বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
যেহেতু স্বামী তালাকের অধিকার দেয়নি, শুধুমাত্র স্বাক্ষরের কারণে স্ত্রী দিয়ানাতান তথা আল্লাহর আদালতে স্ত্রী তালাকের কোনো অধিকার পাবে না। তবে কাযাআতান তথা দুনিয়ার সাধারণ নিয়ম হিসেবে তথা স্ত্রী যদি কখনো কোর্টে তালাকের অধিকার নিয়ে মামলা দায়ের করে, তাহলে কাযী বা বিচারক স্ত্রীকে তালাকের অধিকারীনী বলে সিদ্ধান্ত দিবেন।কেননা যেভাবেই হোক কাবিনননামায় তো তালাকের অধিকার দেয়া হয়েছে,এবং স্বামীর স্বাক্ষরও তাতে রয়েছে।
كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية،1/379, المحيط البرهانى،-4/486، تاتارخانية، -3/380)
ভাবার্থ- প্রত্যেক ঐ তালাকনামা যা স্বামী লিখেনি,স্বামী অস্বীকার করলে কোনো তালাকই পতিত হবে না।
(২)
কেউ যদি তার স্ত্রীকে ভয় দেখানোর জন্য বলে, "তুমি ওই জায়গায় গেলে তালাক দিবো"
স্বামীর এই কথার জন্য স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না তবে এটা তালাকে মুয়াল্লক হয়ে যাবে।তথা স্ত্রী ঐ জায়গায় গেলে অটোমেটিক তালাক হয়ে যাবে।যেহেতু স্বামীর নিয়তে তালাকের কোনো সংখ্যা ছিলনা, তাই সর্বনিম্ন তালাক ১ টি পতিত হবে।অর্থাৎ স্ত্রী ঐ জায়গায় যাওয়ার সাথে সাথে স্ত্রীর উপর ১ তালাক পতিত হয়ে যাবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/10666