জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো ফরজ গোসলের সময় কানের প্রত্যেক অংশ এবং ছিদ্রের মুখ ধৌত করতে হবে
,
গোসলের পরিপূর্ণ পদ্ধতি হচ্ছে: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেভাবে গোসল করেছেন সেভাবে গোসলের সকল সুন্নত আদায় করে গোসল করা।
গোসল করার ফরয পদ্ধতি হচ্ছে–
গড়গড়াইয়া কুলি ও নাকের নরম জায়গা পর্যন্ত পানি পৌছানো।
গোটা দেহে পানি ঢালা।
সুতরাং কেউ যদি যে কোনভাবে তার গোটা দেহে পানি পৌঁছাতে পারে তাহলে সে বড় অপবিত্রতা মুক্ত হয়ে পবিত্র হয়ে যাবে।
যেহেতু আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন:
وان كنتم جنبا فطهروا
“যদি তোমরা জুনুবি হও তাহলে প্রকৃষ্টভাবে পবিত্রতা অর্জন কর।”[সূরা মায়েদা, আয়াত: ৬]
সুন্নাত পদ্ধতি হচ্ছে–
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেভাবে গোসল করতেন সেভাবে গোসল করা। যে ব্যক্তি জানাবাত (অপবিত্রতা) থেকে গোসল করতে চায় তিনি তার হাতের কব্জিদ্বয় ধৌত করবেন। এরপর লজ্জাস্থান ও লজ্জাস্থানে যা লেগে আছে সেসব ধৌত করবেন। এরপর পরিপূর্ণ ওযু করবেন। এরপর মাথার উপর তিনবার পানি ঢালবেন। এরপর শরীরের অবশিষ্টাংশ ধৌত করবেন। এটাই হচ্ছে সুন্নাহ গোসলের পদ্ধতি।
আরো জানুনঃ
গোসলের সময় কানের ভিতর যেই পরিমান সম্ভব হয়,সেই পরিমান পর্যন্ত পানি পৌছানো জরূরী।
উত্তম হলো আঙ্গুল পানি দিয়ে ভিজিয়ে সেটা কানের ভিতর প্রবেশ করানো।
,
দারুল উলুম দেওবন্দ এর ফতোয়ায় (১৩২৬৪)এমনটিই উল্লেখ রয়েছেঃ
ویجب إیصال الماء إلی داخل السرة وینبغي أن یدخل إصبعہ فیھا للمبالغة (عالمگیري: ۱/۱۱۳)
মুনাসিব হলো আঙ্গুল তার ভিতর প্রবেশ করানো।
.
তবে একেবারে ভিতরে পানি প্রবেশ করানো জরুরি নয়।
কেননা কিতাবে এসেছেঃ
ফরজ গোসলের সময় যে সব স্থানে পানি পোঁছানো কষ্টকর; সে সব স্থানের উপরিভাগে পানি গড়িয়ে দিলেই যথেষ্ট হয়ে যায়। পানি পোঁছানোর জন্য এমন কোন পদক্ষেপ নেয়া জরুরি নয় যে, যার কারণে কোন ক্ষতি হতে পারে। (ফাতাওয়া হাক্কানিয়া ২/৫৩২)
,
★কানের পর্দা পর্যন্ত পানি পৌছা জরুরী নয়।
আঙ্গুল ভিজে নিয়ে প্রবেশ করলে যতটুকু যায়,ততটুকু ভিজালেই হয়ে যাবে।