ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
নামাজের সময় ভুল করে হাচি বা কাশি আসলে নামাজ ভঙ্গ হবে না।
(২)
নামাযে ক্রন্দনের সবব বা কারণ যদি শারিরিক কষ্ট বা কোনো বিপদাপদ হয় তাহলে এর দ্বারা নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা তখন সেটাকে মানুষের কথা হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
আর যদি ক্রন্দনের সবব জান্নাত-জাহান্নমের আলোচনা হয়, তাহলে এদ্বারা নামায ফাসিদ হবে না। কেননা তা মানুষের কথা হিসেবে বিবেচ্য হবে না বরং তা বেশী তাকওয়া ও ভয়ের উপর প্রমাণ করবে। এবং এটাই নামাযের আসল উদ্দেশ্য। সুতরাং তা তাসবীহাতের অন্তর্ভূত থাকবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/431
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার নামায ফাসিদ হবে না।
(৩)
এমনটা করা কখনো উচিৎ না।
(৪)
মাফ করে দেওয়াই নববী সুন্নাহ।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/19877
(৫)
না,গোনাহ হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379
(৬)
তাওবাহ অর্থ অতীতের গোনাহের জন্য তাওবাহ করা।আর ইস্তেগফা অর্থও ক্ষমা চাইওয়া।তাওবাহ তিনটি শর্ত। অর্থাৎ ঐ কাজ ছেড়ে দিয়ে বর্তমানে পরিত্যাগ করা এবং ভবিষ্যতে না দৃঢ় সংকল্প করা।
(৭)
এমন কোনো কথা আমরা জানি না। তবে এই দু'আ বিশুদ্ধ এবং এই দু'আর অনেক ফযিলত রয়েছে।
(৮)
ভুলবশত কারো হক নষ্ট হলে, তাহলেও তা আদায় করতে হবে অথবা তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।