আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
260 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (14 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম আমি একটি মাইক্রো জব সাইটে কাজ করি। এই সাইটের কাজ হল বিভিন্ন ফেসবুক পেজ লাইক দেওয়া, ফলো দেওয়া, ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন, করা এ ধরনের কাজ। তারা এই কাজগুলো এজন্যই দেয় যেন  তাদের ফেসবুক পেজ অথবা ওয়েব সাইটে ইউজার বাড়ে।

তো আমার প্রশ্ন হল আমি যে ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করছি অথবা যে ফেসবুক পেজকে ফলো করছি এই পেজে যদি কোন হারাম কিছু না থাকে তাহলে এই কাজের বিনিময়ে আমি যে অর্থ পাব তা কি আমার জন্য হালাল হবে? কারন আমি এখানে তো কোন বট/অটোমেটিক সিস্টেম ব্যবহার করে লাইক অথবা ফলো দিচ্ছি না আমি নিজে ফোলো অথবা রেজিস্ট্রেশন করছি টাকার বিনিময়ে তো এইটা কি আমার জন্য হালাল হবে?

1 Answer

0 votes
by (662,910 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি যেহেতু কোনো প্রকার ধোকা প্রতারণা বা হারাম কাজের আশ্রয় নিচ্ছেন না, তাই আপনার এ কাজ হারাম হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (0 points)
আজকাল অনেককে দেখা যায় এই ধরনের কাজের সাথে যুক্ত। প্রসঙ্গতঃ জানতে চাচ্ছি যে যদি ব্যক্তিটি ফেসবুকে একাধিক ফেক আইডি খুলে বিভিন্ন পেজ লাইক/ফলোর কাজ করে, 
বা একই ব্যক্তি তার ২০ টা ইমেইল দিয়ে ২০ টা আইডি খুললো কোনো ওয়েবসাইটে - এ ধরনের কাজ করলে সেটির হুকুম কেমন হবে? এখানে তো একধরনের ধোঁকা দেয়া হচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে, যেহেতু কথার কথা, মানুষ দেখবে ফলোয়ার ৪০ জন, কিন্তু আসলে ৩-৪ জন ব্যক্তি মিলে এই ৪০ টা ফলো করেছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...