মানসিক কষ্ট আর নিতে পারছি না

Question

প্রিয় শায়েখ,
আসসালামু আলাইকুম।
স্ত্রীকে তোমাকে প্রয়োজন নেই বলেছিলাম আমার যতদুর মনে পড়ে তালাক দেবার উদ্দেশ্যে বলিনি।
এরপর থেকে আমি বার বার "তোমাকে প্রয়োজন নেই" কথাটি  উচ্চারণ করতে থাকি এবং বোঝার চেষ্টা করতে থাকি আমি কোন নিয়তে বললাম। এভাবে বেশ কিছুদিন চলেছে। অনেক কষ্ট পেয়েছি। পরে  আবার তালাকের অন্য চিন্তা মাথায় ডুকেছে। একটা চিন্তা গেলে আর একটা মাথায় ঢুকছে। কয়দিন গেলো, এখন আবার মনে হচ্ছে, আমি যখন বার বার "তোমাকে প্রয়োজন নেই" উচ্চারন করতাম তখন আমার ওয়াইফ তালাক হয়ে যায় নি তো!  আমি এসব ভাবতে ভাবতে পাগল হয়ে যাচ্ছি।
আমি কোন বিষয় থেকে সহজে বেরিয়ে আসতে পারিনা। সবসময় মনে হতে থাকে। মাস খানেক হলো তালাকের বিষয়টা আমার মাথায় এমন ভাবে বসেছে যে আমি ভুলতে পারছি না। ছোট ছোট বিষয় নিয়ে ভয় হচ্ছে। মনে হচ্ছে আমার ওয়াইফ মনে হয় তালাক হয়ে গেছে। খুব মানসিক কষ্টে আছি। ওয়াইফ এর সাথে কথা ও বলতে পারছি না ঠিক মত। মনে হচ্ছে আমি কি যেনাকারি হয়ে যাবো।

এজন্য কি তালাক হয়ে যাবে?
এই বিষয়ে আপনার সু পরামর্শ চায়। এমনটা হবার কারন কি?
আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনার কথায় আমি এখান থেকে মুক্ত হতে পারবো ইনসা-আল্লাহ।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠّﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﺭَﺑَّﻚَ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟْﻴَﻨْﺘَﻪِ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ : ( ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, এটা কে বানিয়েছে?ওটা কে বানিয়েছে?শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে, খোদা-কে বানিয়েছে? যখন এমন অবস্থায় কেউ পতিত হবে,সে যেন আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।এবং সাথে সাথে সে যেন উক্ত বিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকে।এক বর্ণনায় এসেছে সে যেন আ'মানতু বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি পড়ে নেয়।(সহীহ বোখারী-৩১০২,সহীহ মুসলিম-১৩৪)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1379

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
তালাকের নিয়ত ব্যতিত "তোমাকে প্রয়োজন নেই" একথাটা হাজারবার বললেও তালাক হবে না। আপনি এ নিয়ে আর কোনো চিন্তা করবেন না।আপনি স্থানীয় কোনো আলেমের কাছে সরাসরি গিয়ে পরামর্শ নিবেন। এটা আপনার জন্য কল্যাণকর হতে পারে।

আপনি মেডিকেল ট্রিটমেন্ট নিবেন। শারিরিক কোনো সমস্যা রয়েছে কি না? এ সম্পর্কে নিশ্চিত হবেন। আল্লাহ আপনার সহায় হোক। আমীন।