আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
296 views
in সালাত(Prayer) by (7 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।  যখন মসজিদে ফরয নামাজ পরি তখন রফউল ইয়াদাইন করিনা। আবার বাসায় সুন্নাত/নফল পড়লে রফউল ইয়াদাইন করি। এখন কথা হচ্ছে মাঝে মাঝে রফউল ইয়াদাইন করা আর ছেড়ে দেওয়ার বিধান সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি। ১. এতে কোনো সমস্যা হবে কিনা। নাকি করলে একেবারে করতেই হবে। আর ছেড়ে দিলে একেবারে ছেড়ে দিতে হবে?
২. আর নামাজের মাঝে দুই সিজদার মাঝের যে দোয়া 'আল্লাহুম্মাগফিরলি,ওয়ারহামনি' এ দোয়াটি আর রুকুর পর 'হামদান কাসীরান' এ দোয়াটি মাঝে মাঝে সুন্নত/নফল নামাজে না পড়লে নামাজের শুদ্ধতায় কোনো সমস্যা হবে?

৩. আল্লাহর যেসব গুনবাচক নাম ডাকা গায়রুল্লাহ র জন্য প্রযোজ্য নয় সেসব নামে ডাকলেই কি শিরক হয়ে যায়?

1 Answer

0 votes
by (672,210 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
https://ifatwa.info/36119/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
রাফয়ে ইয়াদাইন এর ক্ষেত্রে তিন রকমের হাদীস এসেছেঃ
,
(০১)
তাকবিরে তাহরিমা বাধা,রুকুতে যাওয়ার আগে তাকবির বলে,রুকু থেকে উঠার পর তাকবির বলে হাত উঠানো। 

(০২)
তাকবিরে তাহরিমা বাধা,রুকুতে যাওয়ার আগে তাকবির বলে,রুকু থেকে উঠার পর,
তাকবির বলে,সেজদাতে যাওয়ার সময় তাকবির বলে, এবং সেজদা থেকে উঠার সময় তাকবির বলে হাত উঠানো। 

(০৩)
শুধু মাত্র নামাজের শুরুতে তাকবিরে তাহরিমা বলার সময় হাত উঠানো।
বাকি সময় আর না উঠানো।

বিস্তারিত জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
ফিক্বহে হানাফী মতে তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া বাকি সময় হাত উঠানো এবং সূরা ফাতিহার পর জোরে আমীন বলা উত্তম নয়। এ বক্তব্যটিও সহীহ হাদীস এবং সাহাবাদের ফাতওয়া এবং বিজ্ঞ ব্যক্তিদের আমলের সূত্র পরম্পরায় আমাদের পর্যন্ত পৌঁছেছে, তাই এটি আমাদের নিকট উত্তম। 
,
আবার অন্য ফকীহ,এবং কিছু ইসলামি স্কলারগন  এর বিপরীত মত পোষণ করেন।  এক্ষেত্রে এই পার্থক্যটুকু শুধু সুন্নাহ আদায়ের উত্তম ও অনুত্তম পদ্ধতি নিয়ে।
অর্থ্যাৎ চার মাযহাবই এ বিষয়ে একমত যে, রাফয়ে’ ইয়াদাইন করা হোক বা না হোক; এতে নামাযের কোনো ক্ষতি হবে না।
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি হানাফি মাযহাবের  অনুসারী হলে সমস্ত নামাজেই শুধুমাত্র তাকবিরে তাহরিমা বলার সময়েই হাত উঠাবে।
প্রত্যেক বার আল্লাহু আকবার বলার পর হাত উঠাবেনা।
,
তবে আপনি শাফেয়ী বা আহলে হাদীস অনুসারী হলে  তাদের মত অনুযায়ী সব নামাজেই রফয়ে ইয়াদাইন এর আমল করতে পারবেন।

(০২)
না,এতে নামাজের শুদ্ধতায় কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৩)
এভাবে নাম ডাকলে শিরক হবেনা।
তবে "আবদ" আগে যুক্ত না করলে নাজায়েজ হবে,বিধায় গুনাহ হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 304 views
0 votes
1 answer 762 views
+1 vote
1 answer 701 views
...