ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَ لِلّٰہِ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰی فَادۡعُوۡہُ بِہَا ۪ وَ ذَرُوا الَّذِیۡنَ یُلۡحِدُوۡنَ فِیۡۤ اَسۡمَآئِہٖ ؕ سَیُجۡزَوۡنَ مَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۱۸۰﴾
আর আল্লাহর জন্যই রয়েছে সুন্দর সুন্দর নাম। অতএব তোমরা তাকে সেসব নামেই ডাক; আর যারা তার নাম বিকৃত করে তাদেরকে বর্জন কর; তাদের কৃতকর্মের ফল অচিরেই তাদেরকে দেয়া হবে।
(সুরা আ'রাফ ১৮০)
মহান আল্লাহ তায়ালাকে ডাকার জন্য মানুষ এমন ইচ্ছাধীন নয় যে, যে কোন শব্দে ইচ্ছা ডাকতে থাকবে, বরং আল্লাহ বিশেষ অনুগ্রহপরবশ হয়ে আমাদিগকে সেসব শব্দসমষ্টিও শিখিয়ে দিয়েছেন যা তার মহত্ত্ব ও মর্যাদার উপযোগী। কারণ, আল্লাহ্ তা'আলার গুণ-বৈশিষ্ট্যের সব দিক লক্ষ্য রেখে তার মহত্ত্বের উপযোগী শব্দ চয়ন করতে পারা মানুষের সাধ্যের উর্ধ্বে।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ 'আল্লাহ তা'আলার নিরানব্বইটি এমন নাম রয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি এগুলোকে আয়ত্ত করে নেয়, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। [বুখারীঃ ৬৪১০, মুসলিমঃ ২৬৭৭]
‘ইলহাদ’ অর্থ ঝুঁকে পড়া এবং মধ্যমপন্থা থেকে সরে পড়া। কুরআনের পরিভাষায় ইলহাদ বলা হয় সঠিক অর্থ ছেড়ে তাতে এদিক সেদিকের ব্যাখ্যা- বিশ্লেষণ জুড়ে দেয়াকে।
এ আয়াতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস ওয়াসাল্লামকে হেদায়াত দেয়া হয়েছে যে, আপনি এমন সব লোকের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলুন, যারা আল্লাহ্ তা'আলার আসমায়ে-হুসনার ব্যাপারে বক্রতা অর্থাৎ অপব্যাখ্যা ও অপবিশ্লেষণ করে।
আল্লাহর নামের অপব্যাখ্যা ও বিকৃতির কয়েকটি পন্থা হতে পারে।
তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি হলোঃ আল্লাহ্ তা'আলার জন্য এমন কোন নাম ব্যবহার করা যা কুরআন-হাদীসের দ্বারা প্রমাণিত নয়।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতটি ইলহাদের মধ্যে পড়েনা।
(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
আপনার বিবাহের সমস্যা হবেনা।
(০৩)
এক্ষেত্রেও আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
আপনার বিবাহের সমস্যা হবেনা।
(০৫)
এক্ষেত্রেও আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
(০৬)
এই প্রশ্নগুলো করার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।