ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
আপনি আপনার পিতার কাছ থেকে যে কারণ দর্শিয়ে টাকা নিয়েছেন,সেই উৎসে খরছ করতে হবে।ভিন্ন উৎসে খরছ করলে,তার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।কেননা আপনার পিতা আপনাকে ঐ টাকার মালিক বানিয়ে দিচ্ছেন না।বরং লেনদেন করার জন্য আপনাকে অনুমতি দিচ্ছেন।যাকে এবাহত বলা হয়।তবে যদি আপনার পিতা আপনাকে মালিক বানিয়ে দেন,এবং বলেন,তোমাকে মালিক বানিয়ে দিলাম,তাহলে আপনি যে কোনো খাতে ব্যবহার করতে পারবেন।
হাদীসে এসেছে,ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( لَا تَزُولُ قَدَمُ ابْنِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عِنْدِ رَبِّهِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ خَمْسٍ : عَنْ عُمُرِهِ فِيمَ أَفْنَاهُ ، وَعَنْ شَبَابِهِ فِيمَ أَبْلَاهُ ، وَمَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَ أَنْفَقَهُ وَمَاذَا عَمِلَ فِيمَا عَلِمَ )
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার আগপর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ্ তা'আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। তার জীবনকাল সম্পর্কে, কিভাবে অতিবাহিত করেছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কি কাজে তা বিনাশ করেছে; তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথা হতে তা উপার্জন করেছে এবং তা কি কি খাতে খরচ করেছে এবং সে যত টুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কি কি আমল করেছে।
(সুনানু তিরমিযি-২৪১৬)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি উক্ত হাত খরচের টাকা হতে কিছু টাকা জমিয়ে অন্য খাতে তার বাবা-মা কে না বলে কিছু ক্রয় করলে বা ব্যায় করলে, তাহলে তা নাজায়েয হবেনা।
আর জমা করা টাকা নিসাব পরিমাণ হলে, নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হওয়ার পর এক বছর পূর্ণ হলে যাকাত দিতে হবে।
আপনার উপর তখন যাকাত ফরজ হবে।