছে তুমি শেষ।
এইখানে স্বামী তাদের সম্পর্কের কথাকে উদ্দেশ্য করে কিছুই বলে নাই। কথা হচ্ছিল স্ত্রী তালাকের ওয়াসওয়াসায় থাকে সবসময় তাই এইসব নিয়ে কথা হচ্ছিল।
"তুমি শেষ" কথাটি বলেছে স্ত্রী তালাকের মারাত্মক ওয়াসওয়াসার রোগী, শয়তান তাকে তালাকের ওয়াসওয়াসা দিচ্ছে তাই বলেছে, তুমি শেষ।
যেহেতু তালাকের মজলিশ হবে, স্বামীর এই কথা "শয়তান তোমারে শান্তিতে থাকতে দিবে না।তুমি শেষ।"

 এই কথার জন্য তালাক হবে না।



৩. "তুমি শেষ" কথা দ্বারা উপরোক্ত বর্ণিত পরিস্থিতিতে তালাক হবে না। অনেক কারণে,এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হল, তালাকের মজলিসই তো হয়নি।দ্বিতীয়ত 'তুমি শেষ' কথাটা কেনায়া শব্দ হিসেবে সুপরিচিতও নয়।

৫. এইসব কথা মেসেজে হয়। যেহতু মেসেজে হয় তালাকের মজলিশ হওয়ার পর যদি অন্য একটি বিষয় নিয়ে কথা হয় যেমন, "ফোন দিও না। নেট নাই। বুঝতেছ না বলছি ফোনে নেট নাই" তাহলে তালাকের মজলিস শেষ হবে না।

৬. "কিছু হইলে তোমার বাড়াবাড়ির জন্যই হবে" এইটাও কেনায়া বাক্য নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,260 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...