আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
288 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
edited by

আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।


অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ের উপর পেইড কোর্স আছে। যেমনঃ ইংরেজি শিক্ষার, ফ্রিল্যান্সিং করার,  কম্পিউটার শিক্ষা,  কোন স্কিলস এর দক্ষতা বাড়ানোর ইত্যাদি। এসব কোর্সের জন্য নির্দিষ্ট পরিমান টাকা পেইড করতে হয়। প্রতিষ্ঠান অনুসারে- কোর্স লাইভ ক্লাস করানো হয়, কোর্সের লাইভ ক্লাশের রেকর্ড ভিডিও দেওয়া হয়, কোর্স আগে থেকেই রেডি করা থাকে টাকা পেইড করার পর ফাইল দেওয়া হয়। এগুলো অনলাইনে দেখা যায় আবার ডাউনলোড ও করা যায়।


১। এখন প্রশ্ন হলো, মনে করেন, আমি কোনো পেইড কোর্স করেছি। আমার কোনো বন্ধু কোর্সের ভিডিও চাইছে। তাঁর কোর্সটি কেনার সামর্থ্য নাই, আবার কোর্স করার পর যদি ইনকাম করতে পারে তাহলে সে পরবর্তীতে সেই কোর্সটির জন্য টাকা পেইড করবে। এ অবস্থায় তার কোর্সটি নেওয়া জায়েজ হবে কি? কোর্স দেখে ফ্রিল্যান্সিং শিখে ইনকাম করা হালাল হবে কি?


২। মনে করেন একটি কোর্সের মূল্য ৫০০০ টাকা।  আবার, আমরা ৫ জন বন্ধু আছি। আলাদা আলাদা কোর্স না কিনে, ৫ জনে মিলে ১০০০ টাকা করে মোট ৫০০০ টাকা দিয়ে সেই কোর্সটি কিনি, তাহলে এটি কি আমাদের জন্য জায়েজ  বা শরিয়তসম্মত হবে?

৩। একটি প্রতিষ্ঠানের কোন পেইড কোর্স থার্ড পার্টি কারো চ্যানেলে ফ্রিতে পেলে অথবা কেউ একজন টাকা দিয়ে একটি অনলাইন কোর্স কিনলো। তারপর সে সেই কোর্সটি সম্পন্ন করার পর শেয়ার করলো। এখন আমি সেখান থেকে ভিডিও দেখে কোর্সটি করলে, আমার জন্য জায়েজ বা শরিয়তসম্মত হবে কি? যদি আমার সামর্থ্য না থাকে কোর্সটি কেনার।

বিঃদ্রঃ এই প্রশ্নগুলো আমার মতো অনেক ভাই-বোনের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি প্রশ্নগুলোর উত্তর দিবেন। জাযাকাল্লাহু খয়রন ফিদ্দুনিয়া ওয়াল আখিরহ।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://www.ifatwa.info/294 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে  যে,
হুকুকে মুজাররাদাহ বা স্বত্বকে সংরক্ষণ করে রাখা জায়েয।যেমন কেউ কিছু আবিস্কার করল বা কোনো গ্রন্থ প্রকাশ করল।এ জাতীয় বিষয় সমূহের মালিকানাকে উন্মোক্ত না করে নিজের জন্য রেখে দেওয়া জায়েয।সুতরাং এ সমস্ত জিনিষ কে কপি করে প্রচার-প্রসার করা মানে উক্ত ব্যক্তির হক্ব-কে নষ্ট করা।অর্থাৎ কপি করে প্রচার প্রসার করা জায়েয হবে না।
সুতরাং সংরক্ষিত ঐ ভিডিও গুলো যদি -ফ্রি ডাউনলোড অফর- থাকা কালিন সময়ে তারা ডাউনলোড করে থাকে, তাহলে সেগুলো আপনি দেখতে পারবেন।কেননা যেহেতু তারা ঐ ভিডিওগুলোকে ফ্রি-তে দিয়ে দিয়েছে তাই অবশ্যই সেটার প্রচার প্রসারে তাদের কোন প্রকার বিধিনিষেধ থাকবে না।কেননা হয়তো তারা প্রচার প্রসারের উদ্দেশ্যেই এগুলোকে ফ্রি করে দিয়েছে।আর যদি কেউ টাকা দিয়ে কিনে নিজে প্রথমে দেখে তারপর কম্পানির অনুমোদন ছাড়াই সেগুলোকে ভাইড়াল করে দেয় তাহলে এগুলো দেখা জায়েয হবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1197

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা থাকলে এগুলো অন্যের কাছে বিক্রয় নিষিদ্ধ,কেননা এগুলো সংরক্ষিত সত্ব।এটি শুধু তারাই বিক্রয় করবে,অন্য কেহ নয়।
কর্তৃপক্ষের এই শর্ত মেনেই যেহেতু এই ধরনের কোর্স ক্রয় করা হয়,তাই কর্তৃপক্ষের এই শর্ত মানতেই হবে। 

নতুবা এটি কর্তৃপক্ষকে ধোকা দেয়া হবে।

হাদীস শরীফে এসেছে   

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

অন্য এক হাদীসে এসেছে  

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
কোর্স কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অনুমতি না থাকলে এভাবে উক্ত কোর্স বন্ধুকে দেয়া জায়েজ হবেনা।

হ্যাঁ যদি কোর্স কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অনুমতি থাকে,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।

★তবে কোর্স দেখে ফ্রিল্যান্সিং শিখে হালাল কোনো ইনকাম করা হলে সেই ইনকামকে সর্বাবস্থায় হারাম বলা যাবেনা। 

(০২)
কোর্স কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এভাবে ৫ জনে মিলে কোর্স ক্রয়ের অনুমতি না থাকলে এটি আপনাদের  জন্য জায়েজ বা শরিয়তসম্মত হবেনা।

হ্যাঁ যদি কোর্স কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অনুমতি থাকে,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।

(০৩)
যদি কোর্স কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অনুমতি থাকে,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।

আর অনুমতি না থাকলে এটি জায়েজ বা শরিয়তসম্মত হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...