ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/13954/ নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,
আল্লাহ তা'আলা নামাযে কুরআনে কারিম তেলাওয়াতের কথা বলেছেন।
উসূলে ফিকহের নীতি অনুযায়ী যে কোনো আদেশকে একবার বাস্তবায়ন করে নিলে সেই আদেশকে
পালন করা হয়ে যায়। সে হিসেবে নামাযে প্রথম রা'কাতে কুরআন
তেলাওয়াত করে নিলেই আল্লাহ
তা'আলার আদেশ-
ﻓَﺎﻗْﺮَﺅُﻭﺍ ﻣَﺎ ﺗَﻴَﺴَّﺮَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥِ
কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু(নামাযে)
আবৃত্তি কর। (সূরা মুযযাম্মিল-২০) -কে মান্য করা হয়ে যাবে।
কিন্তু যেহেতু প্রথম বৈঠকের পূর্বের রা'কাত গুলো
সাদৃশ্যপূর্ণ, তাই ফরয
নামাযের প্রথম দুই রাকাতে মতলকে তেলাওয়াত তথা কুরআনের যে কোনো অংশ থেকে শুধুমাত্র
কিছু তেলাওয়াত করে নেয়া ফরয। এক্ষেত্রে কোনো শর্ত নেই।
হ্যা এ দুই রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহা তেলাওয়াত করা ওয়াজিব এবং
সাথে আরও একটি সূরা মিলানো ওয়াজিব।
(বিঃদ্রঃ ফরয ছেড়ে দিলে নামায হয় না কিন্তু ওয়াজিব ছেড়ে দিলে সেজদায়ে সাহুর সাথে নামায
আদায় হয়ে যাবে)
ফরয নামাযের শেষ দুই রা'কাতে তেলাওয়াত
করা সুন্নাত। চায় সূরায়ে ফাতেহা হোক বা কুরআনের অন্য কোনো সূরা হোক। কেউ ইচ্ছা
করলে শেষ দুই রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহার সাথে অন্য যেকোনো
সূরাকেও মিলাতে পারে। এমনকি সারা কুরআনও পড়তে পারে। এতে কোনো সমস্যা নাই। তবে
শুধুমাত্র সূরায়ে ফাতেহা পড়া মুস্তাহাব। সূরায়ে ফাতেহা ব্যতীত অন্য সূরা পড়ে নিলেও
এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে না। (আহসানুল ফাতাওয়া;৪/৫০ ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ;৭/৪১২)
https://ifatwa.info/47339/ নং ফাতাওয়াতে
আমরা বলেছি যে,
নামাযে কিরাত পড়া ফরয।সূরা
ফাতেহা ওয়াজিব এবং সূরা মিলানো ওয়াজিব। বড় একটি আয়াত এবং ছোট্ট তিনটি আয়াত পরিমাণ
মিলানো ওয়াজিব।
যখন কেউ সূরা
ফাতেহা পড়ার পর বড় একটি আয়াত বা ছোট্ট তিনটি আয়াত পরিমাণ পড়ে নেবে, তার নামায হয়ে যাবে। কিন্তু যদি বড় একটি আয়াত বা ছোট্ট তিনটি আয়াত পরিমাণ না হয়,তাহলে তাকে সাহু সিজদা দিতে হবে।
সাহু সেজদার উত্তম
পদ্ধতি সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের অনেক মতবিরোধ রয়েছে।তন্মধ্যে সর্বোত্তম পদ্ধতি
সম্পর্কে ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতে অত্যান্ত সারগর্ভ
আলোচনা করা হয়েছে।
নিম্নে তা উল্লেখ
করা হল......
وَالصَّوَابُ أَنْ يُسَلِّمَ تَسْلِيمَةً
وَاحِدَةً وَعَلَيْهِ الْجُمْهُورُ وَإِلَيْهِ أَشَارَ فِي الْأَصْلِ، كَذَا فِي
الْكَافِي وَيُسَلِّمُ عَنْ يَمِينِهِ، كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ وَكَيْفِيَّتُهُ
أَنْ يُكَبِّرَ بَعْدَ سَلَامِهِ الْأَوَّلِ وَيَخِرَّ سَاجِدًا وَيُسَبِّحَ فِي
سُجُودِهِ ثُمَّ يَفْعَلَ ثَانِيًا كَذَلِكَ ثُمَّ يَتَشَهَّدَ ثَانِيًا ثُمَّ
يُسَلِّمَ، كَذَا فِي الْمُحِيطِ.
وَيَأْتِي بِالصَّلَاةِ عَلَى
النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
-
অর্থাৎ-সেজদায়ে
সাহুর সর্বোত্তম পদ্ধতি হচ্ছে, শেষ বৈঠকে তাশাহুদ
পড়ার পর এক সালাম ডানদিকে ফিরাবে, অতঃপর আল্লাহু
আকবর বলে সেজদায় চলে যাবে, এবং সেথায় (নামাযের সেজদার তাসবীহের
মত)তাসবীহ পাঠ করবে,এবং এভাবে দ্বিতীয় সেজদাও আদায় করবে, অতঃপর তাশাহুদ ও দরুদ শরীফ পড়ে সালাম ফিরাবে।
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে নামাজ হয়ে যাবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। কারণ, নামাজের মধ্যে সূরার মাঝখান থেকে ৫/১০/২০ আয়াত করে পড়া যাবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন-
ﻓَﺎﻗْﺮَﺅُﻭﺍ ﻣَﺎ ﺗَﻴَﺴَّﺮَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥِ
কাজেই
কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু(নামাযে)
আবৃত্তি কর। (সূরা মুযযাম্মিল-২০)