আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
157 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (189 points)
edited by
আমি স্ত্রীকে কাবিননামায় অধিকার দেই নাই। অধিকার দেওয়ার ব্যাপারে আমার মত ছিল না। কাজী আমার থেকে তাড়াতাড়ি করে সাইন নিয়ে যায়। আমি সাইন করার সময় সেই জায়গায় খালি ছিল।আমি সাইন করার পর কাজী আমার অমতে সেইখানে অধিকার দিয়ে থাকতে পারে।আমি জানি কাজীরা স্বামীর অনুমতি না নিয়ে অধিকার দিলে স্ত্রী সেই অধিকার পাবে না।

আমার স্ত্রী যখন জানতে পারে মহিলাদের তালাক নেওয়ার অধিকার আছে তখন থেকে সে ওয়াসোওসার রুগী হয়ে যায়।

সে আমাকে বলে, "আপনি অধিকার ফিরায় নেন।"

তখন আমি বলি "আচ্ছা ফিরায় নিব"

তারপর দিন আমি স্ত্রীকে বলি "আমিতো তোমাকে অধিকারই দেই নাই, তাহলে কি ফিরিয়ে নিব। কাজী নিজে অধিকার দিলে হবে না।" তারপর স্ত্রী শান্ত হয়।

১. এখন আমি যে তাকে বলেছি " আচ্ছা ফিরায় নিব" আমার এই কথার জন্য কি স্ত্রীকে অধিকার না দিলেও স্ত্রী অধিকার পেয়ে যাবে? অনেক দুশ্চিন্তায় আছি। আমিতো তাকে আগেও অধিকার দেই নাই।

২. স্বামী তার স্ত্রীর সামনে বলছে

" টাকা না থাকলে সবাই ছাইড়া চলে যায়। আমাকে কেউ বুঝবে না। একসময় আমার টাকা না থাকলে তুমি ছাইড়া দিবা, আমার ছেলে মেয়েদের কেও নিয়ে যাবা "

এই কথা স্বামী তার স্ত্রীকে এই ভয়ে বলেছে যে কিছু হইলে সবাই ছেড়ে যায়, এখন তার স্ত্রীও যদি তাকে ছেড়ে দেয়!?

অর্থাৎ স্ত্রী যেন স্বামীর বিরক্তি ভাবকে বুঝে তাই এইভাবে বলেছে।

আশা করি বুঝাতে পেরেছি।

স্বামীর উপরে এইভাবে কথা বলাতে কি স্ত্রী তালাকের অধিকার পেয়ে যাবে?

৩. স্ত্রীকে স্বামী একদিন ভয় দেখানোর জন্য বলল, " তুমি ওইখানে গেলে তালাক দিব"। তালাকের অধিকার শুধু স্বামীর হয় আর স্বামীর এই কথার জন্য কি স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে ওই মজলিসে?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/35074/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে,

তালাক খুবই মারাত্মক একটি বিষয়। 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★শরীয়তের বিধান হলো স্বামী যদি জেনে শুনে নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা দেয়, অথবা সেখানে কাজী সাহেব বা অন্য কেহ হ্যাঁ লিখে দেয়,আর স্বামী তাহা জেনে শুনে নিচে স্বাক্ষর দেয়,আর এই নিকাহ নামা বিবাহের ইজাব কবুল হওয়ার পরে যদি লেখা হয়,তাহলে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবে। 

তবে যদি এমনটি না হয়,স্বামী যদি না জেনেই নিচে সাইন করে,সে যদি তালাকের ক্ষমতা প্রদানের এই বিষয় সম্পর্কে স্বীকার না করে যে এটার তারই লেখা,অথবা এই নিকাহ নামা যদি বিবাহের ইজাব কবুল হওয়ার আগে লেখা হয়,তাহলে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবেনা।
 
كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى الطلاق بالكتابة-1/379، المحيط البرهانى، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-4/486، تاتارخانية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-3/380)
সারমর্মঃ
প্রত্যেক ঐ লেখা,যেটা নিজ হাত দিয়ে লিখেনি,নিজের মন সেদিকে ঝুকেওনি,তাহলে তালাক পতিত হবেনা।
যদি সে এটা স্বীকার না করে যে এটার তারই লেখা।    

সুতরাং  যদি স্বামীর দস্তখত করার সময় জানা থাকে যে, কাজী স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অধিকার দিয়েছে মর্মে উপরে লিখে দিয়েছে, একথা জানার পরও যদি স্বামী উক্ত কাগজের নিচে সাইন করে, তাহলে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অধিকার দেয়া হয়েছে বলে সাব্যস্ত হবে। সেই হিসেবে স্ত্রী যদি পরবর্তীতে নিজের উপর তালাক পতিত করে থাকে, তাহলে তালাক পতিত হয়ে যায়।

আরো জানুনঃ 
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে,আপনি বলেছেনঃ-
" আচ্ছা ফিরায় নিব" 

প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার এই কথার জন্য স্ত্রীকে তালাকের অধিকার না দিলেও স্ত্রী অধিকার পেয়ে যাবেনা।

(০২)
স্বামীর উপরে এইভাবে কথা বলাতে স্ত্রী তালাকের অধিকার পেয়ে যাবেনা।

(০৩)
না,স্বামীর এই কথার জন্য স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবেনা ঐ মজলিসে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 183 views
...