ফেসবুকে ট্রল নিয়ে

Question

হুজুর ফেসবুকে অনেক মেয়েদেরকে দেখা যায় যে,  তারা বোরখা পরে বা    পর্দা করে টিকটক করে, বা নাচের ভিডিও দেয়।     তখন মানুষ সেটাকে নিয়ে ট্রল করে। সেই ট্রলের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকে একটা গান প্রায়ই শোনা যায় তা হল কনফার্ম জান্নাতি কনফার্ম জান্নাতি। এইরকম গান শুনে কেউ যদি হাসে বা এইরকম গান গেয়ে কেউ যদি ট্রল  তাহলে কি তার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? ঈমান ভংগের কারন জানার পর এই কথা গুলো মনে পরছে।   মুলত  সম্ভবত  এটি একটি পাকিস্তানি সংগীত।

Answer 1

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কাউকে কাফের বলার ক্ষেত্রে সতঃসিদ্ধ নিয়ম সম্পর্কে  আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহে ফিক্বহুল আকবারে বলেন-
ان المسئلة المتعلقة بالكفر اذا كان له تسع وتسعون احتمالا للكفر واحتمال واحد فى نفيه فالاولى للمفتى والقاضى ان يعمل بالاحتمال النافى، لان الخطا فى ابقاء الف كافر اهون من الخطاء فى افناء مسلم واحد،
কুফরী সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কোন বিষয়ে ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকে কুফরীর, আর এক ভাগ সম্ভাবনা থাকে, কুফরী না হওয়ার। তাহলে মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার উপর আমল করা।কেননা ভুলের কারণে এক হাজার কাফের বেচে থাকার চেয়ে ভুলে একজন মুসলমান ধ্বংস হওয়া জঘন্য। {শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯}

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রথম কথা হল, ছবি ভিডিও হারাম। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/2253

সুতরাং কোনো প্রকার ছবি বা ভিডিও স্যোসাল মিডিয়ায় দেয়া জায়েয হবে না। বিশেষকরে নারীদের ছবি এবং মিউজিক সম্ভলিত ছবি মারাত্বক পর্যায়ের নাজায়েয ও হারাম কাজ।

কেউ যদি হেজাব সম্ভলিত ছবি দেখে হাসে, তাহলে তার অনেক কারণ হতে পারে, একজন মুসলমান হিসেবে এই ধারণাই করা যায় যে, সে অঙ্গভঙ্গি বা ইসলামের সাথে অসঙ্গতি পূর্ণ ছবি বা ভিডিও দেখেই হাসছে। সুতরাং এ হিসেবে তার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। হ্যা, যদি কেউ হিজাবকে অস্বীকার বা ইসলামের অন্য কোনো বিধানকে অস্বীকার করার নিয়তে এমনটা করে, তাহলে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।