আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
300 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (38 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।

১।শায়খ আমার মারাত্মক ওয়াসওয়াসা আছে।বিশেষ করে কেনায়া শব্দের ব্যপারে।মানে কেনায়া তালাকের ব্যপারে। আমি অনেক প্রশ্ন করেছি এখানে।যখন যেটা নিয়ে সন্দেহ আসে সেটা নিয়ে করি।এমন ও হয় যে হয়ত একটা প্রশ্ন ৪-৫ বার ও করে ফেলি।আমার মনে হয় যে প্রশ্নগুলো আগেও করেছি।কিন্তু আবার আসে যে ঠিক এমনটা করেছি কিনা।মনে হয় করেছি আবার মনে হয় করি নাই।এমন ওয়াাওয়াসা আসতে থাকে।এই বিষয় গুলো নিয়ে আমি ৭-৮ মাস ধরে কস্ট পাচ্ছি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে যদি আমার মনে হয় এই প্রশ্নটা আগে করেছি কিন্তু আবার সন্দেহ ও আসে করেছিলাম কিনা এমন প্রশ্ন আগে, তহ ঐ বিষয়ে আবার প্রশ্ন না করলে কি গুণাহ হবে?মানে মনে হয় করেছি প্রশ্নগুলো কিন্তু পরে গিয়ে আবার ওয়াসওয়াসা আসে করেছিলাম কিনা।এই বিষয়ে পরে আবার প্রশ্ন না করলে কি সমস্যা হবে? কারন আমার কিছু মনে থাকে না।সবসময় এই বিষয়ে ওয়াসওয়াসা আর টেনশন ঘুরতে থাকে।তাই আমি চায় আর না করতে প্রশ্ন।বেশি কস্ট পাচ্ছি আমি।

২।আমার স্বামী আমাকে তালাকের পাওয়ার দিছে।কিন্তু আমি চায় আমার স্বামীর সাথে থাকতে।উপরের প্রশ্নটা করায় কি কোন সমস্যা হবে?

৩।কোন স্ত্রী ধরেন জানেও না মেয়েরা তালাক দিতে পারে ইসলামে।ধরেন সে যদি স্বামীর  দিকে ম ইন্গিত করে শর্ত যুক্ত তালাকের কথা বলে তাহলে তহ কিছু হবে না তাই না? সরাসরি বলেছে ধরেন কিন্তু স্বামীর দিকে যে ইন্গিত করেছে ওটা মনে মনে।নিজের  দিকে ইন্গিত করে নি ধরেন।তাহলে তহ সমস্যা হয় না তাই না?এইটা এমনিতে জানার জন্য।

1 Answer

0 votes
by (565,440 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
এই বিষয়ে পরে আবার প্রশ্ন না করলে সমস্যা হবেনা।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
iom এর নিয়ম হলো মাসে সর্বোচ্চ চারটি প্রশ্ন করা। তাই এভাবে একই বিষয় নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন করা নিঃসন্দেহে iom কর্তৃপক্ষের নিয়ম পরিপন্থি কাজ।


(০২)
https://ifatwa.info/36539/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উপরের প্রশ্নটা করায় আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক  নিয়ে কোন সমস্যা হবেনা।
এখানে তো আপনি নিজের উপর নিজে তালাক দেননি।

(০৩)
এক্ষেত্রে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক  নিয়ে কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 190 views
...