আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
225 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (40 points)
edited by
১.

কারো নানী যদি ছেলেদের কাছে থাকতে হয় সেজন্য ছেলেদের করা অন্যায়ে প্রশ্রয় দেন-কালোযাদু করে মানুষের ক্ষতি এমনকি নিজের মেয়ের পরিবারের ক্ষতি করতেও বাঁধা না দেন সেক্ষেত্রে মা অসিয়ত করে গেলে মায়ের মৃত্যুর খবর নানীকে না জানিয়ে দ্রুত কবর দিয়ে দিলে খারাপ হবে কিনা।

অসিয়ত করা মানুষটা বারবার করে বলতেছেন কথাটা " কেও দেখার আগে যেন কবর দেয়া হয় সেটা"

এদের সাথে সম্পর্ক একদম নাই বললেই চলে,কোন রকমে সৌজন্যমূলক সম্পর্ক ।
মৃত্যুর কথা শুনলে লাশ সংক্রান্ত ঝামেলা নিয়ে পেরেশান যেমন কবর দিতে লেট করা,ক্ষেত্র বিশেষ পরিবার বর্গকে এক ঘরে করার প্রচেষ্টা,  বাসায় এসে নানাবিধ জুলুম বা প্রতিবেশীদের ভুল বুঝানো ইত্যাদি।

২. যুদ্ধের সময় আমার দাদার বাবা / আমার দাদারা জমি লিছ নিয়ে খেত। মেইনলি যেসব মানুষেরা পালিয়ে দেশ ছেড়ে গেছে ইন্ডিয়া চলে গেছে এগুলা তাদের জব্দ করা জমি।এখন হয়ত আর কিছু সময় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই জমি আমাদের বাবা/চাচারা নিজেদের নামে রেকর্ড করে নিতো সরকারের থেকে। তো হঠাৎ যারা এই জমির মালিক ছিলো তাদের সন্তান বা নাতিরা এই জমি আবার কব্জা করতে চায়।
এখন তারা কি এই জমির হকদার আছে? এখন আমার বাবা/চাচারা কেস করে নিজেদের নামে জমি নিলে কি তা বৈধ হবে?

ইসলামি শরিয়াহ কি বলে জানতে চাই। সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

৩. সহিহ হাদিসে কি কোথাও এমন আছে যে স্ত্রী কে প্রহার করলে দাগ না বসলে /বসলেও তার হিসাব নেয়া হবে না বা তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হবেনা?
স্ত্রী কোন অন্যায় করলে তাকে কি প্রহার করা জায়েজ নাকি ভিন্ন ভাবে সালিস/ শাস্তি/ সংশোধন এর সুযোগ দেয়া হবে?
৪. স্ত্রী-র কি স্বামীর কাছে জৈবিক কোন হক আছে?যেমন একজন স্ত্রী কে স্বামী ডাকার সাথে সাথে সাড়া দিতে হবে। এটাই নরমাল আর স্বামীর হক। এখন স্ত্রীর যদি এরুপ চাহিদা থাকে আর স্বামীকে ডাকলে সে কাছে না আসে কিংবা স্বামীর মন মত শুধু কাছে আসে কিংবা ৪ মাসে একবার /২ বার শুধু কাছে আসে এমন অবস্থায় কি স্ত্রীর হক খর্ব করা হয়?

মেইনলি স্ত্রীর জৈবিক চাহিদা জাগ্রত হলে সেটা পূরা করা কি স্বামীর প্রতি স্ত্রীর হক নাকি স্বামী তা পূরণ না করলে কোন সমস্যা হবেনা?

1 Answer

0 votes
by (575,490 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
মায়ের অছিয়ত অনুযায়ী প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তারাতাড়ি দাফন করলে সমস্যা নেই।

(০২)
দেশিয় আইন অনুযায়ী আপনারা কাজ করবেন।
যদি দেশিও আইন অনুযায়ী উক্ত জমি পাওয়ার হক আপনারা হোন,তাহলে সেটি আইনি ভাবে মোকাবেলা করে নিতে পারেন।

কিন্তু যদি আইন অনুযায়ী তারা এই জমির হকদার হোন,তাহলে তারাই এই জমি নিবে।
সেক্ষেত্রে কোনো জোড় জুলুম করা যাবেনা।

(০৩)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يُسْأَلُ الرَّجُلُ فِيمَا ضَرَبَ امْرَأَتَهُ عَلَيْهِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه

‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ স্বামী স্বীয় স্ত্রীকে (প্রয়োজনসাপেক্ষে) প্রহার করলে (কিয়ামত দিবসে) জিজ্ঞাসিত হবে না।

য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ২১৪, ইবনু মাজাহ ১৯৮৬, ইরওয়া ২০৩৪, য‘ঈফ আল জামি‘ ৬৩৫০। 

★উক্ত হাদীস সহীহ নয়,এটি জয়িফ হাদীস।

★স্ত্রী কোন অন্যায় করলে তাকে প্রহার করার আগে  ভিন্ন ভাবে সালিস/ শাস্তি/ সংশোধন এর সুযোগ দেয়া হবে।


মহান আল্লাহ্ তায়ালা বলেন,

 ٱلرِّجَالُ قَوَّٰمُونَ عَلَى ٱلنِّسَآءِ بِمَا فَضَّلَ ٱللَّهُ بَعۡضَهُمۡ عَلَىٰ بَعۡضٖ وَبِمَآ أَنفَقُواْ مِنۡ أَمۡوَٰلِهِمۡۚ فَٱلصَّٰلِحَٰتُ قَٰنِتَٰتٌ حَٰفِظَٰتٞ لِّلۡغَيۡبِ بِمَا حَفِظَ ٱللَّهُۚ وَٱلَّٰتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَٱهۡجُرُوهُنَّ فِي ٱلۡمَضَاجِعِ وَٱضۡرِبُوهُنَّۖ فَإِنۡ أَطَعۡنَكُمۡ فَلَا تَبۡغُواْ عَلَيۡهِنَّ سَبِيلًاۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيّٗا كَبِيرٗا ٣٤ [النساء: ٣٤] 

পুরুষরা নারীদের তত্ত্বাবধায়ক, এ কারণে যে, আল্লাহ তাদের একের উপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং যেহেতু তারা নিজদের সম্পদ থেকে ব্যয় করে। সুতরাং পুণ্যবতী নারীরা অনুগত, তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে হিফাজতকারিনী ঐ বিষয়ের যা আল্লাহ হিফাজত করেছেন। আর তোমরা যাদের অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদেরকে সদুপদেশ দাও, বিছানায় তাদেরকে ত্যাগ কর এবং তাদেরকে (মৃদু) প্রহার কর। এরপর যদি তারা তোমাদের আনুগত্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমুন্নত মহান। [সূরা আন-নিসা: ৩৪] 

এই আয়াতে অবাধ্য স্ত্রীকে সংশোধন করার জন্য যে নীতিমালা প্রদান করা হয়েছে তা নিম্নরূপ: প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে উপদেশ দেওয়া : এ সম্পর্কে পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে যে, তাকে ভদ্র ও নম্রভাবে বুঝাতে হবে, বিরোধীতা ও হঠকারিতার পরিণাম সম্পর্কে জ্ঞান দান করতে হবে। স্বামী যে সত্য সত্যই স্ত্রীর কল্যাণকামী এ বিষয়টি যেন তার কাছে প্রকাশ পায় এমন ভাষা ব্যবহার করতে হবে। রাগতঃ ভাষায় কর্কষ কন্ঠের কথা কখনো উপদেশ হতে পারে না। স্ত্রীকে সংশোধন করার জন্য কখনই কঠিন ও শক্ত ভাষা ব্যবহার করে উপদেশ দেয়ার চেষ্টা করবেন না। 

কেননা অন্যায়কে অন্যায় দিয়ে প্রতিহত করা যায় না। দ্বিতীয় পদক্ষেপ বিছানায় পরিত্যাগ করা : একই বিছানায় তার থেকে আলাদাভাবে শয়ন করা। এমন কথা নয় যে, তাকে ঘরের বাইরে রাখা বা অন্য ঘরে রাখা বা পিতা-মাতার বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া। 

কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আয়াতে নির্দেশিত বিছানায় পরিত্যাগ করার
ব্যাখ্যায় বলেছেন, 

عَنْ حَكِيمِ بْنِ مُعَاوِيَةَ الْقُشَيْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا حَقُّ زَوْجَةِ أَحَدِنَا عَلَيْهِ؟، قَالَ: «أَنْ تُطْعِمَهَا إِذَا طَعِمْتَ، وَتَكْسُوَهَا إِذَا اكْتَسَيْتَ، أَوِ اكْتَسَبْتَ، وَلَا تَضْرِبِ الْوَجْهَ، وَلَا تُقَبِّحْ، وَلَا تَهْجُرْ إِلَّا فِي الْبَيْتِ» 

হাকীম ইবন মুআবিয়া রহ. তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করি, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! স্বামীদের উপর স্ত্রীদের কী হক? তিনি বলেন, “যা সে খাবে তাকেও (স্ত্রী) খাওয়াবে, আর সে যা পরিধান করবে তাকেও তা পরিধান করাবে। আর তার (স্ত্রীর) চেহারার উপর মারবে না এবং তাকে গালাগাল করবে না। আর তাকে ঘর হতে বের করে দিবে না। [আবু দাউদ: হাদীস নং ২১৪২।] 

বিছানায় আলাদা করে রাখার অর্থ সম্পর্কে আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তার সাথে তার বিছানাতেই শুইবে কিন্তু তারসাথে সহবাস করবে না। তার দিকে পিঠ ঘুরিয়ে শয়ন করবে। অন্য বর্ণনা মতে ইবনু আব্বাস বলেন, তার সাথে স্বাভাবিক কথা ছাড়া আর কিছু বলবে না। [তাফসীর ইবন কাসীর, সূরা নিসার ৩৪ নং আয়াতের তাফসীর।] 

ইমাম কুরতুবী এই পদক্ষেপের উপকারিতা সম্পর্কে বলেন, স্বামীর প্রতি যদি স্ত্রীর ভালোবাসা থাকে তাহলে এ অবস্থা তার কাছে খুবই অসহনীয়ও কষ্টকর হবে, ফলে সে সংশোধন হবে। কিন্তু ভালোবাসায় ত্রুটি থাকলে বা মনে ঘৃণা থাকলে নিজ অবাধ্যতার উপর সে অটল থাকবে-সংশোধনের পথে অগ্রসর হবে না। [তাফসীরে কুরতুবী, সূরা নিসার ৩৪ নং আয়াতের তাফসীর।] 

সংশোধনের এই দ্বিতীয় নীতি ফলপ্রসু না হলে তৃতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আর তা হচ্ছে- তৃতীয় পদক্ষেপ মৃদু প্রহার করা : এটি হচ্ছে সর্বশেষ পদক্ষেপ। আল্লাহ্ বলেন, وَاضْرِبُوهُنَّ এবং তাদেরকে প্রহার করবে। এর তাফসীরে হাফেয ইবন কাসীর [রহ.] বলেন, যদি উপদেশ প্রদান ও আলাদা রাখার পরও কোনো কাজ না হয়, স্ত্রীগণ সংশোধনের পথে ফিরে না আসে, তবে হালকা করে তাদেরকে প্রহার করবে। জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

 «فَاتَّقُوا اللهَ فِي النِّسَاءِ، فَإِنَّكُمْ أَخَذْتُمُوهُنَّ بِأَمَانِ اللهِ، وَاسْتَحْلَلْتُمْ فُرُوجَهُنَّ بِكَلِمَةِ اللهِ، وَلَكُمْ عَلَيْهِنَّ أَنْ لَا يُوطِئْنَ فُرُشَكُمْ أَحَدًا تَكْرَهُونَهُ، فَإِنْ فَعَلْنَ ذَلِكَ فَاضْرِبُوهُنَّ ضَرْبًا غَيْرَ مُبَرِّحٍ، وَلَهُنَّ عَلَيْكُمْ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ» 

তোমরা স্ত্রীদের ব্যাপারে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। কেননা আল্লাহর আমানতে তোমরা তাদেরকে গ্রহণ করেছ। আল্লাহর বাণী সাক্ষী রেখে তোমরা তাদের সাথে সহবাস করা বৈধ করেছো। তাদের উপর তোমাদের অধিকার হচ্ছে, তারা তোমাদের গৃহে এমন লোককে প্রবেশ করতে দিবে না যাকে তোমরা পছন্দ কর না। কিন্তু তারা যদি নির্দেশ লঙ্ঘন করে এরূপ করে ফেলে তবে, তাদেরকে প্রহার কর। কিন্তু প্রহার যেন কঠিন ও কষ্টদায়ক না হয়। তোমাদের উপর তাদের অধিকার হচ্ছে, তোমরা সঠিকভাবে নিয়ম মাফিক তাদের খানা-পিনা ও কাপড়ের ব্যবস্থা করবে। [মুসলিম, হাদীস নং ১২১৮।] 

হাসান বাসরী [রহ.] এই প্রহারের ব্যাখ্যায় বলেন, প্রহার যেন এমন না হয় যার কারণে শরীরে কোন চিহ্ন দেখা যায় বা শরীর ফুলে-ফুটে যায়। আত্বা [রহ.] বলেন, ইবন আব্বাসকে প্রশ্ন করা হল, উক্ত প্রহার কিরূপ হবে? তিনি বললেন, মেসওয়াক বা অনুরূপ বস্তু দ্বারা প্রহার হতে হবে। (তাফসীরে কুরতুবী)। অন্য হাদীসে প্রহারের ক্ষেত্রে হালকাভাবে হলেও মুখমন্ডলে প্রহার করতে নিষেধ করা হয়েছে।

আরো কিছু উলামায়ে কেরামগন বলেছেনঃ  
বর্তমানে আমাদের সমাজে কিছু পুরুষ ব্যক্তি ইচ্ছেমত স্ত্রীর গায়ে হাত তোলে। এটি জুলুম ও একেবারেই নিষিদ্ধ। কুরআন মাজিদে আল্লাহ তাআলা যেখানে প্রহারের অনুমতি দিয়েছেন সেখানে প্রহার করার পূর্বে আরও দুটি ধাপ অতিক্রম করতে বলেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-    

وَاللَّاتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَاهْجُرُوهُنَّ فِي الْمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوهُنَّ

‘যে সকল স্ত্রীদের থেকে তোমরা অবাধ্যতার ভয় কর তাদেরকে উপদেশ দাও এবং শয্যা পৃথক করে দাও এবং প্রহার কর।’ [সূরা নিসা, আয়াত: ৩৪]

সুতরাং স্বাভাবিক অবস্থায় স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার অধিকার স্বামীর নেই। চূড়ান্ত পর্যায়ে স্ত্রীকে সামান্য প্রহারের অনুমতি থাকলেও সেক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়গুলি অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে।

ক. সংশোধনের উপরোক্ত দুটি পন্থা ব্যর্থ হলে কেবল তখনই হালকা প্রহারের অবকাশ আছে।
খ. অন্তরে মুহাব্বত পোষণ রেখে চূড়ান্ত পর্যায়ের অসন্তুষ্টি প্রকাশের জন্য এমনটি করা যাবে। যেন সে সংশোধন হয়ে যায়।
গ. রাগান্বিত অবস্থায় প্রহার করতে পারবে না। কারণ রাগের সময় প্রহার করলে শরিয়তের গণ্ডির মধ্যে থাকা সম্ভব নাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
ঘ. চেহারা ও স্পর্শকাতর অঙ্গসমূহে প্রহার করা যাবে না।
ঙ. ক্ষতের সৃষ্টি হয়, হাড্ডিতে চোট লাগে, চামড়ায় দাগ পড়ে, রক্তপাত হয়, শরীরে প্রভাব-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এমনভাবে প্রহার করা যাবে না।

এক কথায় মৃদু প্রহার যার দ্বারা শরীরে দীর্ঘস্থায়ী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে না। কারণ উদ্দেশ্য প্রহার নয়। উদ্দেশ্য হল সংশোধন করা।
উল্লেখ্য, স্ত্রীর সংশোধনের চূড়ান্ত পর্যায়েও মৃদু প্রহারকে রাসূল সা. অপছন্দ করেছেন। হাদি শরিফে এসেছে, রাসূল সা. বলেন:
তোমরাদের মধ্যে যারা তাদের স্ত্রীকে প্রহার করে তারা ভালো লোক নয়। সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২১৪৬
অতএব উত্তম আখলাক হল, মৃদু প্রহার থেকেও বিরত থাকা।
খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৪৪৪, বাদায়েউস সানায়ে ৩/৬৫০, আততাশরীয়ুল জিনায়ী ১/৩৮৫

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৪)
স্ত্রী-র স্বামীর কাছে জৈবিক হক আছে।
এক্ষেত্রে স্বামীর কোনো ওযর ছাড়া এবং স্ত্রীর সন্তুষ্টি ছাড়া তাকে তার জৈবিক হক থেকে বঞ্চিত করলে স্বামীর গুনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...