ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
১. যেহেতু তালাকের মজলিশ হবে তাই স্বামীর এই কথা গুলা "তোমার মাথায় শয়তান ভালো মত ঢুকছে, তুমি শান্তিতে থাকবা না। তোমার সংসার অশান্তির হবে। শয়তান তোমারে দিয়ে এইসব চিন্তা করাইতেছে, তুমি শেষ। তোমার জীবন এই ভাবেই যাবে"
এইসব বলাতে তালাক হবে না।
২.
" শয়তান তোমারে শান্তিতে থাকতে দিবে না। তুমি শেষ।"
এইখানে তুমি শেষ বলতে স্ত্রী ওয়াসওয়াসার রোগী তাই স্বামী বলছে তুমি শেষ।
এইখানে স্বামী তাদের সম্পর্কের কথাকে উদ্দেশ্য করে কিছুই বলে নাই। কথা হচ্ছিল স্ত্রী তালাকের ওয়াসওয়াসায় থাকে সবসময় তাই এইসব নিয়ে কথা হচ্ছিল।
"তুমি শেষ" কথাটি বলেছে স্ত্রী তালাকের মারাত্মক ওয়াসওয়াসার রোগী, শয়তান তাকে তালাকের ওয়াসওয়াসা দিচ্ছে তাই বলেছে, তুমি শেষ।
যেহেতু তালাকের মজলিশ হবে, স্বামীর এই কথা "শয়তান তোমারে শান্তিতে থাকতে দিবে না।তুমি শেষ।"
এই কথার জন্য তালাক হবে না।
৩. "তুমি শেষ" কথা দ্বারা উপরোক্ত বর্ণিত পরিস্থিতিতে তালাক হবে না। অনেক কারণে,এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হল, তালাকের মজলিসই তো হয়নি।দ্বিতীয়ত 'তুমি শেষ' কথাটা কেনায়া শব্দ হিসেবে সুপরিচিতও নয়।
৫. এইসব কথা মেসেজে হয়। যেহতু মেসেজে হয় তালাকের মজলিশ হওয়ার পর যদি অন্য একটি বিষয় নিয়ে কথা হয় যেমন, "ফোন দিও না। নেট নাই। বুঝতেছ না বলছি ফোনে নেট নাই" তাহলে তালাকের মজলিস শেষ হবে না।
৬. "কিছু হইলে তোমার বাড়াবাড়ির জন্যই হবে" এইটাও কেনায়া বাক্য নয়।