ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে টাকার লেনদন এটা ঘুষ। সুতরাং এই টাকা হারাম। এখানে উনার যুক্তি গ্রহণযোগ্য হবে না।বরং এটা ঘুষই হবে এবং হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে।
https://www.ifatwa.info/1900 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
হারাম টাকা মালিক কেউ হয়না।বরং হারাম টাকাকে তাৎক্ষণাৎ সদকাহ করা ওয়াজিব।
(১)
স্ত্রী ও নাবালক ছেলে সন্তান এবং সকল বয়সের মেয়ে সন্তানের জন্য বাবার হারাম ইনকাম থেকে প্রয়োজন পর্যন্ত গ্রহণ করার রুখসত রয়েছে, যদি তাদের ব্যক্তিগত কোনো সম্পদ না থাকে।
(২)
যতটুকু হালাল বেতন পান, সেই পরিমাণ তো হালাল।তবে এটা যাচাই বাচাই করা যেহেতু মুশকিল, তাই সতর্কতামূলক সবচাকেই হারাম হিসেবে বিবেচিত করা হবে।
(৩)
পুত্র বধুর জন্য নাজায়েয হবে না। গোনাহ স্বামীরই হবে।কেননা স্বামীর দায়িত্ব হল, স্ত্রী হালাল ভরণপোষণ দান করা।
(৪)
এখানে কাফফারার আলোচনা নয়। বরং আলোচনা হল, হারাম কিছু গ্রহণ করা হলে, হারাম পরিমাণ টাকা সদকাহ করে নেয়া।