১.আসসালামু আলাইকুম।হুজুর আমি ঈমান ভংগের কারন জানার পর আগের বিভিন্ন কথা আমার মনে পরতেছে আর আমি পেরেশানিতে আছি। সবসময় শুধু মনে হয় ঈমান ভংগ হল নাকি। বিবাহের কোন সমস্যা হল নাকি।হুজুর আপনাদের এই ওয়েবসাইটে ও অনেক প্রশ্ন করেছি। হুজুর আমি সবসময় বিষন্ন থাকি। আমার কোন কাজ ভালো লাগেনা। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমার স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য হয় দুই তিন আগে।মনোমালিন্য হওয়ার সময় আমার ওয়াসওয়াসার কথা মনে হয় যে, ওয়াসওয়াসার কারনে আমার স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য হচ্ছে। তখন আমি সম্ভবত জিহবা ও ঠোঁট নাড়িয়ে ধিরে ধিরে কোন গালি দিতে গিয়ে বা অর্ধেক গালি দিয়ে থেমে যাই। এবং সাথে সাথে ইস্তিগফার পড়ি। হুজুর গালি দেওয়ার সময় আমার মনে আল্লাহ সম্পর্কে কথা মনে পড়ছিল। হুজুর আমি যদি অই গালি দিতে গিয়ে থেমে যাওয়া বা গালির অর্ধেক যদি আল্লাহ সম্পর্কে হয় তাহলে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে। আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে। হুজুর আমি কি গালি দিতে চেয়েছিলাম বা কোন গালির অর্ধেক দিয়ে থেমে গেছিলাম তা আমার মনে নেই। কিন্তু আমার ওয়াসওয়াসার কারনে আমার স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য হচ্ছে এটা মনে হওয়ার সাথে সাথে আমার গালি মনে আসে। কিন্তু তখন আমার আল্লাহ সম্পর্কে কথাও মনে আসে তখন আমি গালি দিতে যেয়ে থেমে যাই বা গালির অর্ধেক গালি দিয়ে থেমে যাই। কিন্তু কোন গালি আমি এখনও মনে করতে পারছি না। হুজুর এর কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? হুজুর আমি সাথে সাথে ইস্তিগফার পরছি।
২.হুজুর এখন আমার মনে হচ্ছে যে, গালির পুরোটা দেয়ার পর আমি থেমে গেছিলাম মনে হয়। হুজুর মনোমালিন্য হওয়ার সময় আমার ওয়াসওয়াসার কথা মনে হওয়ার কারনে আমার গালির কথা মনে আসে কিন্তু তখন আল্লাহ সম্পর্কে কথা ও আমার মনে আসে। হুজুর আমি শিওর নয় আল্লাহ সম্পর্কে অগুলো বলেছিলাম নাকি। আমার সন্দেহ হচ্ছে। হুজুর সাথে সাথে আমি ইস্তিগফার পড়ি। এগুলো যদি আল্লাহ সম্পর্কে হয় তাহলে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? হুজুর আমি সাথে সাথে ইস্তিগফার পড়েছি।
৩. হুজুর উপরের ঘটনাটা ছিল রাতের। পরদিন ফজরের নামাজ পরতে উঠে আমার মনে সন্দেহ হয় যে, আমি কালকে রাত্রে কাকে উদ্দেশ্য করে ওগুলো বল্লাম আল্লাহ কে উদ্দেশ্য করে বল্লাম নাকি আবার মনে হচ্ছে ওয়াসওয়াসার কারনে আমার স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য হচ্ছিল এই কথা টা মনে হওয়ার পরই তো গালি আমার মনে আসে বা রাগ হয়। তখন আমি মনে মনে কি গালি দিতে গিয়ে থেমে গেছিলাম বা গালির অর্ধেক দিয়ে থেমে গেছিলাম তা মনে করার চেষ্টা করি । তখন আমার মনে একাধিক বাজে গালি আসে বা আমি মনে মনে গালিগুলো মনে করি বা গালিগুলো মনে মনে বলি জিহবা বা ঠোঁট না নাড়িয়ে আর কি। তখন আমার মনে হল এই গালি গুলো যে মনে মনে ভাবলাম বা জিহবা বা ঠোঁট না নাড়িয়ে মনে মনে যে বল্লাম কাকে উদ্দেশ্য করে বল্লাম আল্লাহ কে উদ্দেশ্য করে বল্লাম নাকি। হুজুর আমি তখন সম্ভবত সুন্নাত নামাজ পরে বসেছিলাম। তখন আমি ইস্তিগফার পড়েছিলাম নাকি মনে নেই। কিন্তু ফজরের ফরজ নামাজ পরার পর ইস্তিগফার পড়ি। হুজুর এভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে কি গালি দিয়েছিলাম নাকি তা মনে করার জন্য গালি গুলো মনে মনে ভাবার কারনে বা জিহবা বা ঠোঁট না নাড়িয়ে মনে মনে ব লার কারণে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে। এগুলো আল্লাহর উদ্দেশ্যে মনে মনে ভাবলাম নাকি তা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। হুজুর এর কারনে কি আমারঈমানের কোন সমস্যা হবে। বিবাহের কোন সমস্যা হবে কি? ইস্তিগফার এক্টু পরে পরলে কি সমস্যা হবে?
৪.হুজুর আজকে আমার মনে হচ্ছে যে, সেদিন যে স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য হওয়ার সময় ওগুলো বলেছিলাম ওগুলো কি জিহবা ও ঠোঁট নাড়িয়ে বলেছিলাম নাকি। (কারন আমি একজায়গায় দেখেছিলাম যে,হাদিসে আছে, ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত ব্যাক্তি যতখন পর্যন্ত কোন কথা বা কাজের মাধ্যমে তা প্রকাশ ততখন পর্যন্ত আল্লাহ শাস্তি দেন না এরকমই সারমর্ম সম্ভবত। পুরো হাদিসে ডিটেইলস ভাবে আছে। আমি হাদিস টা সঠিকভাবে লিখতে পারলাম না।)৷ যেহেতু জিহবা ও ঠোঁট নাড়িয়ে বল্লে কথা বলা হবে। এজন্য হুজুর আমি জিহবা ও ঠোঁট নাড়িয়ে বলেছিলাম নাকি তা বোঝার জন্য জিহবা ও ঠোঁট নাড়িয়ে বাজে একটা গালির অর্ধেক বলে থেমে যাই এবং আমি মনে মনে বল্লাম কি বল্লাম আমি এটা। কাকে উদ্দেশ্য করে বল্লাম এটা। হুজুর তখন আমি ইস্তিগফার পড়ি। (এখন আবার মনে হচ্ছে তখন মনে হয় সাথে সাথে ইস্তিগফার পড়িনি)। হুজুর এভাবে জিহবা ও ঠোঁট নাড়িয়ে বাজে একটা গালির কথা মনে করার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে।