আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
133 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (25 points)
edited by
১.হুজুর আমি একদিন মনে মনে আল্লাহ সম্পর্কে কি যেন কথা মনে মনে ভাবছিলাম তখন আমি মনে মনে ভাবি বা বলি   যাঁর শুরুও  নেই শেষও  নেই   এরকম জাতীয় কথাই ভাবছিলাম বলে আমার মনে হচ্ছে। এই কথা ভাবার বা বলার পর, আমার  কথার মধ্যে   কোন ভুল হল নাকি তাঁর শেষ আছে নাকি(আস্তাগফিরুল্লাহ)। এরকম  কিছু  কথা  আমার  মনে   হয়। তখন আমি গুগলে সার্চ দেই। সার্চ দিয়ে দেখি আল্লাহ সম্পর্কে   যাঁর শুরু নেই শেষ নেই এরকম কোন   লেখা   আছে নাকি। হুজুর এর দারা কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে। আমি বিবাহিত। হুজুর ঈমান ভংগের কারন জানার পর এগুলো মনে হচ্ছে  । হুজুর এই প্রশ্ন করার দারা আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে কি।  
২.হুজুর একদিন ফেসবুকে এক্টি ভিডিওতে  দেখলাম  যে এক শায়েখের কাছে  একজন প্রশ্ন করেছে,  অন্য হুজুর সম্পর্কে যে, অই হুজুর একটি লাইভ অনুশটানে একটি কথা বলেছে তা হল- সাহাবি  মাইজ আসলামী রাঃ কে  আল্লাহ  নিজে যেনা করাইছেন উম্মতকে তাওবা কিভাবে করতে হয়   তা শিক্ষা দেওয়ার জন্য (আস্তাগফিরুল্লাহ) (নাউজুবিল্লাহ) । হুজুর এই প্রশ্নন্টা শুনে আমি তখন আস্তাগফিরুল্লাহ পরি। অই হুজুরের ভিডিও টা তখন ওখানে দেখলাম সেখানে সে তার কথার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন যুক্তি দিচ্ছিল। তখন আমি  মনে মনে ভাবলাম এগুলো আবার সঠিক নাকি। কিন্তু যেই শায়েখের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছে সেই শায়েখ বলল এটা কুফরি আকিদা। এর কারনে ঈমান থাকবে না। ঈমান নবায়ন করতে হবে। তখন আমার মনে মনে অইরকম ভাবার কারনে আমি  ইস্তিগফার পড়ি। আমি মনে মনে বলি কি ভাবছিলাম আমি। হুুুজুর আমি আগে থেকেই জানি আল্লাহ তায়া’লা আমাদেেরকে   পাপ করতে হুকুুম করেন নি। আমাাদেরকেে পাপ করতেে নিষেধ করেছেন। এটা কুুফরি আকিদা আমি আগে থেকেই জাানি। তারপরও আমার মনে  এরকম  সন্দেহ বা চিিন্তা ভাাবনা    আসার কারণে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে । হুুজুর আমি আসলে সবসময় সন্দেহ হয় যে আমার ঈমান ভংগ হল নাকি।অই হুুুজুর  পরবর্তীতেে নাকি আল্লাহর কাছেে ক্ষমা চেয়েছেন।

৩.হুজুর আপনাকে প্রশ্নটা ভালোভাবে করার জন্য অই ভিডিওতে অই কুফরি বাক্যটা বারবার শুনছিলাম এর কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? আর আস্তাগফিরুল্লাহ  নাউজুবিল্লাহ একসাথে   যে লিখলাম  । এর কারনে কি ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلُوهُ إِنَّا نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا مَا يَتَعَاظَمُ أَحَدُنَا أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ . قَالَ ” وَقَدْ وَجَدْتُمُوهُ ” . قَالُوا نَعَمْ . قَالَ ” ذَاكَ صَرِيحُ الإِيمَانِ ”

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কতিপয় সাহাবী তাঁর সমীপে এসে বললেন, আমাদের অন্তরে এমন কিছু সংশয়ের উদয় হয়, যা আমাদের কেউ মুখে উচ্চারণ করতেও মারাত্মক মনে করে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেনঃ সত্যই তোমাদের তা হয়? তারা জবাব দিলেন, জ্বী, হ্যাঁ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটই স্পষ্ট ঈমান। (কারণ ঈমান আছে বলেই সে সম্পর্কে ওয়াসওয়াসা ও সংশয়কে মারাত্মক মনে করা হয়।) [সহীহ মুসলিম-১/৭৯, হাদীস নং-১৩২, ইফাবা, হাদীস নং-২৪০]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। [সহীহ বুখারী-১/৩৪৩, হাদীস নং-২৫২৮, ইফাবা, হাদীস নং-২৩৬১]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমান কোনো সমস্যা হবেনা।

(০২)
এতে আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা। 
আপনি নিশ্চিত থাকুন।

(০৩)
না,এর দরুনও আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...