বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
গোসল ফরয হওয়ার কারণ উল্লেখ পূর্বক কুরআনে কারীমে যে শব্দকে উল্লেখ করা হয়েছে,সেটা হল جنب (জুনুব) শব্দ।যেমন নিম্নোক্ত আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلاةِ فاغْسِلُواْ وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُواْ بِرُؤُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَينِ وَإِن كُنتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُواْ وَإِن كُنتُم مَّرْضَى أَوْ عَلَى سَفَرٍ أَوْ جَاء أَحَدٌ مَّنكُم مِّنَ الْغَائِطِ أَوْ لاَمَسْتُمُ النِّسَاء فَلَمْ تَجِدُواْ مَاء فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُواْ بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُم مِّنْهُ مَا يُرِيدُ اللّهُ لِيَجْعَلَ عَلَيْكُم مِّنْ حَرَجٍ وَلَـكِن يُرِيدُ لِيُطَهَّرَكُمْ وَلِيُتِمَّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং পদযুগল গিটসহ। যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও এবং যদি তোমরা রুগ্ন হও, অথবা প্রবাসে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব-পায়খানা সেরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর, অতঃপর পানি না পাও, তবে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-অর্থাৎ, স্বীয় মুখ-মন্ডল ও হস্তদ্বয় মাটি দ্বারা মুছে ফেল। আল্লাহ তোমাদেরকে অসুবিধায় ফেলতে চান না; কিন্তু তোমাদেরকে পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান-যাতে তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ কর।(সূরা মায়েদা-৬)
উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَإِن كُنتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُواْ
জুনুব শব্দের অর্থ সম্পর্কে বলা হয়,
إطلاق الجنابة في اللغة مخصوص بحال انبعاثه من الشهوة
জুনুব শব্দ তখনই ব্যবহৃত হয় যখন তাতে কামভাবের অর্থ পাওয়া যায়।(কবিরি-৩৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কামভাবে সাথে বীর্য বের হলে,তখন গোসল ফরয হয়।যেহেতু উনার কামভাবের সাথেই বীর্য বের হচ্ছে,তাই উনার উপর গোসল ফরয হবে।যদি উনার জন্য কোনো কারণে গোসল অসম্ভব হয়ে দাড়ায়,বা দিনে দু তিনবার এভাবে বীর্যপাত হয়,এবং দিনে দু-তিনবার গোসল করাটা অস্বস্তিকর হয়ে দাড়ায়,তাহলে তাকে তায়াম্মুম করতে হবে।তিনি যদি তায়াম্মুম করে নেন,তাহলে সেটাই উনার জন্য যথেষ্ট হবে।বিস্তারিত জানুন-
938