ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সহসাই আমাদের সামনে একটি প্রশ্ন আসে যে,
পুরুষ কর্তৃক নন মাহরামকে দেখা এবং নারী কর্তৃক নন মাহরাম কে দেখা কি সমান?
উত্তরে বলা হবে, না,সমান নয়।বরং উভয়ের বিধি-বিধানের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।
নারী কর্তৃক পুরুষ দেখা
فَأَمَّا نَظَرُ الْمَرْأَةِ إلَى الرَّجُلِ فَهُوَ كَنَظَرِ الرَّجُلِ إلَى الرَّجُلِ لِمَا بَيَّنَّا أَنَّ السُّرَّةَ وَمَا فَوْقَهَا وَمَا تَحْتَ الرُّكْبَةِ لَيْسَ بِعَوْرَةٍ مِنْ الرَّجُلِ وَمَا لَا يَكُونُ عَوْرَةً فَالنَّظَرُ إلَيْهِ مُبَاحٌ لِلرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ كَالثِّيَابِ وَغَيْرِهَا---الي ان قال----
وَإِنَّمَا يُبَاحُ النَّظَرُ إلَى هَذِهِ الْمَوَاضِعِ إذَا عَلِمَ أَنَّهُ لَا يَشْتَهِي إنْ نَظَرَ
নারী কর্তৃক পুরুষ দেখার বিষয়টা যেমন, পুরুষ কর্তৃক কোনো পুরুষকে দেখা। যেমন, আমরা ইতিপূর্বে বর্ণনা করেছি, নাভীর উপরের অংশ এবং ঘন্টার নিচের অংশ সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়। আর যা সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়, সেইদিকে থাকানো নাজায়েয নয়। নারী পুরুষ সকলের জন্য থাকানো বৈধ।নারীদের জন্য পুরুষদের দিকে তাকানোর উক্ত বিধান ফিতনা না থাকা অবস্থার জন্য প্রযোজ্য। (মাবসুত-সারখাসি১০/১৪৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হানাফি ফিকহ অনুযায়ী জরুরতে গায়রে মাহরাম পুরুষের সাথে কথা বলতে পারবে এবং জরুরতে দেখতেও পারবে। তবে ফিতনার সম্ভাবনা থাকলে কিন্তু দেখতে পারবে না।