আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
234 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,
এক বোনের আশিকি জীনের সমস্যা আছে। শারীরিকভাবে খুবই কষ্ট দেয় যার ফলে বেশিরভাগ সময় শরীর থেকে প্রচুর.....ডিসচার্জ হয়। এমতাবস্থায় কি বারবার ওযু করতে হবে বা গোসল ফরজ হয়? তার নিজেকে নাপাক মনে হয় তখন।
আর বারবার ওজু বা ফরজ গোসল করা তো সম্ভব হয়ে উঠে না যেহেতু বেশিরভাগ সময়ই এমন হতে থাকে। রুকয়াআ করা হচ্ছে তবে সমস্যা এখনো আছে। এই মাসআলা জানা খুব দরকার তার।
শুকরান

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
গোসল ফরয হওয়ার কারণ উল্লেখ পূর্বক কুরআনে কারীমে যে শব্দকে উল্লেখ করা হয়েছে,সেটা হল جنب (জুনুব) শব্দ।যেমন নিম্নোক্ত আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلاةِ فاغْسِلُواْ وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُواْ بِرُؤُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَينِ وَإِن كُنتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُواْ وَإِن كُنتُم مَّرْضَى أَوْ عَلَى سَفَرٍ أَوْ جَاء أَحَدٌ مَّنكُم مِّنَ الْغَائِطِ أَوْ لاَمَسْتُمُ النِّسَاء فَلَمْ تَجِدُواْ مَاء فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُواْ بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُم مِّنْهُ مَا يُرِيدُ اللّهُ لِيَجْعَلَ عَلَيْكُم مِّنْ حَرَجٍ وَلَـكِن يُرِيدُ لِيُطَهَّرَكُمْ وَلِيُتِمَّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং পদযুগল গিটসহ। যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও এবং যদি তোমরা রুগ্ন হও, অথবা প্রবাসে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব-পায়খানা সেরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর, অতঃপর পানি না পাও, তবে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-অর্থাৎ, স্বীয় মুখ-মন্ডল ও হস্তদ্বয় মাটি দ্বারা মুছে ফেল। আল্লাহ তোমাদেরকে অসুবিধায় ফেলতে চান না; কিন্তু তোমাদেরকে পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান-যাতে তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ কর।(সূরা মায়েদা-৬)

উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَإِن كُنتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُواْ 
জুনুব শব্দের অর্থ সম্পর্কে বলা হয়,
إطلاق الجنابة في اللغة مخصوص بحال انبعاثه من الشهوة 
জুনুব শব্দ তখনই ব্যবহৃত হয় যখন তাতে কামভাবের অর্থ পাওয়া যায়।(কবিরি-৩৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কামভাবে সাথে বীর্য বের হলে,তখন গোসল ফরয হয়।যেহেতু উনার কামভাবের সাথেই বীর্য বের হচ্ছে,তাই উনার উপর গোসল ফরয হবে।যদি উনার জন্য কোনো কারণে গোসল অসম্ভব হয়ে দাড়ায়,বা দিনে দু তিনবার এভাবে বীর্যপাত হয়,এবং দিনে দু-তিনবার গোসল করাটা অস্বস্তিকর  হয়ে দাড়ায়,তাহলে তাকে তায়াম্মুম করতে হবে।তিনি যদি তায়াম্মুম করে নেন,তাহলে সেটাই উনার জন্য যথেষ্ট হবে।বিস্তারিত জানুন- 938


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 185 views
0 votes
1 answer 169 views
...