ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রুহ শব্দ দ্বারা কুরআনে বিভিন্ন অর্থ বুঝানো হয়েছে।কখনো জিবরাইল আঃ কে বুঝানো হয়েছে আবার কখনো ইসা আঃ কে বুঝানো হয়েছে। আবার কখনো আত্মাকে বুঝানো হয়েছে।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الرُّوحِ ۖ قُلِ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُم مِّنَ الْعِلْمِ إِلَّا قَلِيلًا
তারা আপনাকে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দিনঃ রূহ আমার পালনকর্তার আদেশ ঘটিত। এ বিষয়ে তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে। (সূরা বনি ইসরাঈল-৮৫)
(২)
কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম মনে করেন,রুহ আর নফস একই জিনিষ।তারা বলে থাকেন, কুরআনে কারীমে নফস এবং রুহ উভয় শব্দ উল্লেখ করে একটি দ্বারা অন্যটিকে উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে। কাজেই নফস এবং রুহ একই জিনিষ।
অন্যদিকে কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম বলেন,
রুহ একটি জিনিষ আর নফস ভিন্ন একটি জিনিষ।নফস মৃত্যু বরণ করে তবে রুহ মৃত্যু বরণ করেনা।
.
كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ ۗ وَإِنَّمَا تُوَفَّوْنَ أُجُورَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۖ فَمَن زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ ۗ وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا مَتَاعُ الْغُرُورِ
প্রত্যেক প্রাণীকে আস্বাদন করতে হবে মৃত্যু। আর তোমরা কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে দোযখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, তার কার্যসিদ্ধি ঘটবে। আর পার্থিব জীবন ধোঁকা ছাড়া অন্য কোন সম্পদ নয়।(সূরা আলে ইমরান-১৮৫)
তবে রুহ কখনো মৃত্যু বরণ করেনা।কেননা রুহ আল্লাহ নিকট চলে যায়।
আবার কেউ কেউ বলেন, রুহ হল, আল্লাহর হুকুম এবং নফস হল,শ্বাসপ্রশ্বাস।
(৩)
রুহ সৃষ্ট। আল্লাহর মাখলুক।