আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
205 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (39 points)

বর্তমান সময়ে ক্রিকেট, ফুটবল যে প্রতিযোগিতা অনুসারে খেলা হয় তাতে টাকা,জুয়া,গান বাজনা তো থাকেই।
আমার প্রশ্ন 

এইসব বিষয় সংশ্লিষ্ট কোনো খেলোয়াড় কে ফলো করা যাবে কি?
ফলো বলতে তার পেইজে লাইক দেওয়া,নিয়মিত আপডেট জানা।মুসলিম খেলোয়াড় দের ক্ষেত্রে ও বিধান কি হবে তা ও জানিয়ে উপকৃত করবেন।জাযাকাল্লাহু খাইরান।
কিছু দিন আগে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান আবার মাঠে  ফিরেছেন ১ বছর পর।অনেক মুসলিম ভাইকে দেখলাম পোস্ট করতে যে সাকিব ফিরেছে।এইসব করা বা তাদের নিয়ে পোস্ট করার দলিল গুলো জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
জবাবঃ-
মুসলমান শুধুমাত্র রাসূলুল্লাহ সাঃ এবং রাসূলুল্লাহ সাঃ এর আদর্শে আদর্শিত ব্যক্তিবর্গকে অনুসরণ করবে।এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا
যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম নমুনা রয়েছে।(সূরা আহযাব-২১)

খেলাধুলা ও বিনোদনের অনুমোদন শরীয়তে নির্দিষ্ট কিছু শর্তের আলোকে অনুমোদিত রয়েছে।বিস্তারিত জানুন- 673
প্রচলিত খেলাধুলা সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম।কেননা এতে গান-বাজনা,ফ্রি মিক্সিং পরিবেশ সহ নানান শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ড রয়েছে।তাছাড়া জুয়া এবং এর পরিপার্শ্বিক হিসেবে নামাযকে ছেড়ে দেয়া তো রয়েছে।

সুতরাং এসব অবৈধ কর্মকান্ডে জড়িতদেরকে আদর্শ ভাবা বা মহব্বত করা যাবে না।চায় তারা  মুসলমান হোক বা কাফির হোক।এবং তাদের ফলো বা অনুসরণ করা যাবে না।তাদের খবরের অপেক্ষা করা বা তাদের নিউজ প্রচার প্রসার করা কিংবা তাদের পেইজে লাইক দেয়া কখনো প্রশংসনীয় কাজ হবে না।বরং এগুলো সর্বদা নিন্দনীয় হিসেবেই বিবেচিত হবে।

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
المرء مع من أحب
মানুষের হাশর তার সাথেই হবে,যাকে সে মহব্বত করে।(বুখারী-মুসলিম)

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لَا تَجِدُ قَوْمًا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ يُوَادُّونَ مَنْ حَادَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَوْ كَانُوا آبَاءهُمْ أَوْ أَبْنَاءهُمْ أَوْ إِخْوَانَهُمْ أَوْ عَشِيرَتَهُمْ أُوْلَئِكَ كَتَبَ فِي قُلُوبِهِمُ الْإِيمَانَ وَأَيَّدَهُم بِرُوحٍ مِّنْهُ وَيُدْخِلُهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ أُوْلَئِكَ حِزْبُ اللَّهِ أَلَا إِنَّ حِزْبَ اللَّهِ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না, যদিও তারা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা জ্ঞাতি-গোষ্ঠী হয়। তাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তাঁর অদৃশ্য শক্তি দ্বারা। তিনি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। তারা তথায় চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর দল। জেনে রাখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।(সূরা মুজাদালাহ-২২)

অনর্থক কাজে নিজ সময়কে ব্যায় করলে,সেটার হিসাবও আল্লাহর কাছে দিতে হবে।
হাদীসে এসেছে,ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( لَا تَزُولُ قَدَمُ ابْنِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عِنْدِ رَبِّهِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ خَمْسٍ : عَنْ عُمُرِهِ فِيمَ أَفْنَاهُ ، وَعَنْ شَبَابِهِ فِيمَ أَبْلَاهُ ، وَمَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَ أَنْفَقَهُ وَمَاذَا عَمِلَ فِيمَا عَلِمَ ) 
 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার আগপর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ্ তা'আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। তার জীবনকাল সম্পর্কে, কিভাবে অতিবাহিত করেছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কি কাজে তা বিনাশ করেছে; তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথা হতে তা উপার্জন করেছে এবং তা কি কি খাতে খরচ করেছে এবং সে যত টুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কি কি আমল করেছে।
(সুনানু তিরমিযি-২৪১৬)বিস্তারিত জানুন- 2152


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...