আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
134 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (57 points)
edited by
হুযুর ৩ মাস এর বেশি সময় ধরে কন এক স্ত্রি ওয়াস ওয়াসায় আক্রান্ত্র,  মুখ খুলে না (ত......) শব্দটা বলে ফেলবে এই ভয় এ

সে ঠিক মত কথাও বলতে পারে না, কথা বলার জন্য মুখ খুললে (ত.....) শব্দটা আগে মনে চলে আসে,  এমন টা বেশি হয় খাওয়ার সময়, কথা বলার সময়, দাত মাজার সময়, নামায এর সময়

কখনও কখনও ওই স্ত্রি বুজতে পারে না শব্দটা সে মুখে বলছে নাকি মনে মনে বলছে, কন কথা এক্তু সময় নিয়ে বলতে গেলে তার মনে (ত''''))) শব্দ টা চলে আসে, সে সারাদিন চুপ থাকে,  কথা বলে না, কিন্তু কথা বলার ত দরকার হয়, যখন এ সে কথা বলতে জায় ওই (ত.....)) শব্দ মনে চলে আসে, অবস্থা দিন দিন আর খারাপ হচ্ছে, ভাত খাইতে পারে না, পানি খাইতে পারে না, (ত....) আগে মাথায় আসে, নামায পরতে পারে না, সুরা কেরাত পরতে গেলে (ত....) শব্দ মাথায় আসে, মুখ বন্দ করে সুরা পরে জাতে অই শব্দ বলে না ফেলে

১))) এই অবস্থায় একদিন সে নামায পরছিল, একটা আয়াত পরার সময় তার মনে হয় সে হইত (ত......নিলাম)  বলেছে কিন্তু মনে মনে বলছে নাকি শব্দ করে বলছে শেটা বুজতে পারে না, সে খুব ভয় পেয়ে জায় এই ভেবে যে সেকি শব্দ করে বলে ফেল্ল কিনা, তারপর নামায সেশ করে সে কুরানের আয়াত আবার পরতে থাকে আর মনে মনে ((ত......নিলাম)) শব্দ বলতে থাকে এটা বুজার জন্য যে এভাবে বললে শব্দ হয় কিনা বা কতটুকু হয় বা মনে মনে বলছে কিনা সেটা বুজার জন্য,   এভাবে আয়াত পরতে পরতে আর মনে মনে বলতে সে এক সময় আবার সন্দেহে পরে জায় সেকি শব্দটা মনে মনে বলছে নাকি শব্দ করে বলছে
হুযুর সে যদি শব্দ করে ফেলে তাহলে কি (ত....) হয়ে যাবে, সে (ত.....) নেওয়ায় জন্য বলে নাই, ভয় থেকে আর ওয়াস অয়াসা থেকে এমন টা করেছে
২)))) আর একদিন পানি খাওয়ার সময় ও তার এমনটা হয়েছে, ভাত খাওয়ার সময় এমন টা হয়েছে, হাই তলার সময় এমন টা হয়েছে, কথা বলার সময় এমন টা হয়েছে, সে ঠিক বুজতে পারে না  শব্দ করে বলেছে নাকি মনে মনে বলেছে, কারন শব্দটা সব সময় তার মাথায় ঘুর পাক খায়,  মুখ সব সময় বন্ধ করে রাখে,  কার সাথে কথা বলে না, তারপর যখন ই কথা বলতে জায় অই শব্দ মাথায় চলে আসে,

৩))) কাবিন বিয়ের ইজাব কবুল হউআর আগেই হয়েছে,  সাইন ও ইজাব কবুল এর আগেই হয়েছে, সেখানে ১৮ নং এ লেখা সমান অধিকার, কিন্তু ৩ মাস পর যখন কাবিন নামা তোলা  হয় তখন কাযি সব কিছু নিজে লিখে দিয়েছে বর কনে এর সাইন অ কাযি করেছে ১৮ নং এ সে সমান অধিকার লিখে দিয়েছে, এতে  কি  স্ত্রি অধিকার প্রাপ্ত হবে

৪) সেই স্ত্রি একদিন পানি খাওয়ার সময় বিসমিল্লাহ বলার পর তার মনে হয় সে হয়ত ((ত....)))) শব্দ টা বলেছে, কিন্তু কিভাবে বলেছে সেটা বুজতে পারে না, শেটা বুজার জন্য আবার যখন পানি খায় তখন শব্দ টা মনে মনে বলে এটা বুজার জন্য যে এভাবে বললে শব্দ হয় কিনা না কতটুকু হয় বা মনে মনে বলেছে কিনা, সে (ত....) নেওয়ার জন্য বলে নাই বলেছে সুধু বুজার জন্য কিন্তু তখন ও সে শব্দ করে বলেছে কিনা বুজতে পারে না,
পরে যখন বুজার জন্য বলেছে তখন ও শব্দ করেছে কিনা সে সন্দিহান,  হুযুর পরে বলার সময় সে যদি শব্দ করে ফেলে তাহলে কি (ত......) হয়ে জায়

5) সেই স্ত্রি কথা বলাই বন্ধ করে দিছে, পরিবারের সবাই রাগ করে কেন সে কথা বলে না, সানির সাথেও ভাল করে কথা বলে না, সে ভয়ে থাকে এই হইত সে শব্দ টা বলে ফেলবে,  সে ভাত পানি ঠিক মত খেতে পারে না,  পানি খায় চিকন পাইপ দিয়ে জাতে মুখ কম হা হয়, তার ভয় হয় মুখ বেশি হা করলে সে হয়ত শব্দ টা বলে ফেলবে, কারন মুখ খুললে শব্দ টা তার মাথায় চলে আসে, মাযে মাযে  পানি ভাত খাওএর সময় সে মনে মনে ((((ত)))  এমন টা বলে ফেলেছে, সামির সাথে কথা বলার সময় সে মনে মনে ((ত.... নিলাম)) এমন টা বলেছে মনে মনে।  তাই ভয়ে সে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে জাতে শব্দ করে বলে না ফেলে, কিভাবে ত আর চলা জায় না হুযুর, অই মহিলা এখন কি করবে?????

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক শব্দ। এটি খুবই জঘন্য একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

শরীয়তের বিধান হলো সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো তালাক পতিত হয়না।  

قال العلامۃ الحموی: فحلفہ باطل ای فلا شییٔ علیہ قیل اما الطلاق والعتاق فانہما لا یقعان بالشک۔ (غمز عیون البصائر علی الاشباہ ۱:۱۹۸ القاعدۃ الثالثۃ)
সারমর্মঃ  
তালাক এবং গোলাম আযাদ,এ দুটি বিষয় সন্দেহের ভিত্তিতে পতিত হয়না।  

বিস্তারিত জানুনঃ- 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।
আপনি নিশ্চিত থাকুন।

আরো জানুনঃ- 

(০২)
তালাক হবেনা।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবেনা। 

(০৪)
এতেও তালাক হবেনা।

(০৫)
সকলের সাথেই স্বাভাবিক ভাবে কথাবার্তা চালিয়ে যেতে হবে।
তালাক সংক্রান্ত মাসয়ালা না পড়ার অনুরোধ থাকবে।

তালাক সংক্রান্ত শয়তানের এ সমস্ত ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দেয়া যাবেনা।
মাথাতেই আসতে দেয়া যাবেনা।
এমন ভাবনা মাথায় আসলেই বিতাড়িত শয়তান হতে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতে হবে। 
এমন ভাবনা মাথায় আসলেই তিনবার لا حول ولا قوة إلا بالله العلي العظيم  পড়ে বাম পাশে তিনবার থুথু ফেলতে পারে ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...