আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ্
আমাদের এইদিকে মুহাররমের ১০ তারিখে অনেকে মোরগ পোলাও বিতরণ করে পুরো এলাকায় সবার বাড়ি।  এটার কারণ হলো যারা বিলি করে তাদের মানত আছে। আমরাও বিলি করি। আমার দাদি আমার বাবার সুস্থতার জন্য মানত করেছিলো যে,  এই দিনে পোলাও বিলি করবে। এভাবে অনেকেই তাদের পরিবারের কারো না কারো সুস্থতার জন্য মানত করেছিলো। তাই তারা সবাই এইদিন পোলাও বিলি করে। এটা প্রায় একটা নিয়মে পরিণত হয়েছে যে, এইদিনে পোলাও বিলি করে ছোটরা বা পরবর্তী জেনারেশনের কাছে। তারা জানেই না কেনো করে। আমরা এটা নিয়ে তেমন মাথা ঘামাই নি। দ্বীনের জ্ঞান ছিল না। গত বছর থেকে এই জিনিসটা একটু খটকা লাগে যে, এই দিনে সবাই পোলাও রান্না করে সবার বাড়ি শুকরানার মত করে বিতরণ করে কেনো? কেনো অন্য দিনে না। আর মোরগ পোলাওই দিতে হবে কেনো? মুরগী দিয়ে দেয় না। মোরগ দিয়েই দিতে হবে। (এই দিন অনেক ভালো দিন বা পবিত্রতার দিকে লক্ষ্য রেখেই এই দিনে মানত করেছিলো বলে আমি ধারণা করছি)

আমি আমার মাকে জিজ্ঞেস করেছি এ ব্যাপারে। মা বলল, এই মানত আমার দাদী করেছে। আম্মা আসার পর এটা আম্মার দায়িত্বে দিয়ে দেয়। তারপর থেকে প্রতিবছর এই দিনে আম্মা পোলাও রান্না করে বিলি করে। এমন অনেকেই যারা আমাদের গ্রামে বিলি করে তারাও কারো না কারো সুস্থতার জন্য মানত করেছিলো যার দরুণ তারাও বিলি করে।
কিন্তু এর সূত্রপাত কিভাবে তা জানি না।
আমি জানি আল্লাহর উদ্দ্যেশ্যে মানত করা জায়েজ আছে।
কিন্তু এদের মানতের সূত্রপাতে কিছুটা খটকা আছে।
আমার দাদী কোনো এক পীরের কাছে যেত। এবং তার সময়কার অনেকেই যেত এবং কিছু পয়সা ও শিন্নি দিত আবার এভাবে পোলাও বিলাতো।

আমার দাদী বেঁচে নেই। উনি থাকলে জিজ্ঞাসা করতাম।
এখন জানি না এই মানত তারা সেই পীরের কাছে গিয়ে করেছিলো নাকি শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য করেছিলো,
নাকি আল্লাহর সাথে সাথে পীরও রিলেটেড ছিল!?
গাইরুল্লাহর কাছে মানত হলে তো শির্ক হবে।
এলাকার একজন দাদী হবে উনিও মানতের কারণে পোলাও দেন। উনার শাশুড়ী মানত করেছিলো সেই হিসেবে উনি দেন। উনাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম,  আপনারা কেনো বা কিভাবে মানত করেছিলেন?
উনি বলল, উনার শাশুড়ী করেছিলো। অনেক বছর দেওয়ার পর উনি দেওয়া বন্ধ করে দেয়।
তারপর উনার সাথে এক ঘটনা ঘটে যার ফলে উনি আবার দেওয়া শুরু করে।
ঘটনাটা হলো, উনি তার ছোট মেয়েকে নিয়ে এক বিয়ে বাড়ি যায়। তো,  হঠাৎ করে তার মেয়ে পুরো প্যারালাইজড হয়ে পরে। দাড়াতে পারে না বা হাটতে পারছিলো না। কি সমস্যা সেটা তারা বুঝতে পারছিলো না।  তখন তারা এক ওঝার কাছে যায় তখন ওই ওঝা/ কবিরাজ বলে যে, তাদের মানত ছিলো যেটা তারা পালন করে না তাই এমন হয়েছে।  তারপর থেকে তারা আবার কনটিনিউ করে।
এখন আমাদের + তাদের ঘটনা শুনে মনে হচ্ছে মানতে প্রবলেম আছে। শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যে মানত না এটা।

এখন আমাদের করণীয় কি?
এই মানত কনটিনিউ করা নাকি বন্ধ করে দেওয়া? আর যদি কনটিনিউ করি তাহলে কি নিয়ত চেঞ্জ করে আবার সঠিক ভাবে নিয়ত করা যে,  আল্লাহর উদ্দ্যেশ্যে আমার আব্বার সুস্থতার জন্য এই দিনে আমরা পোলাও বিলি করব।

মানে আমাদের কি করা উচিত?

অনেক দিন ধরে জিজ্ঞাসা করতে চাচ্ছি কিন্তু কিভাবে সাজায় বলবো তা বুঝতেছিলাম না তাই দেরী হয়ে গেল।

1 Answer

0 votes
by (589,200 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। 
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ وَسَّعَ عَلَى عِيَالِهِ فِي النَّفَقَةِ يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَسَّعَ اللَّهُ عَلَيْهِ سَائِرَ سَنَتِهِ» . قَالَ سُفْيَانُ: إِنَّا قَدْ جربناه فوجدناه كَذَلِك. رَوَاهُ رزين
’তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ’আশূরার দিন নিজের পরিবার পরিজনের জন্য উদারহস্তে খরচ করবে আল্লাহ তা’আলা গোটা বছর উদারহস্তে তাকে দান করবেন। সুফ্ইয়ান সাওরী বলেন, আমরা এর পরীক্ষা করেছি এবং কথার সত্যতার প্রমাণ পেয়েছি। (রযীন)(মিশকাতুল মাসাবিহ-১৯২৬)য‘ঈফ : রাযীন, য‘ঈফ আল জামি‘ আস-সগীর ৫৮৭৩।

মোটকথা,উক্ত হাদীসের সনদ নিয়ে মুহাদ্দিস গণের মতবিরোধ রয়েছে। এবং কেউ কেউ যঈফ অন্যদিকে কেউ কেউ উক্ত হাদীসকে মাওযু তথা বানোয়াটও বলেছেন।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মান্নত যে কোনো কিছু করা যাবে,এবং যে কোনো দিন করা যাবে। বিশেষ কোনো দিনের সাথে মান্নতকে সম্পর্কযুক্ত করা কখনো জায়েয হবে না। সুতরাং আশুরার দিনে পোলাও বা শিরনি বিতরণের মান্নত করা, এবং সেটা পালন না করলে শারিরিক ক্ষতির আশংকা করা কোনোটাই শরীয়ত সম্মত নয়। বরং এত্থেকে সবাইকে বেচে থাকতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...