আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (16 points)
"আমাদের যা কিছু সব রাসূলুল্লাহ ﷺ এর দেওয়া। তার কাছে দুয়া করা যাবে কোনো কিছুর জন্য" এই বিশ্বাস টা কি সঠিক ? আমাদের সব কিছু কি আল্লাহর দেওয়া না? শুধু মাত্র আল্লাহর কাছেই না চাইতে হবে সব?

অবশ্যই রাসূল ﷺ এর মর্যাদা সকল সৃষ্টির উপরে। এ বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ নাই। এজন্য কি রাসূলের জমিন অর্থাৎ মাদীনা কি কাবার থেকেও বেশি মর্যাদার?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ব্যাতিত অনু কাহারো আছে দোয়া করা যাবেনা,কোনো কিছু চাওয়া যাবেনা।
সব কিছুর একচ্ছত্র মালিক মহান আল্লাহ তায়ালা, তাই শুধু মাত্র তার কাছেই চাইতে হবে।
,
আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেছেন,

وَلَا تَدْعُ مِنْ دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَنْفَعُكَ وَلَا يَضُرُّكَ فَإِنْ فَعَلْتَ فَإِنَّكَ إِذًا مِنَ الظَّالِمِينَ ﴿106﴾ وَإِنْ يَمْسَسْكَ اللَّهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهُ إِلَّا هُوَ (يونس: 106-107)

‘‘আল্লাহ ছাড়া এমন কোন সত্তাকে ডেকোনা, যা তোমার কোন উপকার করতে পারবে না এবং ক্ষতিও করতে পারবে না। যদি তুমি এমন কারো তাহলে নিশ্চয়ই তুমি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহ যদি তোমাকে কোন বিপদে ফেলেন, তাহলে একমাত্র তিনি ব্যতীত আর কেউ তা থেকে তোমাকে উদ্ধার করতে পারবে না।’’ (ইউনুসঃ ১০৬, ১০৭)

আল্লাহ তাআলা আরো ইরশাদ করেছেন,
فَابْتَغُوا عِنْدَ اللَّهِ الرِّزْقَ وَاعْبُدُوهُ وَاشْكُرُوا لَهُ (ألعنكبوت: 17)

‘‘আল্লাহর কাছে রিযিক চাও এবং তাঁরই ইবাদত করো’’।
(আনকাবুত : ১৭)

আল্লাহ তাআলা অন্য এক আয়াতে ইরশাদ করেছেন,
وَمَنْ أَضَلُّ مِمَّنْ يَدْعُو مِنْ دُونِ اللَّهِ مَنْ لَا يَسْتَجِيبُ لَهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ (الأحقاف: 5)

‘‘তার চেয়ে অধিক ভ্রান্ত আর কে হতে পারে, যে ব্যক্তি আল্লাহকে ছাড়া এমন সত্তাকে ডাকে যে সত্তা কেয়ামত পর্যন্ত তার ডাকে সাড়া দিতে পারবে না’’। (আহকাফ : ৫)

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন,
أَمَّنْ يُجِيبُ الْمُضْطَرَّ إِذَا دَعَاهُ وَيَكْشِفُ السُّوءَ (النمل: 62)

‘‘বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির ডাকে কে সাড়া দেয় যখন সে ডাকে ? আর কে তার কষ্ট দূর করে?’’ (নামল : ৬২)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আমাদের যা কিছু সব আল্লাহর দেয়া।
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর দেওয়া নয়। রাসুলুল্লাহ সাঃ কোনো কিছু দেয়ার মালিক নন।

সুতরাং দোয়া শুধুমাত্র আল্লাহর কাছেই করতে হবে,রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কাছে নয়।

(০২)
মাদীনা কি কাবার থেকেও বেশি মর্যাদার নয়।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صَلَاةُ الرَّجُلِ فِي بَيْتِهِ بِصَلَاةٍ وَصَلَاتُهُ فِي مَسْجِدِ الْقَبَائِلِ بِخَمْسٍ وَعِشْرِينَ صَلَاةً وَصَلَاتُهُ فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي يجمع فِيهِ بخسمائة صَلَاةٍ وَصَلَاتُهُ فِي الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى بِخَمْسِينَ أَلْفِ صَلَاةٍ وَصَلَاتُهُ فِي مَسْجِدِي بِخَمْسِينَ أَلْفِ صَلَاةٍ وَصلَاته فِي الْمَسْجِد الْحَرَام بِمِائَة ألف صَلَاة» .

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ যদি তার ঘরে সালাত আদায় করে, তাহলে তার এ সালাত এক সালাতের সমান। আর যদি সে এলাকার পাঞ্জেগানা মসজিদে সালাত আদায় করে তাহলে তার এই সালাত পঁচিশ সালাতের সমান। আর সে যদি জুমু‘আহ্ মসজিদে সালাত আদায় করে তাহলে তার সালাত পাঁচশত সালাতের সমান। সে যদি মসজিদে আক্বসা (আকসা) অর্থাৎ- বায়তুল মাক্বদিসে সালাত আদায় করে, তার এ সালাত পঞ্চাশ হাজার সালাতের সমান। আর যদি আমার মসজিদে (মসজিদে নাবাবী) সালাত আদায় করে তার এ সালাত পঞ্চাশ হাজার সালাতের সমান। আর সে যদি মাসজিদুল হারামে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে তবে তার সালাত এক লাখ সালাতের সমান।
(ইবনে মাজাহ ১৪১৩.মেশকাত ৭৫২)

হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমার এই মসজিদে নামাজ আদায় অন্য মসজিদের হাজার নামাজের চেয়েও উত্তম। তবে (মক্কার) মসজিদে হারাম ছাড়া। কেননা, (মক্কার) মসজিদে হারামে একটি নামাজ অন্য মসজিদের এক লক্ষ নামাজের চেয়ে উত্তম।’ (মুসনাদে আহমদ)

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আদি ইবনে হামরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ‘হাযওয়ারা’ নামক স্থানে ছিলেন তখন উটের উপর সওয়ার অবস্থায় তাকে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই তুমি আল্লাহর শ্রেষ্ঠ জমিন। আর আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়। আল্লাহর কসম! যদি আমাকে তোমার (বুক) থেকে চলে যেতে বাধ্য না করা হতো, তাহলে আমি কখনো (তোমায় ছেড়ে) যেতাম না।’ (ইবনে মাজাহ) 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...