আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
108 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (57 points)
edited by
হুযুর আপনি আগের প্রস্নের উত্তরে সেই স্ত্রি কে আপনি সাভাবিক ভাবে কথা বলতে বলেছেন, সেটা পরার পর, সেই স্ত্রি চিন্তা করে যে  কথা বলবে , তখন তার বোন এর  ছোট বাচ্চা টা কাদছিল, তখন  সেই স্ত্রি বলে যে (((((কি হইছে)))) এটুকু বলার পর সে মনে মনে (ত..... নিলাম))))  এমন টা বলে ফেলে, সন্দেহে পরে জায় যে মনে মনে বলল নাকি আবার শব্দ হয়ে গেল

১))) হুযুর যদি শব্দ হয়ে যায় তাহলে কি(( ত.....))) হয়ে যাবে, হুযুর অই স্ত্রি এর সত্যি  নেওয়ার  কন ইচ্ছা নাই, কিন্তু কেন যে এমন হচ্ছে বুজতে পারছে না, সে  নিজেকে কন ভাবেও অই কথা থেকে দূরে রাখতে পারছে  না,
২))) ব্রাশ করার সময় অ এমন হইছে,  সন্দেহে পরে জায় শব্দ হয় নাকি মনে মনে বলে,
৩))) যদি শব্দ হয়ে যায় তাহলে কি সমস্যা হবে, তার ত নেওয়ার ইচ্ছা নাই তাও সেই স্ত্রি( ত..... নিলাম))) এমন টা বলে ফেলছে, মনে মনে বলছে নাকি শব্দ করে বলছে মাজে মাজে সন্দেহে পরে  যাচ্ছে এখন সেকি আবার কথা বলা বন্ধ করে দিবে, মাযে মাযে তার মুখ বন্দ রাক্তেও সমস্যা হয়, মনে হয় এই বুযি মুখ ফস্কে বের হয়ে যাবে, অনেক কসটে ঠট চেপে রাখে

4) হুযুর মহিলাদের অল্প শব্দে ঠট নারিয়ে নামায পরতে হয়, কিন্তু অই স্ত্রি এভাবে পরতে গেলে ওয়াস ওয়াসা চলে আসে, ওই শব্দ মনে চলে আসে, তাহলে অই মহিলা কি নিঃশব্দে নামায পরতে পারবে,  তার নামায কি হবে মুখ বন্ধ করে পরলে, মনে মনে সুরা পরলে

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
সত্যিই উক্ত শব্দ হলেও ঐ স্ত্রীর কথার দরুন তালাক হবেনা।

(০২)
কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 

(০৪)
এভাবে মনে মনে সূরা পড়লে নামাজ হবেনা।

অবশ্যই তাকে জিহবা নাড়িয়ে উচ্চারণ করে তিলাওয়াত করতে হবে।

এতে মনে মনে "তালাক" শব্দটি আসলেও কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...