জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ব্যাতিত অনু কাহারো আছে দোয়া করা যাবেনা,কোনো কিছু চাওয়া যাবেনা।
সব কিছুর একচ্ছত্র মালিক মহান আল্লাহ তায়ালা, তাই শুধু মাত্র তার কাছেই চাইতে হবে।
,
আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেছেন,
وَلَا تَدْعُ مِنْ دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَنْفَعُكَ وَلَا يَضُرُّكَ فَإِنْ فَعَلْتَ فَإِنَّكَ إِذًا مِنَ الظَّالِمِينَ ﴿106﴾ وَإِنْ يَمْسَسْكَ اللَّهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهُ إِلَّا هُوَ (يونس: 106-107)
‘‘আল্লাহ ছাড়া এমন কোন সত্তাকে ডেকোনা, যা তোমার কোন উপকার করতে পারবে না এবং ক্ষতিও করতে পারবে না। যদি তুমি এমন কারো তাহলে নিশ্চয়ই তুমি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহ যদি তোমাকে কোন বিপদে ফেলেন, তাহলে একমাত্র তিনি ব্যতীত আর কেউ তা থেকে তোমাকে উদ্ধার করতে পারবে না।’’ (ইউনুসঃ ১০৬, ১০৭)
আল্লাহ তাআলা আরো ইরশাদ করেছেন,
فَابْتَغُوا عِنْدَ اللَّهِ الرِّزْقَ وَاعْبُدُوهُ وَاشْكُرُوا لَهُ (ألعنكبوت: 17)
‘‘আল্লাহর কাছে রিযিক চাও এবং তাঁরই ইবাদত করো’’।
(আনকাবুত : ১৭)
আল্লাহ তাআলা অন্য এক আয়াতে ইরশাদ করেছেন,
وَمَنْ أَضَلُّ مِمَّنْ يَدْعُو مِنْ دُونِ اللَّهِ مَنْ لَا يَسْتَجِيبُ لَهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ (الأحقاف: 5)
‘‘তার চেয়ে অধিক ভ্রান্ত আর কে হতে পারে, যে ব্যক্তি আল্লাহকে ছাড়া এমন সত্তাকে ডাকে যে সত্তা কেয়ামত পর্যন্ত তার ডাকে সাড়া দিতে পারবে না’’। (আহকাফ : ৫)
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন,
أَمَّنْ يُجِيبُ الْمُضْطَرَّ إِذَا دَعَاهُ وَيَكْشِفُ السُّوءَ (النمل: 62)
‘‘বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির ডাকে কে সাড়া দেয় যখন সে ডাকে ? আর কে তার কষ্ট দূর করে?’’ (নামল : ৬২)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আমাদের যা কিছু সব আল্লাহর দেয়া।
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর দেওয়া নয়। রাসুলুল্লাহ সাঃ কোনো কিছু দেয়ার মালিক নন।
সুতরাং দোয়া শুধুমাত্র আল্লাহর কাছেই করতে হবে,রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কাছে নয়।
(০২)
মাদীনা কি কাবার থেকেও বেশি মর্যাদার নয়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صَلَاةُ الرَّجُلِ فِي بَيْتِهِ بِصَلَاةٍ وَصَلَاتُهُ فِي مَسْجِدِ الْقَبَائِلِ بِخَمْسٍ وَعِشْرِينَ صَلَاةً وَصَلَاتُهُ فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي يجمع فِيهِ بخسمائة صَلَاةٍ وَصَلَاتُهُ فِي الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى بِخَمْسِينَ أَلْفِ صَلَاةٍ وَصَلَاتُهُ فِي مَسْجِدِي بِخَمْسِينَ أَلْفِ صَلَاةٍ وَصلَاته فِي الْمَسْجِد الْحَرَام بِمِائَة ألف صَلَاة» .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ যদি তার ঘরে সালাত আদায় করে, তাহলে তার এ সালাত এক সালাতের সমান। আর যদি সে এলাকার পাঞ্জেগানা মসজিদে সালাত আদায় করে তাহলে তার এই সালাত পঁচিশ সালাতের সমান। আর সে যদি জুমু‘আহ্ মসজিদে সালাত আদায় করে তাহলে তার সালাত পাঁচশত সালাতের সমান। সে যদি মসজিদে আক্বসা (আকসা) অর্থাৎ- বায়তুল মাক্বদিসে সালাত আদায় করে, তার এ সালাত পঞ্চাশ হাজার সালাতের সমান। আর যদি আমার মসজিদে (মসজিদে নাবাবী) সালাত আদায় করে তার এ সালাত পঞ্চাশ হাজার সালাতের সমান। আর সে যদি মাসজিদুল হারামে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে তবে তার সালাত এক লাখ সালাতের সমান।
(ইবনে মাজাহ ১৪১৩.মেশকাত ৭৫২)
হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমার এই মসজিদে নামাজ আদায় অন্য মসজিদের হাজার নামাজের চেয়েও উত্তম। তবে (মক্কার) মসজিদে হারাম ছাড়া। কেননা, (মক্কার) মসজিদে হারামে একটি নামাজ অন্য মসজিদের এক লক্ষ নামাজের চেয়ে উত্তম।’ (মুসনাদে আহমদ)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আদি ইবনে হামরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ‘হাযওয়ারা’ নামক স্থানে ছিলেন তখন উটের উপর সওয়ার অবস্থায় তাকে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই তুমি আল্লাহর শ্রেষ্ঠ জমিন। আর আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়। আল্লাহর কসম! যদি আমাকে তোমার (বুক) থেকে চলে যেতে বাধ্য না করা হতো, তাহলে আমি কখনো (তোমায় ছেড়ে) যেতাম না।’ (ইবনে মাজাহ)