আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
144 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (25 points)
১.আসসালামু আলাইকুম।হুজুর আমি ঈমান ভংগের কারন জানার পর আগের বিভিন্ন কথা আমার মনে  পরতেছে আর আমি পেরেশানিতে আছি।  সবসময় শুধু মনে হয় ঈমান ভংগ হল নাকি। বিবাহের কোন সমস্যা হল নাকি।হুজুর আপনাদের এই ওয়েবসাইটে ও অনেক প্রশ্ন করেছি। হুজুর আমি সবসময় বিষন্ন থাকি।   আমার কোন কাজ ভালো লাগেনা।   এই বিষয়গুলো নিয়ে আমার স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য হয় দুই তিন আগে।মনোমালিন্য হওয়ার সময় আমার ওয়াসওয়াসার কথা মনে হয় যে, ওয়াসওয়াসার কারনে আমার স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য হচ্ছে। তখন আমি  সম্ভবত  জিহবা ও ঠোঁট নাড়িয়ে ধিরে ধিরে কোন গালি দিতে গিয়ে বা অর্ধেক গালি দিয়ে থেমে যাই। এবং সাথে সাথে ইস্তিগফার পড়ি। হুজুর গালি দেওয়ার সময় আমার মনে  আল্লাহ সম্পর্কে  কথা মনে পড়ছিল।   হুজুর আমি যদি অই গালি দিতে গিয়ে থেমে যাওয়া বা গালির অর্ধেক যদি আল্লাহ সম্পর্কে হয় তাহলে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা  হবে। আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে। হুজুর আমি কি গালি দিতে চেয়েছিলাম বা কোন   গালির অর্ধেক দিয়ে থেমে গেছিলাম তা আমার মনে নেই। কিন্তু আমার ওয়াসওয়াসার কারনে  আমার স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য হচ্ছে এটা  মনে হওয়ার সাথে সাথে আমার গালি মনে আসে। কিন্তু তখন আমার আল্লাহ সম্পর্কে কথাও মনে আসে তখন আমি গালি দিতে যেয়ে থেমে যাই বা গালির অর্ধেক  গালি দিয়ে থেমে যাই। কিন্তু কোন গালি আমি এখনও মনে করতে পারছি না। হুজুর এর কারনে কি আমার ঈমানের  কোন সমস্যা হবে? হুজুর আমি সাথে সাথে ইস্তিগফার পরছি।

২.হুজুর এখন আমার মনে হচ্ছে যে, গালির পুরোটা দেয়ার পর আমি থেমে গেছিলাম মনে হয়। হুজুর মনোমালিন্য হওয়ার সময় আমার ওয়াসওয়াসার কথা মনে হওয়ার কারনে আমার গালির কথা মনে আসে কিন্তু তখন আল্লাহ সম্পর্কে কথা ও আমার মনে আসে। হুজুর আমি শিওর নয় আল্লাহ সম্পর্কে অগুলো বলেছিলাম নাকি। আমার সন্দেহ হচ্ছে। হুজুর সাথে সাথে আমি ইস্তিগফার পড়ি। এগুলো যদি আল্লাহ সম্পর্কে হয় তাহলে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  হুজুর আমি সাথে সাথে ইস্তিগফার পড়েছি।                                                           
৩. হুজুর উপরের ঘটনাটা ছিল  রাতের। পরদিন   ফজরের নামাজ পরতে উঠে আমার মনে সন্দেহ হয় যে, আমি কালকে রাত্রে কাকে উদ্দেশ্য করে ওগুলো বল্লাম আল্লাহ কে উদ্দেশ্য করে বল্লাম নাকি আবার মনে হচ্ছে ওয়াসওয়াসার কারনে আমার স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য হচ্ছিল এই কথা টা মনে হওয়ার পরই তো গালি আমার মনে আসে বা রাগ হয়। তখন আমি মনে মনে কি   গালি দিতে গিয়ে থেমে গেছিলাম বা গালির অর্ধেক দিয়ে থেমে গেছিলাম তা মনে করার চেষ্টা করি । তখন আমার মনে একাধিক বাজে গালি আসে বা আমি মনে মনে গালিগুলো মনে করি বা  গালিগুলো মনে মনে বলি জিহবা বা ঠোঁট না নাড়িয়ে আর কি।  তখন আমার মনে হল এই গালি গুলো যে মনে মনে ভাবলাম বা জিহবা বা ঠোঁট না নাড়িয়ে মনে মনে যে  বল্লাম   কাকে উদ্দেশ্য করে বল্লাম আল্লাহ কে উদ্দেশ্য করে বল্লাম নাকি। হুজুর আমি তখন সম্ভবত  সুন্নাত নামাজ পরে বসেছিলাম। তখন আমি ইস্তিগফার পড়েছিলাম নাকি মনে নেই। কিন্তু ফজরের ফরজ নামাজ পরার পর ইস্তিগফার পড়ি।  হুজুর এভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে কি গালি দিয়েছিলাম নাকি তা মনে করার   জন্য   গালি গুলো মনে মনে ভাবার কারনে বা জিহবা বা ঠোঁট না নাড়িয়ে  মনে মনে ব লার কারণে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে। এগুলো আল্লাহর উদ্দেশ্যে মনে মনে ভাবলাম নাকি তা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। হুজুর এর কারনে কি আমারঈমানের কোন সমস্যা হবে। বিবাহের কোন সমস্যা হবে কি? ইস্তিগফার এক্টু পরে পরলে কি সমস্যা হবে?  
৪.হুজুর আজকে আমার মনে হচ্ছে   যে,  সেদিন যে স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য হওয়ার সময় ওগুলো বলেছিলাম ওগুলো কি জিহবা ও ঠোঁট নাড়িয়ে বলেছিলাম নাকি। (কারন  আমি একজায়গায় দেখেছিলাম যে,হাদিসে আছে, ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত ব্যাক্তি যতখন পর্যন্ত কোন কথা বা কাজের মাধ্যমে তা প্রকাশ ততখন পর্যন্ত আল্লাহ শাস্তি দেন না এরকমই সারমর্ম সম্ভবত।        পুরো হাদিসে ডিটেইলস ভাবে আছে। আমি হাদিস টা সঠিকভাবে লিখতে পারলাম না।)৷ যেহেতু জিহবা ও ঠোঁট নাড়িয়ে বল্লে কথা বলা হবে। এজন্য   হুজুর আমি জিহবা ও ঠোঁট নাড়িয়ে বলেছিলাম নাকি তা বোঝার জন্য জিহবা ও ঠোঁট নাড়িয়ে বাজে একটা গালির অর্ধেক বলে থেমে যাই এবং আমি মনে মনে বল্লাম কি বল্লাম আমি এটা। কাকে উদ্দেশ্য করে বল্লাম এটা।       হুজুর তখন আমি ইস্তিগফার পড়ি। (এখন আবার মনে হচ্ছে তখন মনে হয় সাথে সাথে ইস্তিগফার পড়িনি)। হুজুর এভাবে জিহবা ও ঠোঁট নাড়িয়ে বাজে  একটা গালির কথা মনে করার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلُوهُ إِنَّا نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا مَا يَتَعَاظَمُ أَحَدُنَا أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ . قَالَ ” وَقَدْ وَجَدْتُمُوهُ ” . قَالُوا نَعَمْ . قَالَ ” ذَاكَ صَرِيحُ الإِيمَانِ ”

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কতিপয় সাহাবী তাঁর সমীপে এসে বললেন, আমাদের অন্তরে এমন কিছু সংশয়ের উদয় হয়, যা আমাদের কেউ মুখে উচ্চারণ করতেও মারাত্মক মনে করে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেনঃ সত্যই তোমাদের তা হয়? তারা জবাব দিলেন, জ্বী, হ্যাঁ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটই স্পষ্ট ঈমান। (কারণ ঈমান আছে বলেই সে সম্পর্কে ওয়াসওয়াসা ও সংশয়কে মারাত্মক মনে করা হয়।) [সহীহ মুসলিম-১/৭৯, হাদীস নং-১৩২, ইফাবা, হাদীস নং-২৪০]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। [সহীহ বুখারী-১/৩৪৩, হাদীস নং-২৫২৮, ইফাবা, হাদীস নং-২৩৬১]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(১.২.৩.৪)
প্রশ্নের বিবরণ মোতাবেক কোনো ছুরতেই আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
আপনি নিশ্চিত থাকুন।
আপনাদের বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।
আপনি খালেস দিলে তওবা করবেন।

ভবিষ্যতে মহান আল্লাহর শানে এহেন কোনো কথা বলা থেকে বিরত থাকার ওয়াদাবদ্ধ হবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...