বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
মুমিন অশ্লীল কথাও বলে না, গালিও দেয় না। এ স্বভাব মুমিনের সাথে যায় না। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-
لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بِالطَّعَّانِ، وَلَا اللَّعَّانِ، وَلَا بِالْفَاحِشِ، وَلَا بِالْبَذِيءِ.
মুমিন (অন্যের) দোষ চর্চাকারী হয় না, লানতকারী, অশ্লীল ও গালিগালাজকারী হয় না (বাজে কথা বলে না)। -জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯৭৭
হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-
أَرْبَعٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ كَانَ مُنَافِقًا خَالِصًا، وَمَنْ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنْهُنَّ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنَ النِّفَاقِ حَتَّى يَدَعَهَا: إِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ، وَإِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا عَاهَدَ غَدَرَ، وَإِذَا خَاصَمَ فَجَرَ.
চারটি (মন্দ) স্বভাব আছে, এগুলো যার মাঝে থাকবে সে খালেছ মুনাফিক বলে গণ্য হবে। আর যার মাঝে এই চার স্বভাবের কোনো একটি থাকল, তার মাঝে মুনাফেকির একটি স্বভাব থাকল; যতক্ষণ না সে তা বর্জন করে।
১. আমানত রাখলে খেয়ানত করে।
২. কথা বলে তো মিথ্যা বলে।
৩. প্রতুশ্রুতি দিলে ভঙ্গ করে।
৪. তর্কের সময় গালাগালি করে।
(সহীহ বুখারী, হাদীস ৩৪)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
শয়তানকে এভাবে গালি দিলে হাদীসে বর্ণিত নিষেধকৃত গালি দেয়ার অন্তর্ভুক্ত হবেনা।
তবে মুমিন যেহেতু অকথ্য ভাষায় কথা বলেনা,অশ্লীল কথা বলেনা,তাই অকথ্য ভাষা ও অশ্লীল কথা পরিহার করতে হবে।
এতে যবানের বরকতও নষ্ট হয়।
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এরকম বলার দ্বারা আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।
(০২)
এভাবে বলার দ্বারা আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
(০৩)
এর দ্বারা আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
(০৪)
এর দ্বারা আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
(০৫)
এর দ্বারা আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
(০৬)
এতে ঈমানের সমস্যা হবেনা।
তবে এরকম অভ্যাস মুমিনদের পরিবর্তন করতে হবে।
(০৭)
এতে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
(০৮)
এতে ঈমানের সমস্যা হবেনা।
(০৯)
এতেও আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।
(১০)
এতে ঈমানের সমস্যা হবেনা।
আর বাথরুমে মনে মনে ইস্তিগফার পরলে কোন সমস্যা নেই।
তবে যবানে উচ্চারণ করা যাবেনা।
(১১)
এতে ঈমানের সমস্যা হবেনা।
তবে এরকম অভ্যাস মুমিনদের পরিবর্তন করতে হবে।
(১২)
এতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
তবে এটি ইসলামী আকীদার খেলাফ,তাই তওবা করতে হবে।
(১৩)
এতে ঈমানের সমস্যা হবেনা।
তবে ইহা নিয়ম বহির্ভুত কাজ করা হবে ও ধোকা দেয়া হবে।