জবাবঃ-
মুসলমান শুধুমাত্র রাসূলুল্লাহ সাঃ এবং রাসূলুল্লাহ সাঃ এর আদর্শে আদর্শিত ব্যক্তিবর্গকে অনুসরণ করবে।এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا
যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম নমুনা রয়েছে।(সূরা আহযাব-২১)
খেলাধুলা ও বিনোদনের অনুমোদন শরীয়তে নির্দিষ্ট কিছু শর্তের আলোকে অনুমোদিত রয়েছে।বিস্তারিত জানুন-
673প্রচলিত খেলাধুলা সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম।কেননা এতে গান-বাজনা,ফ্রি মিক্সিং পরিবেশ সহ নানান শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ড রয়েছে।তাছাড়া জুয়া এবং এর পরিপার্শ্বিক হিসেবে নামাযকে ছেড়ে দেয়া তো রয়েছে।
সুতরাং এসব অবৈধ কর্মকান্ডে জড়িতদেরকে আদর্শ ভাবা বা মহব্বত করা যাবে না।চায় তারা মুসলমান হোক বা কাফির হোক।এবং তাদের ফলো বা অনুসরণ করা যাবে না।তাদের খবরের অপেক্ষা করা বা তাদের নিউজ প্রচার প্রসার করা কিংবা তাদের পেইজে লাইক দেয়া কখনো প্রশংসনীয় কাজ হবে না।বরং এগুলো সর্বদা নিন্দনীয় হিসেবেই বিবেচিত হবে।
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
المرء مع من أحب
মানুষের হাশর তার সাথেই হবে,যাকে সে মহব্বত করে।(বুখারী-মুসলিম)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لَا تَجِدُ قَوْمًا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ يُوَادُّونَ مَنْ حَادَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَوْ كَانُوا آبَاءهُمْ أَوْ أَبْنَاءهُمْ أَوْ إِخْوَانَهُمْ أَوْ عَشِيرَتَهُمْ أُوْلَئِكَ كَتَبَ فِي قُلُوبِهِمُ الْإِيمَانَ وَأَيَّدَهُم بِرُوحٍ مِّنْهُ وَيُدْخِلُهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ أُوْلَئِكَ حِزْبُ اللَّهِ أَلَا إِنَّ حِزْبَ اللَّهِ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।(সূরা মুজাদালাহ-২২)
অনর্থক কাজে নিজ সময়কে ব্যায় করলে,সেটার হিসাবও আল্লাহর কাছে দিতে হবে।
হাদীসে এসেছে,ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( لَا تَزُولُ قَدَمُ ابْنِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عِنْدِ رَبِّهِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ خَمْسٍ : عَنْ عُمُرِهِ فِيمَ أَفْنَاهُ ، وَعَنْ شَبَابِهِ فِيمَ أَبْلَاهُ ، وَمَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَ أَنْفَقَهُ وَمَاذَا عَمِلَ فِيمَا عَلِمَ )
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার আগপর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ্ তা'আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। তার জীবনকাল সম্পর্কে, কিভাবে অতিবাহিত করেছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কি কাজে তা বিনাশ করেছে; তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথা হতে তা উপার্জন করেছে এবং তা কি কি খাতে খরচ করেছে এবং সে যত টুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কি কি আমল করেছে।
(সুনানু তিরমিযি-২৪১৬)বিস্তারিত জানুন-
2152