আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
202 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (41 points)
reopened by
1।আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। একজন মেয়ে মা বাবা না জানে মত বিয়ে করে।এখনো বাবার বাড়িতে থাকে।মা বাবা কেউ মেনে নেয় নি বিয়েটা।মা বাবা এখনো চায় মেয়ে যেন বিয়েটা ভেন্গে দেয়,চলে আসে ঐ বিয়ে থেকে।কিন্তু মেয়েটা আসবে না বলে দিছে।সে বলেছে বিয়ে করেছি যতদিন বাচি স্বামীর সাথেই বাচব ইনশাল্লাহ। মরে গেলেও আসব না। মা অনেক অনেক বেশি অভিশাপ দিচ্ছে এখনো।যেমনঃওর বাচ্চারাও ওকে এমন কস্ট দিক যা আমি পাচ্ছি, একটা মরে গেছে না এখন নাই আমি ও যাবে গা আর কি,আমি মরে গেলে দেখতে আসবি না ইত্যাদি ।কান্না করে করে থাকে।শুধু একটাই দোষ ছেলেটা ব্যাবসা মানে মিস্টির দোকান করে,চাকরী করে না আর সমবয়সী সেটা।মেয়েটার মা বাবা ২ জনই চাকরী করে।মেয়েটার মা বেশি হিংসা করে কথা বলে ছেলেটার নামে,বলে যে চায়ের দোকানদারকে মেয়ে দিব নাকি?কিন্তু ছেলেটার মিস্টির শোরুম ওটা।আর ছেলেটার ভাই নিজে  অনেক সুদী টাকা নিছে খালি স্টাম্ফে ছেলেটার সাইন নিছে,ছেলেটা জানতই না ভাইকে বিশ্বাস করে সাইন দিছে।অনেক টাকা নিছে লোন।ছেলেটা সেই সুদী টাকা থেকে বাচার জন্য নিজের ঘরের উঠোন বিক্রি করে দিছে।কিন্তু ঘর আর  ছোট একটু জায়গা থাকবে।আগে টাকা পয়সা ছিল এখন একটু কস্টে পরে গেছে ঐ সুদী টাকা গুলোর কারনে।ভালভাবে ব্যাবসাটা চললে ইনশাল্লাহ সবকিছু আগের মত স্বাভাবিক হবে বা হতে পারে।এসব কিছু জানার পর মেয়েটার মা আরো ক্ষেপে গেছে।মেয়েটা মাকে বুঝিয়েছে তবু ঐরকম করে মা।আরো একজনও বুঝিয়েছিল ছেলেটা অনেক ভাল,তবু এমন করে ওর মা।শুধু এই বিষয়ে না আগে থেকেই মেয়েটার মা রাগ উঠলে কথায় কথায় অভিশাপ দিত নিজের বাচ্চাদের। মেয়েটা স্বামীর সাথে থাকবে।মেয়েটা আরো বলে দিলে দেগ্গা অভিশাপ আর কত?  সেও কস্ট নিয়ে বলে কতাটা।সে স্বামীর সাথে থাকবে কি গুণাহ হবে? আর মা যে অভিশাপ দিচ্ছে এটা কিছু করার নাই?মায়ের পায়ে ধরে কান্না করলেও মানবে না মা।বলেছে ও মরে গেলে আমার সামনে ছটপট করতে করতে মরে যাইতে পারবে যে আমি মেনে নিব না ওর মা বলতেছে।অভিশাপ থেকে বাচার কোন উপায়,নাই?মেয়েটার বিয়ে হয়েছে স্বামীর সাথে থাকতে চায় এটার জন্য অভিশাপ দিলে এটা কি কবুল হবে?

2।মেয়েটার স্বামী বলতেছে কি চাচ্ছে যে ওনি? মরে গেলে খুশি হবে নাকি কোথাও আজীবনের জন্য চলে গেলে খুশি হবে জিগ্যেস কর।এ কথা দ্বারা কি কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780
চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1525

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
কু'ফু মিল না হলে, মেয়ের বাবার সিদ্বান্তের উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে। বাবা সিদ্ধান্ত নিলে বিয়ে শুদ্ধ হবে নতুবা শুদ্ধ হবে না।

মায়ের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরও যদি মা বদ দু'আ দেন, তাহলে এতেকরে সন্তানের উপর বদ দু'আ পড়বে না।

(২)
মেয়েটার স্বামী বলতেছে কি চাচ্ছে যে ওনি? মরে গেলে খুশি হবে নাকি কোথাও আজীবনের জন্য চলে গেলে খুশি হবে জিগ্যেস কর।এ কথা দ্বারা কোন সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (41 points)
কুফু  মানে বুঝি না শায়খ।ছেলেটার অবস্হা আগে ভাল ছিল বিয়ের সময়, টাকা পয়সা ছিল।এখন একটু সমস্যায় পরেছে।আর মেয়েটার বাবা মা চাকরী করে।ছেলেটা ব্যাবসা করে আর মেয়েটার সমবয়সী এটাই সমস্যা।ওরা স্বামী স্ত্রী হিসেবে থাকলে গুনাহ হবে নাকি?
by (597,330 points)
প্রশ্নের বিবরণ মতে কু'ফু ঠিক রয়েছে। এতে কোনো সমস্যা হবে না। বিয়ে হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...