আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
672 views
in সালাত(Prayer) by (11 points)
আমি যুহরের পূর্বের চার রাকাআত সুন্নাতে মুয়াক্কাদার নিয়ত করে নামাজ শুরু করি। এমতাবস্থায় ১রাকাআত সম্পূর্ণ হলে ফরজ নামাজ শুরু হয়ে যায়। তাই আমি সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ২ রাকাআতে তাশাহুদ ও দরূদ পড়ে সালাত ফিরিয়ে নামাজ শেষ করি। তারপর ফরজ নামাজে শরীক হই।

১. এমতাবস্থায় আমার সুন্নাতে মুয়াক্কাদার নামাজ আদায় হয়েছে কি?

২. যদি না হয় তাহলে কি পুনরায় পড়তে হবে?

বি:দ্র: প্রশ্নটি যখন করছি, তখন যুহরের ওয়াক্ত শেষ হয়নি।

1 Answer

0 votes
by (696,320 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যোহরের পূর্বের চার রাকাত নামায এক সালামে একত্রে পড়াই সুন্নত। তাই দুই রাকাত আদায় করে সালাম ফিরিয়ে দিলে ফরয নামাযের পর পূর্ণ চার রাকাত পড়তে হবে। তবে এ চার রাকাত যোহরের পরবর্তী দুই রাকাত সুন্নতের পর পড়া উত্তম। (মারাকিল ফালাহ পৃ. ২৪৫; শরহুল মুনয়া পৃ. ৩৯৪; আলবাহরুর রায়েক ২/৫৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১১৪)

ফজরের দু-রাকাত সুন্নত ফজরের জামাত শুরু হয়ে গেলেও পড়তে হবে।যদি প্রবল ধারণা বিশ্বাস হয় যে,জামাত শেষ হওয়ার পূর্বে সুন্নত পড়ে শেষ করা যাবে।তাহলে তখন প্রথমে সুন্নত পড়তে হবে।সুন্নত পড়া শেষ করে জামাতে শরিক হতে হবে।তাছাড়া অন্যন্য ওয়াক্তের নামাযের ব্যাপারে হুকুম হল,জামাত শুরু হয়ে গেলে বা শুরু হয়ে যাবে,এমন মুহুর্তে আর সুন্নত পড়া যাবে না।যদি কেউ সুন্নত পড়া শুরু করে নেয়,তাহলে জামাত শুরু হয়ে গেলে দু-রাকাতের মাথায় প্রথম বৈঠক করে সুন্নতকে সমাপ্ত করে দিতে হবে।
যে সুন্নত গুলো সুন্নতে মু'আক্কাদা,সেগুলো কে পড়তেই হবে।
হযরত উম্মাহাতুল মু'মিন উম্মে হাবীবাহ রাযি,থেকে বর্ণিত আছে,তিনি বলেনঃ
ﻋَﻦْ ﺃُﻡِّ ﺣَﺒِﻴﺒَﺔَ ﺯَﻭْﺝِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ,
ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﺃَﻧَّﻬَﺎ ﻗَﺎﻟَﺖْ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳَﻘُﻮﻝُ : « ﻣَﺎ ﻣِﻦْ ﻋَﺒْﺪٍ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ ﻳُﺼَﻠِّﻲ ﻟِﻠَّﻪِ ﻛُﻞَّ ﻳَﻮْﻡٍ ﺛِﻨْﺘَﻲْ ﻋَﺸْﺮَﺓَ ﺭَﻛْﻌَﺔً، ﺗَﻄَﻮُّﻋًﺎ ﻏَﻴْﺮَ ﻓَﺮِﻳﻀَﺔٍ، ﺇِﻟَّﺎ ﺑَﻨَﻰ  ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﻪُ ﺑَﻴْﺘًﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔِ ، ﺃَﻭْ ﺇِﻟَّﺎ ﺑُﻨِﻲَ ﻟَﻪُ ﺑَﻴْﺖٌ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔِ » .ﻗَﺎﻟَﺖْ ﺃَﻡُّ ﺣَﺒِﻴﺒَﺔَ : ﻓَﻤَﺎ ﺑَﺮِﺣْﺖُ ﺃُﺻَﻠِّﻴﻬِﻦَّ ﺑَﻌْﺪُ . ﻭﻗَﺎﻝَ ﻋَﻤْﺮٌﻭ : ﻣَﺎ ﺑَﺮِﺣْﺖُ ﺃُﺻَﻠِّﻴﻬِﻦَّ ﺑَﻌْﺪُ . ﻭﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨُّﻌْﻤَﺎﻥُ : ﻣِﺜْﻞَ ﺫَﻟِﻚَ .ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ : « ﻓﻲ ﻳَﻮْﻡٍ ﻭ ﻟﻴﻠﺔ » .
আমি নবীজী সাঃ কে বলতে শুনিয়াছি,যে মুসলমান প্রতিদিন ফরয ব্যতীত আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বার রাকা'ত (সুন্নাত)নামায পড়বে, আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানাবেন।অথবা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।উম্মে হাবীবাহ রাযি,বলেন এর পর থেকে সর্বদাই আমি তা পড়তাম। রাবী আমর রাহ বলেন আমিও সর্বদা পড়তাম। রাবী নু'মান ও অনুরূপ কথা বলেছেন।(মুখতাসার সহীহ মুসলিম-373)

ইমাম মুনযিরী কর্তৃক ব্যাখ্যা। 
ইমাম মুনযিরী রাহ বলেনঃ উক্ত হাদীস কে ইমাম মুসলিম রাহ, "মুসাফিরের নাময" শীর্ষক অধ্যায়ে ৭২৮নং হাদীস হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ইমাম মুসলিম রাহ এর বর্ণনাকৃত হাদীস হল এই..........
ﻋﻦ ﺃﻡ ﺣﺒﻴﺒﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﺯﻭﺝ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻟﺖ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ :( ﻣَﻦْ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﺛْﻨَﺘَﻲْ ﻋَﺸْﺮَﺓَ ﺭَﻛْﻌَﺔً ﻓِﻲ ﻳَﻮْﻡٍ ﻭَﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﺑُﻨِﻲَ ﻟَﻪُ ﺑِﻬِﻦَّ ﺑَﻴْﺖٌ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔ)
তরজমাঃ হযরত উম্মাহাতুল মু'মিন উম্মে হাবীবাহ রাযি.থেকে বর্ণিত আছে,তিনি বলেনঃআমি নবীজী সাঃ কে বলতে শুনিয়াছি,যে মুসলমান "দিনে ও রাত্রে" আল্লাহর সন্তুষ্টি জন্য ফরয ব্যতীত ১২রাকা'ত (সুন্নাত) নামায পড়বে, আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানিয়ে রাখবেন।
অথবা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।(সহীহ মুসলিম-৭২৮)বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/4516
বিনা উযরে সুন্নতে মু'আক্বাদাকে তরক করলে গোনাহ হবে।বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/400


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
দুঃখিত হুজুর, আমি আমার উত্তর পাইনি।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আমার করণীয় কি? সেটা জানতে চাই।
by (696,320 points)
আপনি আবার জোহরের সুন্নতকে পড়বেন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...